বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিজের রাস্তা দেখে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার সংবিধান আমরা মানি না; কিন্তু ওই সংবিধানের আপনি শপথ ভঙ্গ করেছেন।”
তিনি জানান, শেখ হাসিনার পুনর্বাসন এই বাংলায় আর কোনোদিন হবে না। তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে এবং ফাঁসির কাষ্ঠে তাকে ঝুলতে হবে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ক্যাম্পাসে মশালমিছিলের পর এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কাছে প্রশ্ন রেখে হাসনাত বলেন, “যদি ছাত্রদের আড়াই মাস পরে রাজু ভাস্কর্যে এসে দাঁড়াতে হয় ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও গ্রেপ্তার করানোর জন্য তাহলে আপনাদের কাজটা কী?” তিনি অভিযোগ করেন, “আজ ছাত্রলীগ দ্বারা শিক্ষার্থীরা নিগ্রহ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। যদি ছাত্রলীগের প্রত্যেকটা নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তারের আওতায় নিয়ে আসতে না পারেন, তাহলে শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন।”
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, “২৫–পরবর্তী বাংলাদেশে ছাত্রলীগ প্রাসঙ্গিক কি না, সেটার ফয়সালা ১৫ জুলাই হয়ে গেছে। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কবরস্থ হয়ে গেছে ৫ আগস্ট।” তিনি সতর্ক করেন, “ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনর্বাসন বাংলাদেশে আর হবে না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করতে হবে।”
পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, “আপনারা যদি মনে করেন, আপনারা অপরিহার্য, তাহলে ভুল ভাবছেন। শেখ হাসিনাও নিজেকে অপরিহার্য মনে করেছিল।” তিনি জানালেন, ছাত্র–নাগরিকরা নতুন বিকল্প খুঁজে নিয়েছে এবং পুলিশ–প্রশাসন যদি ছাত্রলীগের সঙ্গে আঁতাত করে, তাহলে তাদের বিকল্প খুঁজতেও দ্বিধা হবে না।
এ সময় হাসনাত কিছু গণমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন, উল্লেখ করে বলেন, “যেসব কলম শেখ হাসিনার পক্ষে লিখেছে, সেগুলো আবার চালু হয়েছে। ৫ আগস্ট ওই ধরনের মিডিয়া কবরস্থ হয়ে গেছে। তাদের পুনর্বাসন বাংলাদেশে কখনো সম্ভব নয়।”
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিজের রাস্তা দেখে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার সংবিধান আমরা মানি না; কিন্তু ওই সংবিধানের আপনি শপথ ভঙ্গ করেছেন।”
তিনি জানান, শেখ হাসিনার পুনর্বাসন এই বাংলায় আর কোনোদিন হবে না। তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে এবং ফাঁসির কাষ্ঠে তাকে ঝুলতে হবে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ক্যাম্পাসে মশালমিছিলের পর এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কাছে প্রশ্ন রেখে হাসনাত বলেন, “যদি ছাত্রদের আড়াই মাস পরে রাজু ভাস্কর্যে এসে দাঁড়াতে হয় ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও গ্রেপ্তার করানোর জন্য তাহলে আপনাদের কাজটা কী?” তিনি অভিযোগ করেন, “আজ ছাত্রলীগ দ্বারা শিক্ষার্থীরা নিগ্রহ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। যদি ছাত্রলীগের প্রত্যেকটা নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তারের আওতায় নিয়ে আসতে না পারেন, তাহলে শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন।”
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, “২৫–পরবর্তী বাংলাদেশে ছাত্রলীগ প্রাসঙ্গিক কি না, সেটার ফয়সালা ১৫ জুলাই হয়ে গেছে। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কবরস্থ হয়ে গেছে ৫ আগস্ট।” তিনি সতর্ক করেন, “ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনর্বাসন বাংলাদেশে আর হবে না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করতে হবে।”
পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, “আপনারা যদি মনে করেন, আপনারা অপরিহার্য, তাহলে ভুল ভাবছেন। শেখ হাসিনাও নিজেকে অপরিহার্য মনে করেছিল।” তিনি জানালেন, ছাত্র–নাগরিকরা নতুন বিকল্প খুঁজে নিয়েছে এবং পুলিশ–প্রশাসন যদি ছাত্রলীগের সঙ্গে আঁতাত করে, তাহলে তাদের বিকল্প খুঁজতেও দ্বিধা হবে না।
এ সময় হাসনাত কিছু গণমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন, উল্লেখ করে বলেন, “যেসব কলম শেখ হাসিনার পক্ষে লিখেছে, সেগুলো আবার চালু হয়েছে। ৫ আগস্ট ওই ধরনের মিডিয়া কবরস্থ হয়ে গেছে। তাদের পুনর্বাসন বাংলাদেশে কখনো সম্ভব নয়।”