alt

জাতীয়

হত্যাচেষ্টা মামলায় জেড আই খান পান্নার নাম প্রত্যাহারের আবেদন বাদীর

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

‘হত্যাচেষ্টা’ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে আসামি করার চারদিন পরেই মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেছে বাদী। প্রত্যাহারের আবেদনে বাদী বলেন, ‘ভুলবশত’ জেড আই খান পান্নাকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ জেড আই খান পান্নাকে এ মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন দিয়েছে।

গত ১৭ অক্টোবর খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা হয়েছিল। সেখানে ১৮০ জনকে আসামি করা হয় এবং সেখানে জেড আই খান পান্নাকে ৯৪ নাম্বার আসামি করা হয়। তবে, এই মামলার বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় ২০ অক্টোবর রোববার।

খিলগাঁও থানার ওসি মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘গতকাল এই আবেদন করেছেন বাদী বাকের। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘বাদী বাকের সাহেব আমার কাছে একটি আবেদন করেছেন। আবেদনে তার মামলার এজাহারে জেড আই খান পান্নাকে ভুলবশত আসামি করেছেন উল্লেখ করে তার নাম প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। আমি আবেদনটি গ্রহণ করেছি, সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ কোনো ধরনের প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াই এ মামলা নেয়া হয়েছে বলে জানান খিলগাঁও থানার (ওসি) মো. দাউদ হোসেন।

খিলগাঁও থানার ওই আবেদনে বাকের বলেন, ‘এজাহারের ৯৪ নং ক্রমিকে বর্ণিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না (৬৫) কে অজ্ঞতা ও ভুলবশত আসামি করা হয়। ৯৪ নং ক্রমিকে বর্ণিত ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করিতে মর্জি হয়।’

সোমবার আহাম জামিনের শুনানি শেষে আদালত ভবন থেকে বের হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পান্না সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন কোনো কাজ করি নাই যাতে এই ধরনের একটা মামলা করা হবে। যদি রাজনৈতিক মামলা হতো আমার আপত্তি ছিল না, জীবনে আমি বহুত মামলা খাইছি। একটা হত্যা প্রচেষ্টা এবং মেরাদিয়া কোথায় আমি জানিও না, যাইওনি।’

জেড আই খান পান্নার আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, ‘শুনানিতে আদালত থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি এবং রাষ্ট্রপক্ষও জামিন আবেদনের বিষয়ে কোনো আপত্তি করেনি। তার (জেড আই খান পান্না) বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা তাকে হ্যারাস করার জন্যই করা হয়েছে। আমি মনে করি না এখানে রাষ্ট্র বা যারা ক্ষমতার সঙ্গে জড়িত, তাদের কোনো প্রভাব আছে।’

কোনো ‘অতি উৎসাহী’ ব্যক্তি এই মামলাটি করিয়েছেন বলে মনে করছেন এহসানুল করিম।

মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বিজিবি মহাপরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ ১৮০ জনের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া বাজারের পশ্চিমে শুক্কুর আলী গার্মেন্টস মোড়ে ছাত্রজনতার আন্দোলনে অংশ নেন বাদী মো. বাকেরের ছেলে মো. আহাদুল ইসলাম।

‘এ সময় পুলিশ, বিজিবি, র?্যাবসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন এবং ১৪ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ককটেল ও সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটান এবং গুলিও চালান।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য হত্যার উদ্দেশ্যে এ গুলি চালানো হয়’ অভিযোগ করে এজাহারে বলা হয়, ‘সেখানে আহাদুল ইসলাম বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। সন্ত্রাসীরা তাকে পরে আরও লাঠিপেটা করেন। পরে তাকে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করার আদেশ চেয়ে গত ২৯ জুলাই আইনজীবীদের একটি দল হাইকোর্টে আবেদন করে। তাদের একজন ছিলেন জেড আই খান পান্না। শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ২৯ জুলাই নাগরিক উদ্যোগে গঠিত জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের সদস্যও ছিলেন তিনি।

‘গণহত্যার বিচার চাই, গায়েবি মামলা-গ্রেপ্তার ও নির্যাতন বন্ধ কর’ শিরোনামে ২৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে একটি মানববন্ধন করা হয়। ‘আইনজীবী সমাজ’-এর ব্যানারে আয়োজিত সেই মানববন্ধনে ছিলেন জেড আই খান পান্না।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী নানা আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বিষয়ে সমালোচনামুখর ছিলেন জেড আই খান পান্না। সংবিধান নতুন করে লেখার যে কথা বলা হচ্ছে, তারও তীব্র সমালোচনা করছিলেন তিনি। জেড আই খান পান্না গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে সংবিধান রচিত হয়েছে, তার ঘোষণাপত্র পাল্টানো যাবে না। যদি করে, তাহলে যুদ্ধ না, মহাযুদ্ধ হবে।’

মামলার বিষয়ে জেড আই খান পান্না সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এটা কোনো না কোনো প্রভাবশালীর ইন্ধনেই হয়েছে, তা নিয়ে আমার সন্দেহ নেই। অথচ আমি কোটা আন্দোলনকারীদের পক্ষে সক্রিয় ছিলাম। যে স্থানের কথা বলা হয়েছে, সেই মেরাদিয়ায় আমি কখনও গেছি বলেও তো মনে হয় না।’

ছবি

আগামী প্রজন্ম নিরাপদ সড়ক উপহার দিতে ব্যর্থ হবে না : সড়ক উপদেষ্টা

ছবি

পুলিশের ২৫২ এসআইকে অব্যাহতিতে রাজনৈতিক কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৫৭ বাংলাদেশি

ছবি

৫ দিনের রিমান্ডে ব্যারিস্টার সুমন

ছবি

দুর্নীতি-অর্থপাচারের দায়ে পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্টকে ২০ বছরের জেল

ছবি

চট্টগ্রামে একের পর এক ঘাট ইজারা : সাম্পান মাঝিদের কর্ণফুলীতে প্রতিবাদ

ছবি

সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের

ছবি

ব্যারিস্টার সুমন গ্রেপ্তার

ছবি

"শেখ হাসিনার পুনর্বাসন হবে না: ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ"

ছবি

জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে কিশোরীদের জন্য এইচপিভি টিকার বিশেষ কর্মসূচি শুরু

ছবি

আগামী বছরের ছুটির তালিকা প্রকাশ: ঈদ ও পূজায় বাড়তি ছুটি

ছবি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নিয়োগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতপন্থি চিকিৎসকদের মধ্যে সংঘর্ষ

ছবি

মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার : সাখাওয়াত হোসেন

ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে নতুন বিতর্ক না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

ছবি

পান্নার নাম বাদ দিতে বাদীর আবেদন

ছবি

হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করেছেন : আসিফ নজরুল

ছবি

ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থায় যুক্ত করা হলো শিক্ষার্থীদের

ছবি

রাজু ভাস্কর্যের নারী প্রতিকৃতিতে হিজাব, তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

শাহপরীর দ্বীপে নবনির্মিত বেড়িবাঁধের সিসি ব্লকে ধস আতঙ্কে ৪০ হাজার বাসিন্দা

ছবি

গত ১১ বছরে সড়কে প্রাণ হারিয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার মানুষ

ছবি

বগুড়া-ঠাকুরগাঁও-ঝিনাইদহে ২০০ সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ

ছবি

আইনজীবী জেড আই খান পান্নার হাইকোর্টে আগাম জামিন

ছবি

সব শিক্ষা বোর্ডে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ

ছবি

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা

ছবি

সালাহউদ্দীন নোমান চৌধুরী জাতিসংঘে বাংলাদেশের নতুন স্থায়ী প্রতিনিধি

ছবি

‘বৈষম্যহীন’ ফলের দাবি : চার শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও, বিক্ষোভ, ‘হামলায়’ আহত কয়েকজন

সংসদ নয়, বিচারপতি অপসারণ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে : রিভিউ রায়

ছবি

হত্যাচেষ্টার মামলায় আইনজীবী জেড আই পান্না আসামি, নিন্দা জানাল আসক

ছবি

পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে প্রণয় ভার্মার বৈঠক,শেখ হাসিনা ইস্যুতে আলোচনা হয়নি

ছবি

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাইদ স্নাতক পরীক্ষায় ১৪ তম স্থান অধিকার করেছে

ছবি

কপ-২৯ সম্মেলনের আগে ন্যায়সংগত জলবায়ু অর্থায়নের আহ্বান

ছবি

পল্লী বিদ্যুতের আরও ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্ট্যান্ড রিলিজ

ছবি

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

গ্যাস-বিদ্যুতের দাম ঠিক করবে বিইআরসি : জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি

শেখ হাসিনাকে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান

ছবি

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে

tab

জাতীয়

হত্যাচেষ্টা মামলায় জেড আই খান পান্নার নাম প্রত্যাহারের আবেদন বাদীর

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

‘হত্যাচেষ্টা’ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে আসামি করার চারদিন পরেই মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেছে বাদী। প্রত্যাহারের আবেদনে বাদী বলেন, ‘ভুলবশত’ জেড আই খান পান্নাকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ জেড আই খান পান্নাকে এ মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন দিয়েছে।

গত ১৭ অক্টোবর খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা হয়েছিল। সেখানে ১৮০ জনকে আসামি করা হয় এবং সেখানে জেড আই খান পান্নাকে ৯৪ নাম্বার আসামি করা হয়। তবে, এই মামলার বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় ২০ অক্টোবর রোববার।

খিলগাঁও থানার ওসি মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘গতকাল এই আবেদন করেছেন বাদী বাকের। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘বাদী বাকের সাহেব আমার কাছে একটি আবেদন করেছেন। আবেদনে তার মামলার এজাহারে জেড আই খান পান্নাকে ভুলবশত আসামি করেছেন উল্লেখ করে তার নাম প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। আমি আবেদনটি গ্রহণ করেছি, সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ কোনো ধরনের প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াই এ মামলা নেয়া হয়েছে বলে জানান খিলগাঁও থানার (ওসি) মো. দাউদ হোসেন।

খিলগাঁও থানার ওই আবেদনে বাকের বলেন, ‘এজাহারের ৯৪ নং ক্রমিকে বর্ণিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না (৬৫) কে অজ্ঞতা ও ভুলবশত আসামি করা হয়। ৯৪ নং ক্রমিকে বর্ণিত ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করিতে মর্জি হয়।’

সোমবার আহাম জামিনের শুনানি শেষে আদালত ভবন থেকে বের হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পান্না সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন কোনো কাজ করি নাই যাতে এই ধরনের একটা মামলা করা হবে। যদি রাজনৈতিক মামলা হতো আমার আপত্তি ছিল না, জীবনে আমি বহুত মামলা খাইছি। একটা হত্যা প্রচেষ্টা এবং মেরাদিয়া কোথায় আমি জানিও না, যাইওনি।’

জেড আই খান পান্নার আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, ‘শুনানিতে আদালত থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি এবং রাষ্ট্রপক্ষও জামিন আবেদনের বিষয়ে কোনো আপত্তি করেনি। তার (জেড আই খান পান্না) বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা তাকে হ্যারাস করার জন্যই করা হয়েছে। আমি মনে করি না এখানে রাষ্ট্র বা যারা ক্ষমতার সঙ্গে জড়িত, তাদের কোনো প্রভাব আছে।’

কোনো ‘অতি উৎসাহী’ ব্যক্তি এই মামলাটি করিয়েছেন বলে মনে করছেন এহসানুল করিম।

মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বিজিবি মহাপরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ ১৮০ জনের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া বাজারের পশ্চিমে শুক্কুর আলী গার্মেন্টস মোড়ে ছাত্রজনতার আন্দোলনে অংশ নেন বাদী মো. বাকেরের ছেলে মো. আহাদুল ইসলাম।

‘এ সময় পুলিশ, বিজিবি, র?্যাবসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন এবং ১৪ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ককটেল ও সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটান এবং গুলিও চালান।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য হত্যার উদ্দেশ্যে এ গুলি চালানো হয়’ অভিযোগ করে এজাহারে বলা হয়, ‘সেখানে আহাদুল ইসলাম বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। সন্ত্রাসীরা তাকে পরে আরও লাঠিপেটা করেন। পরে তাকে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করার আদেশ চেয়ে গত ২৯ জুলাই আইনজীবীদের একটি দল হাইকোর্টে আবেদন করে। তাদের একজন ছিলেন জেড আই খান পান্না। শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ২৯ জুলাই নাগরিক উদ্যোগে গঠিত জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের সদস্যও ছিলেন তিনি।

‘গণহত্যার বিচার চাই, গায়েবি মামলা-গ্রেপ্তার ও নির্যাতন বন্ধ কর’ শিরোনামে ২৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে একটি মানববন্ধন করা হয়। ‘আইনজীবী সমাজ’-এর ব্যানারে আয়োজিত সেই মানববন্ধনে ছিলেন জেড আই খান পান্না।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী নানা আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বিষয়ে সমালোচনামুখর ছিলেন জেড আই খান পান্না। সংবিধান নতুন করে লেখার যে কথা বলা হচ্ছে, তারও তীব্র সমালোচনা করছিলেন তিনি। জেড আই খান পান্না গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে সংবিধান রচিত হয়েছে, তার ঘোষণাপত্র পাল্টানো যাবে না। যদি করে, তাহলে যুদ্ধ না, মহাযুদ্ধ হবে।’

মামলার বিষয়ে জেড আই খান পান্না সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এটা কোনো না কোনো প্রভাবশালীর ইন্ধনেই হয়েছে, তা নিয়ে আমার সন্দেহ নেই। অথচ আমি কোটা আন্দোলনকারীদের পক্ষে সক্রিয় ছিলাম। যে স্থানের কথা বলা হয়েছে, সেই মেরাদিয়ায় আমি কখনও গেছি বলেও তো মনে হয় না।’

back to top