সরকার পতনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়েছিল। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, ওই সময়ে কেউ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি এবং এটি সবার সম্মিলিত মতামতেই নেওয়া হয়েছিল।
গণ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট
ছাত্র-জনতার তুমুল গণআন্দোলনের মধ্যে শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। সেই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিত হয়ে নতুন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও কেউ তখন বিপ্লবী সরকারের পক্ষে কথা বলেনি, পরে এই বিষয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, যদি সাংবিধানিক পথে যাত্রাটা ভুল হয়ে থাকে, সেটা আমাদের সবারই ভুল।
বিপ্লবী সরকার না গঠানোর কারণ
আসিফ নজরুল আরও বলেন, “সরকার পতনের পর প্রথম মিটিংয়ে আমি উপস্থিত ছিলাম। সেখানে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সবাই মিলে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।”
সময়ের অভাব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, তৎকালীন পরিস্থিতি ছিল জটিল এবং সেই মুহূর্তে যথেষ্ট সময় নিয়ে চিন্তাভাবনা করা সম্ভব হয়নি। তবে সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা তৎকালীন পরিস্থিতিতে সঠিক মনে হয়েছিল।
কবি ও রাষ্ট্র চিন্তক ফরহাদ মজহার এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন বিপ্লবী সরকার গঠন করা হয়নি। তার সমালোচনার প্রেক্ষাপটে আসিফ নজরুল বলেন, তখনকার পরিস্থিতিতে কেউ সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে কিছু বলেনি।
এই আলোচনা সভাটি গণতন্ত্রের অভিযাত্রা: আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক শিরোনামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে আরও অংশ নেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের সদস্য জাহেদ উর রহমানসহ অন্যান্য বক্তারা।
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
সরকার পতনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়েছিল। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, ওই সময়ে কেউ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি এবং এটি সবার সম্মিলিত মতামতেই নেওয়া হয়েছিল।
গণ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট
ছাত্র-জনতার তুমুল গণআন্দোলনের মধ্যে শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। সেই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিত হয়ে নতুন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও কেউ তখন বিপ্লবী সরকারের পক্ষে কথা বলেনি, পরে এই বিষয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, যদি সাংবিধানিক পথে যাত্রাটা ভুল হয়ে থাকে, সেটা আমাদের সবারই ভুল।
বিপ্লবী সরকার না গঠানোর কারণ
আসিফ নজরুল আরও বলেন, “সরকার পতনের পর প্রথম মিটিংয়ে আমি উপস্থিত ছিলাম। সেখানে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সবাই মিলে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।”
সময়ের অভাব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, তৎকালীন পরিস্থিতি ছিল জটিল এবং সেই মুহূর্তে যথেষ্ট সময় নিয়ে চিন্তাভাবনা করা সম্ভব হয়নি। তবে সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা তৎকালীন পরিস্থিতিতে সঠিক মনে হয়েছিল।
কবি ও রাষ্ট্র চিন্তক ফরহাদ মজহার এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন বিপ্লবী সরকার গঠন করা হয়নি। তার সমালোচনার প্রেক্ষাপটে আসিফ নজরুল বলেন, তখনকার পরিস্থিতিতে কেউ সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে কিছু বলেনি।
এই আলোচনা সভাটি গণতন্ত্রের অভিযাত্রা: আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক শিরোনামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে আরও অংশ নেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের সদস্য জাহেদ উর রহমানসহ অন্যান্য বক্তারা।