দেশের গণপরিবহন খাতে নীতিনির্ধারকদের অনেকেই নিজেরা গণপরিবহন ব্যবহার না করায় যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়টি ঠিকমতো উপলব্ধি করতে পারেন না বলে অভিযোগ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। আজ শনিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ মতামত জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার বিষয়ে আসন্ন জাতীয় সংলাপের ঘোষণা তুলে ধরা হয়।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করেন, রাজধানীতে ব্যক্তিগত যানবাহন মাত্র ১১ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করলেও, সড়কের ৭০ শতাংশ জায়গা দখল করে থাকে। অন্যদিকে, গণপরিবহন ৫৩ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করলেও সড়কে তাদের চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে প্রচুর বাধার সম্মুখীন হয়।
বিআরটিএ সম্পর্কিত মতামতে বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে সড়ক বা যানবাহন সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া উচিত। এ ছাড়া, বিআরটিএ-তে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ, এবং প্রতিষ্ঠানটির আওতায় চালকদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের সুপারিশও করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সড়ক নিরাপত্তায় বিআরটিএ, ডিটিসিএ, পুলিশ বিভাগ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, এলজিইডি, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে সড়কে শৃঙ্খলা আনা সম্ভব হচ্ছে না। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি উচ্চপর্যায়ের সমন্বয় বোর্ড গঠনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীতে কোম্পানিভিত্তিক বাস সার্ভিস চালুর মাধ্যমে ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার পরামর্শও দিয়েছে ফাউন্ডেশন। পাশাপাশি, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য অদক্ষ চালক, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, এবং সড়কের নিম্নমানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করা হয়েছে।
এ ছাড়া, গণপরিবহনের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় চাঁদাবাজিকে প্রধান বাধা হিসেবে উল্লেখ করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের সহযোগিতায় এই বিশৃঙ্খলা বজায় থাকছে। তারা আরও জানায়, সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী ৭ ও ৮ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপী একটি জাতীয় সংলাপ আয়োজন করা হবে, যাতে দেশের ৩৭ জন বিশিষ্ট নাগরিকের অংশগ্রহণ থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ জাহাঙ্গীর, ফেরদৌস খান, অধ্যাপক হাসিনা বেগম, বুয়েট অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ রাব্বি, ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এবং যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম।
শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪
দেশের গণপরিবহন খাতে নীতিনির্ধারকদের অনেকেই নিজেরা গণপরিবহন ব্যবহার না করায় যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়টি ঠিকমতো উপলব্ধি করতে পারেন না বলে অভিযোগ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। আজ শনিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ মতামত জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার বিষয়ে আসন্ন জাতীয় সংলাপের ঘোষণা তুলে ধরা হয়।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করেন, রাজধানীতে ব্যক্তিগত যানবাহন মাত্র ১১ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করলেও, সড়কের ৭০ শতাংশ জায়গা দখল করে থাকে। অন্যদিকে, গণপরিবহন ৫৩ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করলেও সড়কে তাদের চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে প্রচুর বাধার সম্মুখীন হয়।
বিআরটিএ সম্পর্কিত মতামতে বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে সড়ক বা যানবাহন সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া উচিত। এ ছাড়া, বিআরটিএ-তে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ, এবং প্রতিষ্ঠানটির আওতায় চালকদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের সুপারিশও করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সড়ক নিরাপত্তায় বিআরটিএ, ডিটিসিএ, পুলিশ বিভাগ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, এলজিইডি, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে সড়কে শৃঙ্খলা আনা সম্ভব হচ্ছে না। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি উচ্চপর্যায়ের সমন্বয় বোর্ড গঠনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীতে কোম্পানিভিত্তিক বাস সার্ভিস চালুর মাধ্যমে ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার পরামর্শও দিয়েছে ফাউন্ডেশন। পাশাপাশি, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য অদক্ষ চালক, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, এবং সড়কের নিম্নমানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করা হয়েছে।
এ ছাড়া, গণপরিবহনের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় চাঁদাবাজিকে প্রধান বাধা হিসেবে উল্লেখ করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের সহযোগিতায় এই বিশৃঙ্খলা বজায় থাকছে। তারা আরও জানায়, সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী ৭ ও ৮ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপী একটি জাতীয় সংলাপ আয়োজন করা হবে, যাতে দেশের ৩৭ জন বিশিষ্ট নাগরিকের অংশগ্রহণ থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ জাহাঙ্গীর, ফেরদৌস খান, অধ্যাপক হাসিনা বেগম, বুয়েট অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ রাব্বি, ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এবং যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম।