আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের জেনিভা বিমানবন্দরে অসৌজেন্যমুলক ঘটনার জেরে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করেছে সরকার। সে ঘটনায় ওই দূতাবাসে স্থানীয়ভাবে নিয়োগ পাওয়া এক কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নে তাদের বিরুদ্ধে ওই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তৌফিক হাসান।

সে ঘটনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র তৌফিক হাসান বলেন, “অ্যাকশন হচ্ছে, ওখানে লেবার উইংয়ের যে কাউন্সেলর আছেন, তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে এবং একজন লোকাল স্টাফ মেম্বার, তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”

তৌফিক হাসান বলেন, “সুইজারল্যান্ডে জেনিভা মিশনের বিষয়ে যেটি, আপনারা অলরেডি জেনেছেন যে, এটি একটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত ঘটনা- বলেন তৌফিক হাসান।

তিনি বলেন, সেঘটনার পর অলরেডি অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে, আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন যে এ ঘটনায় যারা জড়িত, আমাদের মিশনের একজন অফিসার এবং স্টাফ মেম্বার- তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু অলরেডি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

জেনিভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

দূতাবাসের প্রটোকলে তিনি গাড়িতে করে জেনেভা বিমানবন্দরে পৌঁছান। গাড়ি থেকে নামার পর হঠাৎ একদল লোক এসে তাকে ঘিরে ধরে তার সঙ্গ অপমানজনক আচরণ করেন।

এ সময় আসিফ নজরুলের সঙ্গে ছিলেন জেনিভা মিশনের শ্রম কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম ও মিশনের স্থানীয়কর্মী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত মিজান।

অভিযোগ উঠেছে যে, সে ঘটনার সময় ওই কর্মকর্তা ও স্থানীয় স্টাফ দুজনই ণিশ্চুপ ভূমিকা পালন করেন।

বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২৯ ব্যাচের কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ২০২১ সালে জেনিভায় বাংলাদেশ মিশনের শ্রম অনুবিভাগে যোগ দেন। উপসচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা এর আগে প্রবাসীকল্যাণ সচিবের একান্ত সচিব ছিলেন।

আসিফ নজরুলের সূচি বাইরে ‘জানাজানি’ হওয়া এবং বিদেশে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আজ ব্রিফিংয়ে তৌফিক হাসান বলেন, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবগুলো মিশনে আমরা নির্দেশনা পাঠিয়েছি যে, ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রটোকল এবং সিকিউরিটির ক্ষেত্রে যেন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।”