মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আরিচাঘাটে আগুনে পুড়ে গেছে ড্রেজারের শতাধিক ফ্লোটার (ভাসমান পাইপের) বৃহস্পতিবার সকালের দিকে উপজেলার আরিচায় বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজার বেইজ অফিসের সামনে যমুনার পাড়ে সারিবদ্ধভাবে রাখা ওই ফ্লোটারগুলোতে হঠাৎ করেই আগুন জ¦লে উঠে। পরে স্থানীয় অধিবাসীরা সংশ্লিষ্টদের খবর দেন। এসময় মুর্হুতের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকার আশে-পাশে। আতঙ্ক শুরু হয় ঘাট এলাকায়। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে অন্তত ৫ কোটি টাকার মালামাল ক্ষতি হয়েছে। একেকটি ফ্লোটারের দাম পাচ লক্ষ টাকা বলে জানা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, নদীতে খনন কাজে ব্যবহার হওয়া ড্রেজার পাইপকে পানিতে ভাসিয়ে রাখার জন্য ফ্লোটার ব্যবহার করা হয়। এগুলো আরিচা ড্রেজিং বেইজ অফিসের সামনে নদীর পাড়ে সারিবদ্ধ ভাবে রাখা হয়েছিল। সকালের দিকে হঠাৎ করেই স্থানীয়রা ঐ এলাকায় আগুন দেখেতে পান। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস বিভাগের দুটি ইউনিট ঘন্টাখানেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরিমধ্যে আগুনে পুড়ে যায় শতাধিক ফ্লোটার। ফ্লোটার গুলো প্লাস্টিকের হওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্য ফ্লোটার গুলোতে আগুন ছড়িয়ে পরে। সকাল বেলায় কুয়াশার মধ্যে ফাঁকা জায়গায় ফোল্টারে আগুন লাগার বিষয়টি রহস্য জনক মনে করছেন স্থানীয়রা ।
প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই জানিয়েছেন, ড্রেজারের ফোল্টারের পাইপে আগুন লাগার বিষয়টা অনেকটাই রহস্যজনক। যে সময়ে আগুন লেগেছে তখন কেউ ইচ্ছে করে আগুন ধরিয়ে না দিলে এভাবে আগুন লাগার সুযোগ নেই বলেই অনেকেই মন্তব্য করেছেন। তখন বাতাসে আদ্রতা এবং কুয়াশা ছিলো। আগুন লাগার কারন খুঁজে সহজেই সেটা মেলাতে পারিনি কেউ। এদিকে ড্রেজিং সংস্লিষ্ট কেউ মুখ খুলছে না এবং আগুন লাগার স্থানে ড্রেজিং ইউনিটের কাউকেই পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে রহশ্যের তৈরী হয়েছে।
আগুন লাগার বিষয়ে কেমন ক্ষতি হয়েছে এবং এতে কোন নাশকতার আশংকা করছেন কিনা সেটা জানার জন্য কল করলে বিআইডব্লিউটিএর আরিচা ড্রেজিং বেইজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাংবাদিকদের কল রিসিভ করছেন না। তবে অফিসের কারিগরি সহকারী (যান্ত্রিক) মো. রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। একই ঘটনার বিষয়ে জানতে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান আরিফ আহম্মেদ মোস্তফার হোয়াটস এ্যাপে মেসেজ পাঠালে তিনি কোন উত্তর দেননি। প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, এই ব্যাপারে ডিজিএফআইএর নেতৃত্বে দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তারা অলরেডি তদন্তকাজ শুরু করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজে একজনকে আগুন লাগাতে দেখা গেছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক কর্মকর্তা কর্মকর্তা বলেছেন, প্রতিটি ফ্লোটারের বাজার মুল্য পাঁচ লাখ টাকা করে। সেই হিসাব অনয়ায়ী অন্তত পাঁচ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কিভাবে আগুনের সুত্রপাত তা তিনি বলতে পারেনি। তিনি আরো বলেছেন, বিগত সাত বছরের মধ্যে নারায়নগঞ্জের ছানপুর গোডাউনে একই ধরনের পাইপে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
মানিকগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ জানান,ফ্লোটার দিয়ে ড্রেজার পাইপগুলো নদীতে ভাসিয়ে রাখা হয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘন্টাখানেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন লাগার কারন সম্মন্ধে এখনো কিছু জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আরিচাঘাটে আগুনে পুড়ে গেছে ড্রেজারের শতাধিক ফ্লোটার (ভাসমান পাইপের) বৃহস্পতিবার সকালের দিকে উপজেলার আরিচায় বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজার বেইজ অফিসের সামনে যমুনার পাড়ে সারিবদ্ধভাবে রাখা ওই ফ্লোটারগুলোতে হঠাৎ করেই আগুন জ¦লে উঠে। পরে স্থানীয় অধিবাসীরা সংশ্লিষ্টদের খবর দেন। এসময় মুর্হুতের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকার আশে-পাশে। আতঙ্ক শুরু হয় ঘাট এলাকায়। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে অন্তত ৫ কোটি টাকার মালামাল ক্ষতি হয়েছে। একেকটি ফ্লোটারের দাম পাচ লক্ষ টাকা বলে জানা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, নদীতে খনন কাজে ব্যবহার হওয়া ড্রেজার পাইপকে পানিতে ভাসিয়ে রাখার জন্য ফ্লোটার ব্যবহার করা হয়। এগুলো আরিচা ড্রেজিং বেইজ অফিসের সামনে নদীর পাড়ে সারিবদ্ধ ভাবে রাখা হয়েছিল। সকালের দিকে হঠাৎ করেই স্থানীয়রা ঐ এলাকায় আগুন দেখেতে পান। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস বিভাগের দুটি ইউনিট ঘন্টাখানেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরিমধ্যে আগুনে পুড়ে যায় শতাধিক ফ্লোটার। ফ্লোটার গুলো প্লাস্টিকের হওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্য ফ্লোটার গুলোতে আগুন ছড়িয়ে পরে। সকাল বেলায় কুয়াশার মধ্যে ফাঁকা জায়গায় ফোল্টারে আগুন লাগার বিষয়টি রহস্য জনক মনে করছেন স্থানীয়রা ।
প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই জানিয়েছেন, ড্রেজারের ফোল্টারের পাইপে আগুন লাগার বিষয়টা অনেকটাই রহস্যজনক। যে সময়ে আগুন লেগেছে তখন কেউ ইচ্ছে করে আগুন ধরিয়ে না দিলে এভাবে আগুন লাগার সুযোগ নেই বলেই অনেকেই মন্তব্য করেছেন। তখন বাতাসে আদ্রতা এবং কুয়াশা ছিলো। আগুন লাগার কারন খুঁজে সহজেই সেটা মেলাতে পারিনি কেউ। এদিকে ড্রেজিং সংস্লিষ্ট কেউ মুখ খুলছে না এবং আগুন লাগার স্থানে ড্রেজিং ইউনিটের কাউকেই পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে রহশ্যের তৈরী হয়েছে।
আগুন লাগার বিষয়ে কেমন ক্ষতি হয়েছে এবং এতে কোন নাশকতার আশংকা করছেন কিনা সেটা জানার জন্য কল করলে বিআইডব্লিউটিএর আরিচা ড্রেজিং বেইজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাংবাদিকদের কল রিসিভ করছেন না। তবে অফিসের কারিগরি সহকারী (যান্ত্রিক) মো. রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। একই ঘটনার বিষয়ে জানতে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান আরিফ আহম্মেদ মোস্তফার হোয়াটস এ্যাপে মেসেজ পাঠালে তিনি কোন উত্তর দেননি। প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, এই ব্যাপারে ডিজিএফআইএর নেতৃত্বে দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তারা অলরেডি তদন্তকাজ শুরু করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজে একজনকে আগুন লাগাতে দেখা গেছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক কর্মকর্তা কর্মকর্তা বলেছেন, প্রতিটি ফ্লোটারের বাজার মুল্য পাঁচ লাখ টাকা করে। সেই হিসাব অনয়ায়ী অন্তত পাঁচ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কিভাবে আগুনের সুত্রপাত তা তিনি বলতে পারেনি। তিনি আরো বলেছেন, বিগত সাত বছরের মধ্যে নারায়নগঞ্জের ছানপুর গোডাউনে একই ধরনের পাইপে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
মানিকগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ জানান,ফ্লোটার দিয়ে ড্রেজার পাইপগুলো নদীতে ভাসিয়ে রাখা হয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘন্টাখানেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন লাগার কারন সম্মন্ধে এখনো কিছু জানা যায়নি।