গাজীপুরে গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ নেতাকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। আর আওয়ামী লীগের প্ররোচণায় এক বিএনপি নেতাকে আওয়ামী লীগ বলে বৈষম্যবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হলে, সঙ্গে সঙ্গে জামিন দিয়েছে আদালত।
রোববার (১ ডিসেম্বর) গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানায় এসব ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আটক কেউই এজাহার নামীয় আসামি নয়। গাজীপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতিকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি থেকে জোর করে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন শিকদারের বিরুদ্ধে। ৩০ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের মেম্বার বাড়ি এলাকায় আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেয়া যুবলীগ নেতা রাজু আহমেদ গাজীপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি।
জয়দেবপুর থানার এসআই বাহার আলম সংবাদকে বলেন, যুবলীগ নেতা রাজু আহমেদকে আটকের পর থানায় নিয়ে আসার সময় কিছু লোক গাড়ি থেকে তাকে ছিনিয়ে নেয়।
এই ঘটনায় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন শিকদারকে ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ ও সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবিনের স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানানো হয়, যুবদল শাখার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদককে সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন যুবদল শাখায় লিখিত জবাব দিতে হবে। সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের জন্য যথাযথ জবাব প্রদান না করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ জানান, ‘মামুন শিকদার সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এজন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। যথাযথ জবাব না দিলে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের কুমুন গ্রামের নূর মোহাম্মদ খানকে (৪৭) গত ২৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে বৈষম্যবিরোধী মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় জয়দেবপুর থানা পুলিশ। পুলিশ আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে নূর মোহাম্মদকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে উল্লেখ করে। তার আইনজীবী নূর মোহাম্মদকে বিএনপির নেতা হিসেবে আদালতে প্রমাণপত্র দাখিল করলে আদালত জামিন দেয়।
এই বিষয়ে নূর মোহাম্মদ খান সংবাদকে বলেন, আমাকে আওয়ামী লীগ বলে পুলিশ গ্রেপ্তার করে চালান দেয়। কিন্তু আমি বিএনপির নেতা ও আওয়ামী লীগের সময় গত সতের বছরে সাতটি মামলা খেয়েছি। আদালতে বিএনপির কাগজপত্র জমা দেয়ার পর জামিন পাই। আমি নির্যাতিত, ন্যায় বিচার চাই।
দু’টি ঘটনায় জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম সংবাদকে বলেন, যুবলীগ নেতা রাজু এজাহার নামীয় কোনো আসামি নয়। অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য অনুসন্ধানের জন্য একটি টিম তাকে আটক করে, থানায় নিয়ে আসার পথে আসামিকে যুবদল নেতা পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। আর বিএনপি নেতা নুর মোহাম্মদকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, এই ঘটনায় আমি বিব্রত। নুরু মোহাম্মদ খান এজাহার নামীয় আসামি নয়। জয়দেবপুর থানার আমতলী ফাড়ির পরিদর্শক তাকে আটক করে থানায় পাঠায়। তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি কমিটিতে নুর মোহাম্মদ খানের নাম রয়েছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, এমন কোনো কমিটি আমি দেইনি। তাছারা নুরু খান আওয়ামী লীগের কমিটিতে কিভাবে থাকে, সে বিএনপি করে।
গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আমিনুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, এজাহার নামীয় ছাড়া কাউকে আটক করার কথা না। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
গাজীপুরে গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ নেতাকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। আর আওয়ামী লীগের প্ররোচণায় এক বিএনপি নেতাকে আওয়ামী লীগ বলে বৈষম্যবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হলে, সঙ্গে সঙ্গে জামিন দিয়েছে আদালত।
রোববার (১ ডিসেম্বর) গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানায় এসব ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আটক কেউই এজাহার নামীয় আসামি নয়। গাজীপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতিকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি থেকে জোর করে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন শিকদারের বিরুদ্ধে। ৩০ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের মেম্বার বাড়ি এলাকায় আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেয়া যুবলীগ নেতা রাজু আহমেদ গাজীপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি।
জয়দেবপুর থানার এসআই বাহার আলম সংবাদকে বলেন, যুবলীগ নেতা রাজু আহমেদকে আটকের পর থানায় নিয়ে আসার সময় কিছু লোক গাড়ি থেকে তাকে ছিনিয়ে নেয়।
এই ঘটনায় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন শিকদারকে ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ ও সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবিনের স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানানো হয়, যুবদল শাখার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদককে সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন যুবদল শাখায় লিখিত জবাব দিতে হবে। সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের জন্য যথাযথ জবাব প্রদান না করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম শরীফ জানান, ‘মামুন শিকদার সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এজন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। যথাযথ জবাব না দিলে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের কুমুন গ্রামের নূর মোহাম্মদ খানকে (৪৭) গত ২৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে বৈষম্যবিরোধী মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় জয়দেবপুর থানা পুলিশ। পুলিশ আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে নূর মোহাম্মদকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে উল্লেখ করে। তার আইনজীবী নূর মোহাম্মদকে বিএনপির নেতা হিসেবে আদালতে প্রমাণপত্র দাখিল করলে আদালত জামিন দেয়।
এই বিষয়ে নূর মোহাম্মদ খান সংবাদকে বলেন, আমাকে আওয়ামী লীগ বলে পুলিশ গ্রেপ্তার করে চালান দেয়। কিন্তু আমি বিএনপির নেতা ও আওয়ামী লীগের সময় গত সতের বছরে সাতটি মামলা খেয়েছি। আদালতে বিএনপির কাগজপত্র জমা দেয়ার পর জামিন পাই। আমি নির্যাতিত, ন্যায় বিচার চাই।
দু’টি ঘটনায় জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম সংবাদকে বলেন, যুবলীগ নেতা রাজু এজাহার নামীয় কোনো আসামি নয়। অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য অনুসন্ধানের জন্য একটি টিম তাকে আটক করে, থানায় নিয়ে আসার পথে আসামিকে যুবদল নেতা পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। আর বিএনপি নেতা নুর মোহাম্মদকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, এই ঘটনায় আমি বিব্রত। নুরু মোহাম্মদ খান এজাহার নামীয় আসামি নয়। জয়দেবপুর থানার আমতলী ফাড়ির পরিদর্শক তাকে আটক করে থানায় পাঠায়। তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি কমিটিতে নুর মোহাম্মদ খানের নাম রয়েছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, এমন কোনো কমিটি আমি দেইনি। তাছারা নুরু খান আওয়ামী লীগের কমিটিতে কিভাবে থাকে, সে বিএনপি করে।
গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আমিনুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, এজাহার নামীয় ছাড়া কাউকে আটক করার কথা না। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।