হিমালয় থেকে বয়ে আসা শীতল বায়ু এবং বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে আসা জলীয় বাষ্প বাংলাদেশের আবহাওয়ায় একত্রিত হয়ে তৈরি করেছে ঘন কুয়াশা। দেশের অধিকাংশ এলাকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে, দিনে সামান্য কিছুক্ষণের জন্য রোদ দেখা যাচ্ছে। এর ফলে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।
গোপালগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আগামী সপ্তাহজুড়ে শীত আরও তীব্র হতে পারে এবং উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বছর শীতের তীব্রতা অন্য বছরের তুলনায় বেশি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, ভারতের দিল্লি, উত্তর প্রদেশ এবং বিহার হয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত কুয়াশার বলয় বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলছে। বায়ুদূষণ এবং স্থানীয় দূষণও কুয়াশার মাত্রা বাড়িয়ে তুলছে।
বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে শ্রীলঙ্কা উপকূলের দিকে সরে গেলেও এর ফলে প্রচুর মেঘমালা তৈরি হয়েছে, যা উপকূলীয় এলাকা হয়ে বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করছে। পাশাপাশি হিমালয় পেরিয়ে আসা শীতল বায়ু দেশের উত্তরাঞ্চলে প্রবেশ করছে এবং জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাসের সঙ্গে মিশে ভারী কুয়াশা তৈরি করছে।
কুয়াশার কারণে দিনের তাপমাত্রা খুব বেশি কমছে না, তবে শীতের অনুভূতি বেড়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকায় সারাদিনই শীতের প্রকোপ টের পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জে ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এই ধরনের আবহাওয়া চলতি সপ্তাহজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা সামান্য কমলেও শীতের কষ্ট বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
হিমালয় থেকে বয়ে আসা শীতল বায়ু এবং বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে আসা জলীয় বাষ্প বাংলাদেশের আবহাওয়ায় একত্রিত হয়ে তৈরি করেছে ঘন কুয়াশা। দেশের অধিকাংশ এলাকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে, দিনে সামান্য কিছুক্ষণের জন্য রোদ দেখা যাচ্ছে। এর ফলে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।
গোপালগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আগামী সপ্তাহজুড়ে শীত আরও তীব্র হতে পারে এবং উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বছর শীতের তীব্রতা অন্য বছরের তুলনায় বেশি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, ভারতের দিল্লি, উত্তর প্রদেশ এবং বিহার হয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত কুয়াশার বলয় বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলছে। বায়ুদূষণ এবং স্থানীয় দূষণও কুয়াশার মাত্রা বাড়িয়ে তুলছে।
বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে শ্রীলঙ্কা উপকূলের দিকে সরে গেলেও এর ফলে প্রচুর মেঘমালা তৈরি হয়েছে, যা উপকূলীয় এলাকা হয়ে বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করছে। পাশাপাশি হিমালয় পেরিয়ে আসা শীতল বায়ু দেশের উত্তরাঞ্চলে প্রবেশ করছে এবং জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাসের সঙ্গে মিশে ভারী কুয়াশা তৈরি করছে।
কুয়াশার কারণে দিনের তাপমাত্রা খুব বেশি কমছে না, তবে শীতের অনুভূতি বেড়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকায় সারাদিনই শীতের প্রকোপ টের পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জে ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এই ধরনের আবহাওয়া চলতি সপ্তাহজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা সামান্য কমলেও শীতের কষ্ট বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।