alt

জাতীয়

কবি হেলাল হাফিজ আর নেই

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’—অমর এ পঙ্‌ক্তির রচয়িতা কবি হেলাল হাফিজ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয় বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউর রহমান।

১৯৮৬ সালে প্রকাশিত তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ দিয়েই মানুষের হৃদয়ে আসন করে নেন হেলাল হাফিজ।

কেবল কবিতার পাঠকের নিরিখে নয়, যে ব্যক্তি অতটাও সাহিত্যের খোঁজখবর করেন না, এমন অনেকের হৃদয়েও দোলা দিয়েছে হেলাল হাফিজের পঙ্‌ক্তি। ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থভুক্ত প্রতিটি কবিতার শেষে উল্লেখিত তারিখ অনুযায়ী কবিতাগুলো লেখা হয়েছে ১৯৬৯ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে।

লড়াইয়ে, সংগ্রামে, প্রেমে-বিরহে, দ্রোহে যাপিত জীবনের পরতে পরতে হেলাল হাফিজ স্পর্শ দিয়ে যান। ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র মতো ‘অগ্ন্যুৎসব’ কবিতাও শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আগুন জ্বেলে দেয়। এ কবিতায় কবি বলেছেন, ‘ছিল তা এক অগ্ন্যুৎসব, সেদিন আমি/ সবটুকু বুক রেখেছিলাম স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রে? জীবন বাজি ধরেছিলাম প্রেমের নামে/ রক্তঋণে স্বদেশ হলো,/ তোমার দিকে চোখ ছিল না/ জন্মভূমি সেদিন তোমার সতীন ছিলো।’ কেবল মুক্তিযুদ্ধ কিংবা গণ-অভ্যুত্থানের মতো প্রেক্ষাপটে নয়, যেকোনো অন্যায়ে-শোষণে-অবিচারে হেলাল হাফিজের এ উচ্চারণ সবার হয়ে ওঠে।

যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থই হেলাল হাফিজকে দিয়েছে অসামান্য খ্যাতি। এরপর দীর্ঘদিন আর কোনো বই বের করেননি তিনি। ২০১২ সালে ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থের কবিতার সঙ্গে কিছু কবিতা যুক্ত করে প্রকাশ করা হয় তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’। সর্বশেষ ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় তৃতীয় কবিতার বই ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’।

এত কম কবিতা লিখে এত খ্যাতি পাওয়ার নজির বাংলাদেশের সাহিত্যে নেই।

ছবি

বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিশেষায়িত আদালত প্রতিষ্ঠা হচ্ছে: প্রধান বিচারপতি

ছবি

প্রধান উপদেষ্টা সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন

ছবি

বাংলাদেশপন্থিদের মধ্যে হবে নির্বাচন: মাহফুজ আলম

ছবি

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে গাফিলতি: ঢাকা মহানগর দায়রা জজ

ছবি

ডিজির ভারত সফর নিয়ে কোনো গোপনীয়তা নেই : বিজিবি

ছবি

সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশের পথে ইউনূস

ছবি

এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় চুক্তি

ছবি

ছাত্ররা রাজনীতি করবে না—এমন ননসেন্স কথা বলবেন না: ফরহাদ মজহার

ছবি

মানুষ দ্রুত সংস্কার চাইলে এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

নিজেদের সুপারিশ নিয়ে ‘মতবিনিময়ে’ ৫ সংস্কার কমিশন

ছবি

জলবায়ু সংকটে বাংলাদেশে ৩ কোটি ৩০ লাখ শিশুর শিক্ষা বাধাগ্রস্ত: ইউনিসেফ

ছবি

জুলাই আন্দোলনে আহত ৭ জনকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলো

ছবি

২ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, শীত বেড়ে যাওয়ার পূর্বাভাস

ছবি

বাংলাদেশে ‘বিনিয়োগে আগ্রহী’ ডিপি ওয়ার্ল্ড ও এপি মোলার-মেয়ার্স্ক

ছবি

হাসিনার সময়কার উচ্চ প্রবৃদ্ধি ‘ভুয়া’: ইউনূস

ছবি

শেখ হাসিনার প্রবৃদ্ধিকে ‘ভুয়া’ বললেন ইউনূস, দুষলেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও

ছবি

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

ছবি

পিলখানা হত্যাকাণ্ড : ১৬৮ জন সাজাপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য কারামুক্ত

রাজধানীর বেশিরভাগ স্কুলেই পাঠ্যবই ‘সংকট’

ছবি

আন্দোলনে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি

ছবি

‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হলেন সেনাবাহিনী প্রধান

ছবি

জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় মাহমুদুর রহমানের আপিলের রায় ১০ ফেব্রুয়ারি

ছবি

টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের সময়সীমা নির্ধারণে আইনি নোটিশ

ছবি

বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ বৈষম্যমূলক, সংশোধনের দাবি বার সভাপতির

ছবি

ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে নির্বাচন, ভোট হবে ব্যালটে : ইসি মাছউদ

ছবি

বিমানবন্দরের দ্বিতীয় দফার হুমকিও ভুয়া

ছবি

একে একে কারাগার থেকে বের হচ্ছেন মুক্তি পাওয়া বিডিআর জওয়ানরা

ছবি

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে লাগার্ডের সহায়তা চাইলেন ইউনূস

ছবি

আন্দোলন দমাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন: জাতিসংঘের প্রতিবেদন ‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি’

ছবি

সাড়ে ১৫ বছর পর মুক্তি: বিডিআর জওয়ানদের জন্য কারাফটকে স্বজনদের অপেক্ষা

অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ, বিচার চলবে

ছবি

সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর শাহবাগ থেকে সরলেন ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা

ছবি

শাহজালালে বোমা হুমকির বার্তা আসে পাকিস্তানি নম্বর থেকে : ডিএমপি

ছবি

১৭ বছর পর দখলমুক্ত হলো গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ১৫শ’ কোটি টাকার সম্পদ

ছবি

মহার্ঘ ভাতা ও ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

রেলওয়ের রানিং স্টাফদের দাবিতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ট্রেন বন্ধের হুঁশিয়ারি

tab

জাতীয়

কবি হেলাল হাফিজ আর নেই

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’—অমর এ পঙ্‌ক্তির রচয়িতা কবি হেলাল হাফিজ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয় বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউর রহমান।

১৯৮৬ সালে প্রকাশিত তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ দিয়েই মানুষের হৃদয়ে আসন করে নেন হেলাল হাফিজ।

কেবল কবিতার পাঠকের নিরিখে নয়, যে ব্যক্তি অতটাও সাহিত্যের খোঁজখবর করেন না, এমন অনেকের হৃদয়েও দোলা দিয়েছে হেলাল হাফিজের পঙ্‌ক্তি। ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থভুক্ত প্রতিটি কবিতার শেষে উল্লেখিত তারিখ অনুযায়ী কবিতাগুলো লেখা হয়েছে ১৯৬৯ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে।

লড়াইয়ে, সংগ্রামে, প্রেমে-বিরহে, দ্রোহে যাপিত জীবনের পরতে পরতে হেলাল হাফিজ স্পর্শ দিয়ে যান। ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র মতো ‘অগ্ন্যুৎসব’ কবিতাও শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আগুন জ্বেলে দেয়। এ কবিতায় কবি বলেছেন, ‘ছিল তা এক অগ্ন্যুৎসব, সেদিন আমি/ সবটুকু বুক রেখেছিলাম স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রে? জীবন বাজি ধরেছিলাম প্রেমের নামে/ রক্তঋণে স্বদেশ হলো,/ তোমার দিকে চোখ ছিল না/ জন্মভূমি সেদিন তোমার সতীন ছিলো।’ কেবল মুক্তিযুদ্ধ কিংবা গণ-অভ্যুত্থানের মতো প্রেক্ষাপটে নয়, যেকোনো অন্যায়ে-শোষণে-অবিচারে হেলাল হাফিজের এ উচ্চারণ সবার হয়ে ওঠে।

যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থই হেলাল হাফিজকে দিয়েছে অসামান্য খ্যাতি। এরপর দীর্ঘদিন আর কোনো বই বের করেননি তিনি। ২০১২ সালে ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থের কবিতার সঙ্গে কিছু কবিতা যুক্ত করে প্রকাশ করা হয় তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’। সর্বশেষ ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় তৃতীয় কবিতার বই ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’।

এত কম কবিতা লিখে এত খ্যাতি পাওয়ার নজির বাংলাদেশের সাহিত্যে নেই।

back to top