আদালতের নির্দেশের দুই মাস ছয় দিন পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরাতে কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার।
‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে বাংলাদেশ চিঠি পাঠিয়েছে বলে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য বাংলাদেশ ফেরত চেয়েছে। এটা ভারতকে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে ভারতকে নোট ভারবাল পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে ‘প্রচলিত আইনগত প্রক্রিয়া শেষে’ শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক পত্র দেয়া হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাকে (শেখ হাসিনা) প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে অনুরোধ জানাতে এরই মধ্যে আমাদের (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের) চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটা প্রক্রিয়াধীন আছে। আমাদের সঙ্গে তাদের একটা এক্সট্রাডিশন (প্রত্যর্পণ) চুক্তি আছেই।’
বিজিবি দিবস উপলক্ষে সোমবার পিলখানায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে।
গত ৫ আগস্ট তীব্র গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। ভারতে অবস্থান করে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিষোধগার করছেন বলে একাধিক উপদেষ্টা অভিযোগ করেছেন।
শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুনানী শেষে শেখ হাসিনাসহ আসামিদের ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত আনার ব্যাপারে একাধিকবার কথা বলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় (স্বরাষ্ট্র) থেকে অনুরোধ আসার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানাবে।
আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে ফেরত এনে আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া শুরু করলো সরকার।
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
আদালতের নির্দেশের দুই মাস ছয় দিন পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরাতে কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার।
‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে বাংলাদেশ চিঠি পাঠিয়েছে বলে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য বাংলাদেশ ফেরত চেয়েছে। এটা ভারতকে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে ভারতকে নোট ভারবাল পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে ‘প্রচলিত আইনগত প্রক্রিয়া শেষে’ শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক পত্র দেয়া হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাকে (শেখ হাসিনা) প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে অনুরোধ জানাতে এরই মধ্যে আমাদের (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের) চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটা প্রক্রিয়াধীন আছে। আমাদের সঙ্গে তাদের একটা এক্সট্রাডিশন (প্রত্যর্পণ) চুক্তি আছেই।’
বিজিবি দিবস উপলক্ষে সোমবার পিলখানায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে।
গত ৫ আগস্ট তীব্র গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। ভারতে অবস্থান করে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিষোধগার করছেন বলে একাধিক উপদেষ্টা অভিযোগ করেছেন।
শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুনানী শেষে শেখ হাসিনাসহ আসামিদের ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত আনার ব্যাপারে একাধিকবার কথা বলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় (স্বরাষ্ট্র) থেকে অনুরোধ আসার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানাবে।
আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে ফেরত এনে আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া শুরু করলো সরকার।