প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য সাংবাদিকদের ইস্যু করা সব অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড এক নোটিশে বাতিল ঘোষণা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড়ের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের এ সিদ্ধান্ত ‘সাময়িক’ এবং দ্রুতই এ ব্যাপারে ‘ইতিবাচক’ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দপ্তর থেকে তার প্রেস উইং এ বিষয়ে জানিয়েছে, সাংবাদিকদের সাময়িক এই অসুবিধার জন্য সরকার আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে। যে কোনো ইভেন্টের জন্য সাংবাদিকরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত অস্থায়ী অ্যাক্সেস কার্ড পাবেন বলেও জানানো হয়েছে।
প্রেস উইং জানায়, ‘সরকার শীঘ্রই বিদ্যমান প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডগুলো পর্যালোচনা করবে এবং নতুন অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু করার জন্য তথ্য অধিদপ্তর- পিআইডি’র মাধ্যমে সব স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে নতুন আ্যাক্রিডিটেশনের আবেদন আহ্বান করবে।’
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজেও একই কথা জানান।
এর আগে ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সচিবালয়ে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার বাতিল ঘোষণা করা হয়।
এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন সাংবাদিকদের অনেকেই। নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিকদের সংগঠন ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। সাংবাদিকদের কার্ড বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কেউ কেউ অবশ্য এ সিদ্ধান্তকে সঠিক উল্লেখ করে যাচাই বাছাই করে নতুন করে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেয়ার পক্ষেও মত দেন।
ফেইসবুকে ক্ষোভ
দ্যা নিউ নেশনের সিনিয়র রিপোর্টার কামরুজ্জামান বাবলু লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আপনি দ্বিতীয় শেকাছিনা (শেখ হাসিনা) হওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। সময় থাকতে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন, মি. ইউনূস স্যার।’
জাগো নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ইসমাইল হোসেন রাসেল লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক সরকার বহু চেষ্টা করেও সাংবাদিকদের সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার ঠেকাতে না পারলেও ড. ইউনূসের সরকার সেটি বাস্তবায়নে সফল হয়েছেন। অভিনন্দন মাননীয় সরকার! তবে আপনাদের এমন কা-ে জনমনে প্রশ্ন বাড়বে, ন্যূনতম কমবে না।’
দৈনিক মানব জমিনের সাংবাদিক মরিয়ম চম্পা লিখেছেন, ‘হায়রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা! হাসিনা সরকারের মতো এবার আপনারাও দরজা বন্ধ করে তদন্ত করুন। এভাবে আর নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ কইরেন না প্লিজ!’
সাংবাদিক সংগঠনের নিন্দা
পেশাগত কাজে সাংবাদিকদের সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্তের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানান। বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি।
নেতারা বলেন, এটি স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরূপ। সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্বাধীন সাংবাদিকতার বিকাশকে শুধু বাধাগ্রস্তই করবে না, সংবাদ মাধ্যমের অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকেও হুমকির মধ্যে ফেলে দিবে।
এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় দুই শতাধিক সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করার ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করে ডিইউজে।
বিএসআরএফ
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের খবরাখবর নিয়মিত সংগ্রহ করতে সচিবালয়ে যেতে হয় এমন সাংবাদিকদের সংগঠন- বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এর সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক এ বিষয়ে জানান, রোববার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাজ যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সেই দাবি জানাবেন।
বাতিলে স্বরাষ্ট্রের বিজ্ঞপ্তি
শুক্রবার জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির স্বার্থে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে ইস্যুকৃত স্থায়ী প্রবেশ পাশ (ডিজিটাল অ্যাক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম) এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ইস্যুকৃত অস্থায়ী প্রবেশ পাশ ব্যতীত সব ধরনের অস্থায়ী (বেসরকারি ব্যক্তিবর্গের জন্য) সচিবালয় প্রবেশ পাস বাতিল করা হলো।’
এতে আরও বলা হয় ‘সাংবাদিকদের অনুকূলে ইস্যুকৃত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দ্বারা সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এতদ্বারা বাতিল করা হলো। অগ্নিকা-ের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সচিবালয়ের নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ জারি করা হলো।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, বাতিল করা বিভিন্ন ক্যাটাগরির সচিবালয় প্রবেশ পাশধারীরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ, ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, ডিএমপি, ১৫ আব্দুল গণি রোড, ঢাকায় স্থাপনকৃত বিশেষ সেলের মাধ্যমে নতুন করে অস্থায়ী প্রবেশ পাশের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অস্থায়ী পাস, বিশেষ সেল
সচিবালয়ে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপের একদিন পর অস্থায়ী প্রবেশ পাসের আবেদন নিতে বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে। শনিবার এ সেল গঠনের কথা তুলে ধরে আদেশ জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, অস্থায়ী প্রবেশ পাসের আবেদন গ্রহণ করতে সচিবালয়ের উল্টো দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে এ সেল করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের দুই কর্মকর্তাকে এ সেলের দায়িত্ব দেয়ার কথাও বলা হয়েছে আদেশে।
তারা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-৩ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব এফ এম তৌহিদুল আলম ও সচিবালয়ের নিরাপত্তা শাখার অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মৃত্যুঞ্জয় বাড়ৈ।
বুধবার দিবাগত রাতে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, এতে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরমধ্যে অষ্টম ও নবম তলায় থাকা অধিকাংশ নথি পুড়ে যায়। এ নিয়ে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি এখন কাজ করছে।
রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য সাংবাদিকদের ইস্যু করা সব অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড এক নোটিশে বাতিল ঘোষণা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড়ের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের এ সিদ্ধান্ত ‘সাময়িক’ এবং দ্রুতই এ ব্যাপারে ‘ইতিবাচক’ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দপ্তর থেকে তার প্রেস উইং এ বিষয়ে জানিয়েছে, সাংবাদিকদের সাময়িক এই অসুবিধার জন্য সরকার আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে। যে কোনো ইভেন্টের জন্য সাংবাদিকরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত অস্থায়ী অ্যাক্সেস কার্ড পাবেন বলেও জানানো হয়েছে।
প্রেস উইং জানায়, ‘সরকার শীঘ্রই বিদ্যমান প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডগুলো পর্যালোচনা করবে এবং নতুন অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু করার জন্য তথ্য অধিদপ্তর- পিআইডি’র মাধ্যমে সব স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে নতুন আ্যাক্রিডিটেশনের আবেদন আহ্বান করবে।’
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজেও একই কথা জানান।
এর আগে ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সচিবালয়ে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার বাতিল ঘোষণা করা হয়।
এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন সাংবাদিকদের অনেকেই। নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিকদের সংগঠন ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। সাংবাদিকদের কার্ড বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কেউ কেউ অবশ্য এ সিদ্ধান্তকে সঠিক উল্লেখ করে যাচাই বাছাই করে নতুন করে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেয়ার পক্ষেও মত দেন।
ফেইসবুকে ক্ষোভ
দ্যা নিউ নেশনের সিনিয়র রিপোর্টার কামরুজ্জামান বাবলু লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আপনি দ্বিতীয় শেকাছিনা (শেখ হাসিনা) হওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। সময় থাকতে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন, মি. ইউনূস স্যার।’
জাগো নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ইসমাইল হোসেন রাসেল লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক সরকার বহু চেষ্টা করেও সাংবাদিকদের সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার ঠেকাতে না পারলেও ড. ইউনূসের সরকার সেটি বাস্তবায়নে সফল হয়েছেন। অভিনন্দন মাননীয় সরকার! তবে আপনাদের এমন কা-ে জনমনে প্রশ্ন বাড়বে, ন্যূনতম কমবে না।’
দৈনিক মানব জমিনের সাংবাদিক মরিয়ম চম্পা লিখেছেন, ‘হায়রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা! হাসিনা সরকারের মতো এবার আপনারাও দরজা বন্ধ করে তদন্ত করুন। এভাবে আর নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ কইরেন না প্লিজ!’
সাংবাদিক সংগঠনের নিন্দা
পেশাগত কাজে সাংবাদিকদের সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্তের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানান। বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি।
নেতারা বলেন, এটি স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরূপ। সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্বাধীন সাংবাদিকতার বিকাশকে শুধু বাধাগ্রস্তই করবে না, সংবাদ মাধ্যমের অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকেও হুমকির মধ্যে ফেলে দিবে।
এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় দুই শতাধিক সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করার ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করে ডিইউজে।
বিএসআরএফ
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের খবরাখবর নিয়মিত সংগ্রহ করতে সচিবালয়ে যেতে হয় এমন সাংবাদিকদের সংগঠন- বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এর সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক এ বিষয়ে জানান, রোববার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাজ যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সেই দাবি জানাবেন।
বাতিলে স্বরাষ্ট্রের বিজ্ঞপ্তি
শুক্রবার জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির স্বার্থে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে ইস্যুকৃত স্থায়ী প্রবেশ পাশ (ডিজিটাল অ্যাক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম) এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ইস্যুকৃত অস্থায়ী প্রবেশ পাশ ব্যতীত সব ধরনের অস্থায়ী (বেসরকারি ব্যক্তিবর্গের জন্য) সচিবালয় প্রবেশ পাস বাতিল করা হলো।’
এতে আরও বলা হয় ‘সাংবাদিকদের অনুকূলে ইস্যুকৃত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দ্বারা সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এতদ্বারা বাতিল করা হলো। অগ্নিকা-ের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সচিবালয়ের নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ জারি করা হলো।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, বাতিল করা বিভিন্ন ক্যাটাগরির সচিবালয় প্রবেশ পাশধারীরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ, ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, ডিএমপি, ১৫ আব্দুল গণি রোড, ঢাকায় স্থাপনকৃত বিশেষ সেলের মাধ্যমে নতুন করে অস্থায়ী প্রবেশ পাশের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অস্থায়ী পাস, বিশেষ সেল
সচিবালয়ে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপের একদিন পর অস্থায়ী প্রবেশ পাসের আবেদন নিতে বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে। শনিবার এ সেল গঠনের কথা তুলে ধরে আদেশ জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, অস্থায়ী প্রবেশ পাসের আবেদন গ্রহণ করতে সচিবালয়ের উল্টো দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে এ সেল করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের দুই কর্মকর্তাকে এ সেলের দায়িত্ব দেয়ার কথাও বলা হয়েছে আদেশে।
তারা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-৩ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব এফ এম তৌহিদুল আলম ও সচিবালয়ের নিরাপত্তা শাখার অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মৃত্যুঞ্জয় বাড়ৈ।
বুধবার দিবাগত রাতে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, এতে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরমধ্যে অষ্টম ও নবম তলায় থাকা অধিকাংশ নথি পুড়ে যায়। এ নিয়ে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি এখন কাজ করছে।