alt

চিঠিপত্র

প্রকৃতিকে বাঁচাতেই হবে

: রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

‘প্রকৃতি’ শব্দের মাঝে সুপ্তবস্থায় নিহিত আছে পরম মমতা, নৈস্বর্গিক ভালোবাসা ও নব্য প্রেরণা। স্নিগ্ধ পরশ, নিখাদ অন্তর্দষ্টি ও পবিত্র স্পর্শানুভূতিতে মিশ্রিত এক স্বচ্ছ রূপ। যা কেবল রুষ্ট মনকে পরিণত করে নিস্তেজে, পরিশ্রান্ত হৃদয়কে ছুঁয়ে দেয় শীতলতায় ও উন্মনা মনকে করে তোলে আন্দোলিত। প্রকৃতির এই চিরায়ত পরার্থপরতার স্বভাব যেন স্বর্গীয় সুপ্ত বার্তারই জানান দেয় যা কেবলই গভীর অবলোকনের দ্বারাই মর্মপোলব্ধি করা সম্ভব।

সূচনালগ্ন থেকে প্রকৃতি মানুষের সাথে সবচেয়ে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিয়ে আসছে। নিরবিচ্ছিন্নভাবে বেঁচে থাকার অমূল্য রতœ অক্সিজেন সরবরাহ, আশ্রয়ের ঠাঁইয়ের ব্যবস্থা ও নানাভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে যেন এক স্বার্থহীন সাহায্যের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। কিন্তু আমরা তার এই উপকারের প্রতিদান স্বরূপ কতোটুকু অবদান রাখতে পেরেছি। সবুজ বনায়নের বুক চিড়ে রাস্তা, আকাশচুম্বি পাহাড় কেঁটে ফেলা, সাগর-নদীর জল ভরাটসহ এরকম নানা প্রয়োজনে উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নির্মাণে বাঁধাহীনভাবে আমরা কাজ করছি। প্রকৃতি নিধন করে আমাদের এই অপ্রাপ্তি পূরণের আশা যেন বেড়েই চলেছে।

বিশেষজ্ঞরা প্রতিবারই প্রকৃতি ধ্বংসের ভয়াবহতা বলে আসছেন। নির্বিচারে গাছ কাঁটা ও পশু-পাখির অভয়ারণ্য উচ্ছেদ করছি। আমরা সকলেই জানি, বর্তমানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, সাগরের পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ওজন স্তরের ক্ষতি, জলবায়ু পরিবর্তন, ঋতুর স্বাভাবিক আগমনের সময় পরিবর্তন, বায়ু দূষণ, ইত্যাদি অনেক কিছুই আমাদের কর্মকা-ের কারণে হচ্ছে। আমরা বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিজের সুযোগ-সুবিধা কথা ভেবে পরিবেশ ধ্বংস করছি। কিন্তু এই নিধনের ফলে ভবিষ্যতের অবস্থা কেমন হতে পারে তা যেন আমাদের বোধগম্য হয়েও, হয় না।

আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রকৃতি রক্ষায় একসাথে এগিয়ে আসতে হবে। একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য বৃক্ষরোপন ও সংরক্ষণে বিকল্প নেই। আর নীল গ্ৰহের আয়ু বাড়াতে পারে সবুজ চাদরে ঘেরা নির্মল এই প্রকৃতি।

আবু বকর

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

tab

চিঠিপত্র

প্রকৃতিকে বাঁচাতেই হবে

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

‘প্রকৃতি’ শব্দের মাঝে সুপ্তবস্থায় নিহিত আছে পরম মমতা, নৈস্বর্গিক ভালোবাসা ও নব্য প্রেরণা। স্নিগ্ধ পরশ, নিখাদ অন্তর্দষ্টি ও পবিত্র স্পর্শানুভূতিতে মিশ্রিত এক স্বচ্ছ রূপ। যা কেবল রুষ্ট মনকে পরিণত করে নিস্তেজে, পরিশ্রান্ত হৃদয়কে ছুঁয়ে দেয় শীতলতায় ও উন্মনা মনকে করে তোলে আন্দোলিত। প্রকৃতির এই চিরায়ত পরার্থপরতার স্বভাব যেন স্বর্গীয় সুপ্ত বার্তারই জানান দেয় যা কেবলই গভীর অবলোকনের দ্বারাই মর্মপোলব্ধি করা সম্ভব।

সূচনালগ্ন থেকে প্রকৃতি মানুষের সাথে সবচেয়ে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিয়ে আসছে। নিরবিচ্ছিন্নভাবে বেঁচে থাকার অমূল্য রতœ অক্সিজেন সরবরাহ, আশ্রয়ের ঠাঁইয়ের ব্যবস্থা ও নানাভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে যেন এক স্বার্থহীন সাহায্যের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। কিন্তু আমরা তার এই উপকারের প্রতিদান স্বরূপ কতোটুকু অবদান রাখতে পেরেছি। সবুজ বনায়নের বুক চিড়ে রাস্তা, আকাশচুম্বি পাহাড় কেঁটে ফেলা, সাগর-নদীর জল ভরাটসহ এরকম নানা প্রয়োজনে উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নির্মাণে বাঁধাহীনভাবে আমরা কাজ করছি। প্রকৃতি নিধন করে আমাদের এই অপ্রাপ্তি পূরণের আশা যেন বেড়েই চলেছে।

বিশেষজ্ঞরা প্রতিবারই প্রকৃতি ধ্বংসের ভয়াবহতা বলে আসছেন। নির্বিচারে গাছ কাঁটা ও পশু-পাখির অভয়ারণ্য উচ্ছেদ করছি। আমরা সকলেই জানি, বর্তমানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, সাগরের পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ওজন স্তরের ক্ষতি, জলবায়ু পরিবর্তন, ঋতুর স্বাভাবিক আগমনের সময় পরিবর্তন, বায়ু দূষণ, ইত্যাদি অনেক কিছুই আমাদের কর্মকা-ের কারণে হচ্ছে। আমরা বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিজের সুযোগ-সুবিধা কথা ভেবে পরিবেশ ধ্বংস করছি। কিন্তু এই নিধনের ফলে ভবিষ্যতের অবস্থা কেমন হতে পারে তা যেন আমাদের বোধগম্য হয়েও, হয় না।

আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রকৃতি রক্ষায় একসাথে এগিয়ে আসতে হবে। একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য বৃক্ষরোপন ও সংরক্ষণে বিকল্প নেই। আর নীল গ্ৰহের আয়ু বাড়াতে পারে সবুজ চাদরে ঘেরা নির্মল এই প্রকৃতি।

আবু বকর

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

back to top