আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় তিনি এ জিডি করেন তিনি।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, অজ্ঞাত নম্বর থেকে তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনের ইমো অ্যাপে কল করে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। প্রসিকিউটর হিসেবে তিনি একটি মামলার জামিনপ্রক্রিয়া দেরিতে করেছেন বলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ক্ষুব্ধ বলে দাবি করেন।
জিডিতে সুলতান মাহমুদ বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা ১৯ মিনিট থেকে ৩টা ৩৮ মিনিটের মধ্যে তার স্ত্রীর ইমো অ্যাপে কয়েকবার কল আসে। কলের অন্য প্রান্ত থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ওই ব্যক্তি দাবি করে, তার একটি মামলায় জামিন পেতে দেরি হওয়ার কারণে সে ক্ষুব্ধ।
সুলতান মাহমুদ আরও বলেন, ‘কলের সময় আমাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, হাইকোর্টে গিয়ে আমাকে খুন করা হবে।’ তিনি কথোপকথনের সূত্র ধরে বুঝতে পারেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আমির।
জিডিতে সুলতান মাহমুদ জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন কুখ্যাত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে নড়াইল, যশোর এবং ঢাকায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগে তিনি এই আমিরের দুটি ডাকাতির মামলায় জামিন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আদালতে দোষ স্বীকার করেও সে হুমকি দিচ্ছে। সে আমাকে ভয় দেখিয়েছে এবং আমার জীবনের ওপর সরাসরি আঘাত হানার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছে। কল রেকর্ড পরীক্ষা করলে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।’
এই ঘটনায় সুলতান মাহমুদ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির পেছনে আরও কেউ থাকতে পারে। তিনি বলেন, ‘হুমকিদাতা একা নয়। তাকে হয়তো কারো দ্বারা উসকানি দেয়া হয়েছে।’ জিডিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির ৩টি ঠিকানা দেয়া হয়েছে, যা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় অবস্থিত। এ তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট থানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
বি এম সুলতান মাহমুদ বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদায় প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি গত জুলাই-অগাস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকা- ও গুমের কয়েকটি মামলার তদন্ত এবং পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। এই দায়িত্ব পালনের সময়েই তিনি হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন বলে জিডিতে উল্লেখ করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। কল রেকর্ড সংগ্রহ এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্তের জন্য কাজ করছে তারা। নিউমার্কেট থানার কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে সব তথ্য যাচাই করছি। অভিযুক্তের পরিচয় এবং হুমকির পেছনের কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।’
সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আমি সঠিক তদন্ত এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছি। এটি শুধু আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয় নয়, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সুরক্ষাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’ এ ঘটনায় আইনজীবী মহল থেকে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তারা বলেছেন, আইনজীবী এবং প্রসিকিউটরদের হুমকি দেয়া বিচার ব্যবস্থার প্রতি অশুভ সংকেত। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও গুরুতর ঘটনা ঘটতে পারে।
অভিযোগে যার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, সেই আমিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় তিনি এ জিডি করেন তিনি।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, অজ্ঞাত নম্বর থেকে তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনের ইমো অ্যাপে কল করে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। প্রসিকিউটর হিসেবে তিনি একটি মামলার জামিনপ্রক্রিয়া দেরিতে করেছেন বলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ক্ষুব্ধ বলে দাবি করেন।
জিডিতে সুলতান মাহমুদ বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা ১৯ মিনিট থেকে ৩টা ৩৮ মিনিটের মধ্যে তার স্ত্রীর ইমো অ্যাপে কয়েকবার কল আসে। কলের অন্য প্রান্ত থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ওই ব্যক্তি দাবি করে, তার একটি মামলায় জামিন পেতে দেরি হওয়ার কারণে সে ক্ষুব্ধ।
সুলতান মাহমুদ আরও বলেন, ‘কলের সময় আমাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, হাইকোর্টে গিয়ে আমাকে খুন করা হবে।’ তিনি কথোপকথনের সূত্র ধরে বুঝতে পারেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আমির।
জিডিতে সুলতান মাহমুদ জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন কুখ্যাত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে নড়াইল, যশোর এবং ঢাকায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগে তিনি এই আমিরের দুটি ডাকাতির মামলায় জামিন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আদালতে দোষ স্বীকার করেও সে হুমকি দিচ্ছে। সে আমাকে ভয় দেখিয়েছে এবং আমার জীবনের ওপর সরাসরি আঘাত হানার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছে। কল রেকর্ড পরীক্ষা করলে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।’
এই ঘটনায় সুলতান মাহমুদ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির পেছনে আরও কেউ থাকতে পারে। তিনি বলেন, ‘হুমকিদাতা একা নয়। তাকে হয়তো কারো দ্বারা উসকানি দেয়া হয়েছে।’ জিডিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির ৩টি ঠিকানা দেয়া হয়েছে, যা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় অবস্থিত। এ তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট থানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
বি এম সুলতান মাহমুদ বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদায় প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি গত জুলাই-অগাস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকা- ও গুমের কয়েকটি মামলার তদন্ত এবং পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। এই দায়িত্ব পালনের সময়েই তিনি হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন বলে জিডিতে উল্লেখ করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। কল রেকর্ড সংগ্রহ এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্তের জন্য কাজ করছে তারা। নিউমার্কেট থানার কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে সব তথ্য যাচাই করছি। অভিযুক্তের পরিচয় এবং হুমকির পেছনের কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।’
সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আমি সঠিক তদন্ত এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছি। এটি শুধু আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয় নয়, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সুরক্ষাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’ এ ঘটনায় আইনজীবী মহল থেকে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তারা বলেছেন, আইনজীবী এবং প্রসিকিউটরদের হুমকি দেয়া বিচার ব্যবস্থার প্রতি অশুভ সংকেত। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও গুরুতর ঘটনা ঘটতে পারে।
অভিযোগে যার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, সেই আমিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।