# টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ‘শহীদ’ পরিবারের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’
# এখন থেকে লাগবে চিকিৎসা সনদ ও চিকিৎসকের সত্যায়ন
চিকিৎসাপত্র জালিয়াতি করে অনেকে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের’ আর্থিক সুবিধা নিতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই এমন অনেকে টাকার জন্য আবেদন করেন বলেও জানান তিনি।
সারজিস বলেন, আন্দোলনে জড়িতদের বাইরে অন্য কেউ যাতে তালিকায় ঢুকতে না পারেন, যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে জন্য নানাভাবে যাচাই করা হচ্ছে। জালিয়াতি প্রতিরোধে এখন থেকে অর্থ সহায়তা দেয়ার আগে চিকিৎসা সনদ ও চিকিৎসকের সত্যায়ন জমা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১ জানুয়ারি) ঢাকায় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সারজিস এসব কথা বলেন।
শহীদ পরিবারে সহায়তার টাকা নিয়ে ‘দ্বন্দ্ব হয়’ জানিয়ে তিনি বলেন, যিনি শহীদ, তার মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তানের মধ্যে সহায়তার টাকার কে কত শতাংশ পাবেন, তা নিয়েও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। আবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও সবাই নিয়ে আসতে পারেন না।
* যে সব কাগজপত্র লাগবে*
অর্থসহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব কাগজপত্র লাগবে, তা-ও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। শহীদদের ক্ষেত্রে মৃত্যুসনদ লাগবে। যদি তা না থাকে, তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের একটি প্রত্যয়নপত্র লাগবে। শহীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদের কপি লাগবে। যিনি নমিনি হবেন, তার পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধনের কপি লাগবে। সন্তানের ক্ষেত্রে বাবা/মায়ের পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধনের কপি লাগবে। যদি স্ত্রী থাকে, তাহলে তার পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদের কপি লাগবে।
আহত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের একটি ফরম পূরণ করতে হবে। যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, সেখানকার চিকিৎসকের সত্যায়িত কপি লাগবে। হাসপাতালে ভর্তির ফরম বা ছাড়পত্র চিকিৎসকের সত্যায়নসহ লাগবে। আহত ব্যক্তি বা নমিনির পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদের কপি লাগবে।
*২২২৯ পরিবারকে সহায়তা*
ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ সংবাদ সম্মেলনে জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ২ হাজার ২২৯ ব্যক্তির পরিবারকে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে; যার পরিমাণ ৪৭ কোটি ৩২ লাখ টাকার বেশি। এর মধ্যে শহীদ পরিবার ৬২৮ এবং আহত ব্যক্তির পরিবার ১ হাজার ৬০১। স্নিগ্ধ জানান, এখন পর্যন্ত ১০৯ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছে।
*সব বিভাগে অফিস*
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের জন্য প্রত্যেক বিভাগে একটি করে অফিস নেয়া হবে জানিয়ে সারজিস বলেন, অর্থ গ্রহণের জন্য নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদেরকে যাতে ঢাকায় আসতে না হয় সেজন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যরা ফাউন্ডেশনে এসে কেউ যেন খারাপ ব্যবহার না পায়, সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ খারাপ ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫
# টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ‘শহীদ’ পরিবারের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’
# এখন থেকে লাগবে চিকিৎসা সনদ ও চিকিৎসকের সত্যায়ন
চিকিৎসাপত্র জালিয়াতি করে অনেকে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের’ আর্থিক সুবিধা নিতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই এমন অনেকে টাকার জন্য আবেদন করেন বলেও জানান তিনি।
সারজিস বলেন, আন্দোলনে জড়িতদের বাইরে অন্য কেউ যাতে তালিকায় ঢুকতে না পারেন, যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে জন্য নানাভাবে যাচাই করা হচ্ছে। জালিয়াতি প্রতিরোধে এখন থেকে অর্থ সহায়তা দেয়ার আগে চিকিৎসা সনদ ও চিকিৎসকের সত্যায়ন জমা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১ জানুয়ারি) ঢাকায় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সারজিস এসব কথা বলেন।
শহীদ পরিবারে সহায়তার টাকা নিয়ে ‘দ্বন্দ্ব হয়’ জানিয়ে তিনি বলেন, যিনি শহীদ, তার মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তানের মধ্যে সহায়তার টাকার কে কত শতাংশ পাবেন, তা নিয়েও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। আবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও সবাই নিয়ে আসতে পারেন না।
* যে সব কাগজপত্র লাগবে*
অর্থসহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব কাগজপত্র লাগবে, তা-ও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। শহীদদের ক্ষেত্রে মৃত্যুসনদ লাগবে। যদি তা না থাকে, তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের একটি প্রত্যয়নপত্র লাগবে। শহীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদের কপি লাগবে। যিনি নমিনি হবেন, তার পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধনের কপি লাগবে। সন্তানের ক্ষেত্রে বাবা/মায়ের পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধনের কপি লাগবে। যদি স্ত্রী থাকে, তাহলে তার পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদের কপি লাগবে।
আহত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের একটি ফরম পূরণ করতে হবে। যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, সেখানকার চিকিৎসকের সত্যায়িত কপি লাগবে। হাসপাতালে ভর্তির ফরম বা ছাড়পত্র চিকিৎসকের সত্যায়নসহ লাগবে। আহত ব্যক্তি বা নমিনির পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদের কপি লাগবে।
*২২২৯ পরিবারকে সহায়তা*
ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ সংবাদ সম্মেলনে জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ২ হাজার ২২৯ ব্যক্তির পরিবারকে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে; যার পরিমাণ ৪৭ কোটি ৩২ লাখ টাকার বেশি। এর মধ্যে শহীদ পরিবার ৬২৮ এবং আহত ব্যক্তির পরিবার ১ হাজার ৬০১। স্নিগ্ধ জানান, এখন পর্যন্ত ১০৯ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছে।
*সব বিভাগে অফিস*
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের জন্য প্রত্যেক বিভাগে একটি করে অফিস নেয়া হবে জানিয়ে সারজিস বলেন, অর্থ গ্রহণের জন্য নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদেরকে যাতে ঢাকায় আসতে না হয় সেজন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যরা ফাউন্ডেশনে এসে কেউ যেন খারাপ ব্যবহার না পায়, সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ খারাপ ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।