বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন মঙ্গলবার। কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ করে সেদিন রাতে রওনা হবেন তিনি।
বিদেশে যাওয়ার দিনক্ষণ এগিয়ে আসার মধ্যে রোববার রাত ৯টায় গুলশানে তার বাসা ‘ফিরোজা’য় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
‘ফিরোজা’ থেকে বেরিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রার দিনক্ষণ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া প্রস্তুতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিএনপির এক নেতা বলেন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বিএনপি চেয়ারপারসনের অসুস্থতার জেনে তাকে লন্ডনে নিয়ে যেতে তার রাজকীয় বহরের এ বিশেষ উড়োজাহাজ দিয়েছেন। এতে সর্বাধুনিক চিকিৎসার অনেক সুবিধা রয়েছে।
লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় দীর্ঘদিন ভুগতে থাকা ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া মঙ্গলবার রাতে প্রথমে লন্ডনে তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে যাবেন।
ছেলের বাসায় কয়েকদিন থাকার পরে বিএনপি চেয়ারপারসন লিভারের উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী, জনগণের সবচেয়ে আদরের নেত্রী চিকিৎসার জন্য ৭ জানুয়ারি রাতে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। সেই কারণে আমরা জাতীয় স্থায়ী কমিটির সব সদস্য এসেছিলাম শুভেচ্ছা জানাতে।
“আমরা তার সঙ্গে আলাপ করেছি, কথা বলেছি। আল্লাহর কাছে এই দোয়া করেছি, তাকে সুস্থ করে আবার যেন আমাদের মাঝে, দেশের মানুষের মাঝে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।”
কবে নাগাদ খালেদা জিয়া ফিরবেন জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এটা তো চিকিৎসকরা বলতে পারবেন। আমরা তো বলতে পারি না। আমরা আশা করি উনি চিকিৎসা শেষে শিগগির দেশে ফিরে আসবেন।”
তিনি বলেন,‘গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করতে বলেছেন ম্যাডাম’
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় খালেদা জিয়ার নির্দেশনা কিংবা বার্তার বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, “ম্যাডাম নির্দেশনা দিয়েছেন, এক সঙ্গে কাজ কর, জনগণের পক্ষে কাজ কর, গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ কর।’’
রাত ৯টায় ‘ফিরোজা’য় একে একে প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হেসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সালাহউদ্দিন আহমেদ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও এজেডএম জাহিদ হোসেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বের হয়ে আসার পর দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন।
এর আগে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান অলি আহমেদ বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন।
রোববার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন মঙ্গলবার। কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ করে সেদিন রাতে রওনা হবেন তিনি।
বিদেশে যাওয়ার দিনক্ষণ এগিয়ে আসার মধ্যে রোববার রাত ৯টায় গুলশানে তার বাসা ‘ফিরোজা’য় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
‘ফিরোজা’ থেকে বেরিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রার দিনক্ষণ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া প্রস্তুতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিএনপির এক নেতা বলেন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বিএনপি চেয়ারপারসনের অসুস্থতার জেনে তাকে লন্ডনে নিয়ে যেতে তার রাজকীয় বহরের এ বিশেষ উড়োজাহাজ দিয়েছেন। এতে সর্বাধুনিক চিকিৎসার অনেক সুবিধা রয়েছে।
লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় দীর্ঘদিন ভুগতে থাকা ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া মঙ্গলবার রাতে প্রথমে লন্ডনে তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে যাবেন।
ছেলের বাসায় কয়েকদিন থাকার পরে বিএনপি চেয়ারপারসন লিভারের উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের দেশের গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী, জনগণের সবচেয়ে আদরের নেত্রী চিকিৎসার জন্য ৭ জানুয়ারি রাতে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। সেই কারণে আমরা জাতীয় স্থায়ী কমিটির সব সদস্য এসেছিলাম শুভেচ্ছা জানাতে।
“আমরা তার সঙ্গে আলাপ করেছি, কথা বলেছি। আল্লাহর কাছে এই দোয়া করেছি, তাকে সুস্থ করে আবার যেন আমাদের মাঝে, দেশের মানুষের মাঝে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।”
কবে নাগাদ খালেদা জিয়া ফিরবেন জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এটা তো চিকিৎসকরা বলতে পারবেন। আমরা তো বলতে পারি না। আমরা আশা করি উনি চিকিৎসা শেষে শিগগির দেশে ফিরে আসবেন।”
তিনি বলেন,‘গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করতে বলেছেন ম্যাডাম’
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় খালেদা জিয়ার নির্দেশনা কিংবা বার্তার বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, “ম্যাডাম নির্দেশনা দিয়েছেন, এক সঙ্গে কাজ কর, জনগণের পক্ষে কাজ কর, গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ কর।’’
রাত ৯টায় ‘ফিরোজা’য় একে একে প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হেসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সালাহউদ্দিন আহমেদ, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও এজেডএম জাহিদ হোসেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বের হয়ে আসার পর দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন।
এর আগে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান অলি আহমেদ বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন।