‘জুলাই ঘোষণষাপত্র’ প্রসঙ্গে সব শ্রেণীপেশার মানুষের মনোভাব জানতে গণসংযোগ শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। যৌথ এই কর্মসূচি চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ি, দেশের প্রতিটি জেলায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় ছাত্র-নাগরিক-কৃষক-শ্রমিক, সর্বস্তরের মানুষের মাঝে একযোগে জনসংযোগ চলবে। লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি সমাবেশও হবে বিভিন্ন এলাকায়।
ফরিদপুরে সমাবেশ
যৌথ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৬ জানুয়ারি সোমবার ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আয়োজিত সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘চব্বিশের অভ্যুত্থানের প্রতিটি ঘটনার সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। প্রতিটি ব্যক্তি ও বিষয়কে সংবিধানে যুক্ত করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী প্লাটফর্মকেও সংবিধানে যুক্ত করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করতে হবে। আগে বিচার হবে, সংস্কার হবে, এরপরে নির্বাচন। তার আগে কোনোভাবেই নির্বাচন দেয়া যাবে না।’
অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো সম্পর্কে সারজিস বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারেননি বলে পারেননি। জুলাইয়ে আমরা এক হতে পেরেছি বলে এই অভ্যুত্থান হয়েছে। আমরা যদি আবার স্বার্থের দ্বন্দ্ব, ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িত হই তাহলে বিভাজন শুরু হবে। আর এই সুযোগে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ ফিরে আসার পথ পাবে।’ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারি। আমরা কারও কাছে নতজানু নই। পৃথিবীর যে কোনো পরাশক্তি যদি পররাষ্ট্র নীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চায় তাহলে তা আমরা ছুড়ে ফেলবো।’
*সব লিফলেট পৌছাবে আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) *
কুরিয়ার সার্ভিসে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে লিফলেট পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে নাগরিক কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য মনিরা শারমিন সোমবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রাজধানীর বাইরে সব জায়গায় এখনো লিফলেট পৌঁছেনি। মঙ্গলবারের মধ্যেই কুরিয়ারে সব জায়গায় লিফলেট পৌঁছে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নাগরিক কমিটির এই নেত্রী বলেন, ‘গতকাল জাতীয় নাগরিক কমিটির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ঢাকা (বিভিন্ন স্থানে) এবং ঢাকার বাইরে গিয়েছেন।’ গণসংযোগ ছাড়াও ঢাকার বাইরে বেশ কিছু জায়গায় কমিটি গঠনের কাজেও নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতারা থাকবেন বলে জানান তিনি।
*৬ দিনব্যাপী গণসংযোগ*
গত শনিবার ঢাকার বাংলামোটরের এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেন নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি বিশ্বাস করে এই প্রোক্লেমেশন অব রেভ্যুলেশন বাস্তবায়ন ও ঘোষণা জাতীয় এবং ঐতিহাসিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। আমাদের প্রত্যাশা এই ঘোষণাপত্রে জনমানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।’
৬ থেকে ১১ জানুয়ারি সারাদেশে জনসংযোগ করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ সময় আমরা লিফলেট বিতরণ, সমাবেশ এবং বিভিন্ন মাত্রায় জনসংযোগ করব। বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কী, তারা কী দেখতে চায় এ প্রক্লেমেশনে, সেটা শোনার জন্য আমরা মানুষের কাছে ছুটে যাব। আগামী সপ্তাহ জুড়ে দেশের প্রতিটি জেলায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় ছাত্র-নাগরিক-কৃষক-শ্রমিক, সবস্তরের মানুষের মাঝে একযোগে জনসংযোগ চালাব।’
*মার্চ ফর ইউনিটি*
গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের কথা ছিল। এ নিয়ে কর্মসূচি দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতারা বলেছিলেন, ‘জুলাই প্রোক্লেমেশন’ হবে ‘আগামীর বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র’। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে এর মাধ্যমে ‘নাৎসিবাহিনীর’ মত ‘অপ্রাসঙ্গিক’ ঘোষণা করা হবে। একইসঙ্গে ১৯৭২ সালের ‘মুজিববাদী’ সংবিধানের ‘কবর’ রচনা করা হবে।
এর আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ তৈরীর ঘোষণা এলে তা মেনে নিয়ে গণসংযোগের নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটি।
মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫
‘জুলাই ঘোষণষাপত্র’ প্রসঙ্গে সব শ্রেণীপেশার মানুষের মনোভাব জানতে গণসংযোগ শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। যৌথ এই কর্মসূচি চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ি, দেশের প্রতিটি জেলায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় ছাত্র-নাগরিক-কৃষক-শ্রমিক, সর্বস্তরের মানুষের মাঝে একযোগে জনসংযোগ চলবে। লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি সমাবেশও হবে বিভিন্ন এলাকায়।
ফরিদপুরে সমাবেশ
যৌথ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৬ জানুয়ারি সোমবার ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আয়োজিত সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘চব্বিশের অভ্যুত্থানের প্রতিটি ঘটনার সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। প্রতিটি ব্যক্তি ও বিষয়কে সংবিধানে যুক্ত করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী প্লাটফর্মকেও সংবিধানে যুক্ত করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করতে হবে। আগে বিচার হবে, সংস্কার হবে, এরপরে নির্বাচন। তার আগে কোনোভাবেই নির্বাচন দেয়া যাবে না।’
অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো সম্পর্কে সারজিস বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারেননি বলে পারেননি। জুলাইয়ে আমরা এক হতে পেরেছি বলে এই অভ্যুত্থান হয়েছে। আমরা যদি আবার স্বার্থের দ্বন্দ্ব, ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িত হই তাহলে বিভাজন শুরু হবে। আর এই সুযোগে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ ফিরে আসার পথ পাবে।’ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারি। আমরা কারও কাছে নতজানু নই। পৃথিবীর যে কোনো পরাশক্তি যদি পররাষ্ট্র নীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চায় তাহলে তা আমরা ছুড়ে ফেলবো।’
*সব লিফলেট পৌছাবে আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) *
কুরিয়ার সার্ভিসে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে লিফলেট পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে নাগরিক কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য মনিরা শারমিন সোমবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রাজধানীর বাইরে সব জায়গায় এখনো লিফলেট পৌঁছেনি। মঙ্গলবারের মধ্যেই কুরিয়ারে সব জায়গায় লিফলেট পৌঁছে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নাগরিক কমিটির এই নেত্রী বলেন, ‘গতকাল জাতীয় নাগরিক কমিটির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ঢাকা (বিভিন্ন স্থানে) এবং ঢাকার বাইরে গিয়েছেন।’ গণসংযোগ ছাড়াও ঢাকার বাইরে বেশ কিছু জায়গায় কমিটি গঠনের কাজেও নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতারা থাকবেন বলে জানান তিনি।
*৬ দিনব্যাপী গণসংযোগ*
গত শনিবার ঢাকার বাংলামোটরের এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেন নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি বিশ্বাস করে এই প্রোক্লেমেশন অব রেভ্যুলেশন বাস্তবায়ন ও ঘোষণা জাতীয় এবং ঐতিহাসিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। আমাদের প্রত্যাশা এই ঘোষণাপত্রে জনমানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে।’
৬ থেকে ১১ জানুয়ারি সারাদেশে জনসংযোগ করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এ সময় আমরা লিফলেট বিতরণ, সমাবেশ এবং বিভিন্ন মাত্রায় জনসংযোগ করব। বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কী, তারা কী দেখতে চায় এ প্রক্লেমেশনে, সেটা শোনার জন্য আমরা মানুষের কাছে ছুটে যাব। আগামী সপ্তাহ জুড়ে দেশের প্রতিটি জেলায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় ছাত্র-নাগরিক-কৃষক-শ্রমিক, সবস্তরের মানুষের মাঝে একযোগে জনসংযোগ চালাব।’
*মার্চ ফর ইউনিটি*
গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের কথা ছিল। এ নিয়ে কর্মসূচি দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতারা বলেছিলেন, ‘জুলাই প্রোক্লেমেশন’ হবে ‘আগামীর বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র’। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে এর মাধ্যমে ‘নাৎসিবাহিনীর’ মত ‘অপ্রাসঙ্গিক’ ঘোষণা করা হবে। একইসঙ্গে ১৯৭২ সালের ‘মুজিববাদী’ সংবিধানের ‘কবর’ রচনা করা হবে।
এর আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ তৈরীর ঘোষণা এলে তা মেনে নিয়ে গণসংযোগের নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটি।