দুর্ঘটনা রোধে কড়াকড়ি আরোপ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) তাদের কার্যক্রমে উন্নতি না আনলে সংস্থাটি বিলুপ্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। শনিবার ঢাকার বনানীতে বিআরটিএর কার্যালয়ে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিআরটিএর কর্মকাণ্ডে কিছুটা উন্নতি হলেও তা এখনও সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি বলে মনে করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “বিআরটিএর কর্মকর্তাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি, তাদের বর্তমান আচরণ ও কাজের ধরণ গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের অনেক দপ্তর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিআরটিএ যদি পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে না পারে, তাহলে এটিকেও বন্ধ করার কথা ভাবতে হবে।”
তিনি জানান, বিআরটিএকে ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং তাদের কাজের অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
সড়কে দুর্ঘটনা কমানোর বিষয়ে সংস্থাটির দায়-দায়িত্বের ওপর জোর দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনা আমরা এখনও কমাতে পারিনি। বরং দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক বছরে ৭,২৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১২ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি।”
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনা রোধে সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, গাড়ির ফিটনেস এবং চালকের লাইসেন্সের অনিয়মের ক্ষেত্রে বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সরাসরি দায়ী করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, “বর্তমান প্রক্রিয়াটি জটিল। নতুন ব্যবস্থায় যারা নিরাপদে গাড়ি চালানোর যোগ্য, তারা সহজেই লাইসেন্স পাবেন। তবে লাইসেন্স পাওয়ার আগে আই টেস্ট, ডোপ টেস্টসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।”
তিনি জানান, বাকি থাকা সাড়ে ৪ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স আগামী মার্চের মধ্যেই ইস্যু করা হবে। এছাড়া গাড়ির মালিকানা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও সহজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
যানবাহনের ফিটনেস সনদ নবায়নের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। উপদেষ্টা বলেন, “যানবাহনের ফিটনেস নবায়নের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হবে। সময়সীমা অতিক্রম করলে ফিটনেস সনদ বাতিল করা হবে। এছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।”
চালকদের প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, বিআরটিসি, এসিআইপি, পুলিশসহ বিভিন্ন ট্রেনিং স্কুলে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রশিক্ষণের মান নিশ্চিত করতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বিআরটিএর কার্যক্রমে কার্যকর পরিবর্তন না এলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ এবং সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক, বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন এবং আইজিপি বাহারুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
দুর্ঘটনা রোধে কড়াকড়ি আরোপ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) তাদের কার্যক্রমে উন্নতি না আনলে সংস্থাটি বিলুপ্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। শনিবার ঢাকার বনানীতে বিআরটিএর কার্যালয়ে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিআরটিএর কর্মকাণ্ডে কিছুটা উন্নতি হলেও তা এখনও সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি বলে মনে করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “বিআরটিএর কর্মকর্তাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি, তাদের বর্তমান আচরণ ও কাজের ধরণ গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের অনেক দপ্তর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিআরটিএ যদি পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে না পারে, তাহলে এটিকেও বন্ধ করার কথা ভাবতে হবে।”
তিনি জানান, বিআরটিএকে ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং তাদের কাজের অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
সড়কে দুর্ঘটনা কমানোর বিষয়ে সংস্থাটির দায়-দায়িত্বের ওপর জোর দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনা আমরা এখনও কমাতে পারিনি। বরং দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক বছরে ৭,২৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১২ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি।”
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনা রোধে সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, গাড়ির ফিটনেস এবং চালকের লাইসেন্সের অনিয়মের ক্ষেত্রে বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সরাসরি দায়ী করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, “বর্তমান প্রক্রিয়াটি জটিল। নতুন ব্যবস্থায় যারা নিরাপদে গাড়ি চালানোর যোগ্য, তারা সহজেই লাইসেন্স পাবেন। তবে লাইসেন্স পাওয়ার আগে আই টেস্ট, ডোপ টেস্টসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।”
তিনি জানান, বাকি থাকা সাড়ে ৪ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স আগামী মার্চের মধ্যেই ইস্যু করা হবে। এছাড়া গাড়ির মালিকানা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও সহজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
যানবাহনের ফিটনেস সনদ নবায়নের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। উপদেষ্টা বলেন, “যানবাহনের ফিটনেস নবায়নের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হবে। সময়সীমা অতিক্রম করলে ফিটনেস সনদ বাতিল করা হবে। এছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।”
চালকদের প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, বিআরটিসি, এসিআইপি, পুলিশসহ বিভিন্ন ট্রেনিং স্কুলে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রশিক্ষণের মান নিশ্চিত করতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বিআরটিএর কার্যক্রমে কার্যকর পরিবর্তন না এলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ এবং সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক, বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন এবং আইজিপি বাহারুল আলম উপস্থিত ছিলেন।