অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের টাইমফ্রেম নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা মাথায় রেখেইে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ি নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়ে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সিলেট সার্কিট হাউজে ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং আগামী সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আপনি যে আরেকটা বিশেষ দলের কথা বলছেন, দেখেন- আমাদের কাজ হলো যখন আমরা শিডিউল ঘোষণা করি, তার আগে যে কয়টা দল নিবন্ধিত থাকে, ওদের মধ্যে একটা সুন্দর নির্বাচন আয়োজন করা। সময় আসুক দেখবেন, কারা কারা নিবন্ধিত অবস্থায় থাকে। যারা যারা থাকবে, তাদের নিয়ে নির্বাচন করব আমরা। অপেক্ষা করুন, আমরাও অপেক্ষা করে দেখি- ওই সময় পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করে দেখি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আগামী (ত্রয়োদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হলে তা হবে গণ-অভ্যুত্থানে লড়াই করা জনগণের ‘আকাক্সক্ষার বিরুদ্ধাচরণ’। এদিকে নির্বাচন কমিশনের যে সংস্কার হচ্ছে, তার অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
*স্থানীয় সরকার নির্বাচন*
স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘একটা বিষয়ে আমি ক্ল্যারিফাই করার খুব প্রয়োজন মনে করছি। পত্র-পত্রিকায় দেখছি, একদিনে সব লোকাল গভর্নমেন্টের নির্বাচন করার সুপারিশ কেউ কেউ করছে। বিষয়টি আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি- এটা কোনোমতেই সম্ভব নয়; এটা বাস্তবায়নযোগ্য কোনো পরামর্শ নয়।’
সিইসি বলেন, ‘সিটি করপোশেন, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা, ইউনিয়ন পরিষদ- পাঁচটা নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বলতে এই পাঁচটা নির্বাচন আপনাকে করতে হবে। আমাদের সিটি করপোরেশন হলো ১২টা, পৌরসভা হলো ৩৩০টা, জেলা হলো ৬১টি, তিনটা পার্বত্য জেলায় আমরা জেলা নির্বাচন করি না। আমাদের উপজেলা হচ্ছে ৪৯৫টা, আর আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ হচ্ছে ৪ হাজার ৫৯৫টা। এই সব নির্বাচন একদিনে করা-এটা আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য সুপারিশ নয়, এটা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। ইসি এটাকে কোনো বাস্তবায়নযোগ্য কোনো পরামর্শ বলে মনে করে না।’
স্থানীয় সরকারের ভোটের দিনক্ষণ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘অনেকে আবার বলছেন যে- জাতীয় নির্বাচনের দিন একসঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা যেতে পারে; এইরকম পরামর্শ কেউ কেউ দিচ্ছে। এটা ইকুয়ালি নট ইমপ্লিমেন্টেবল; মেবি থিওরিটিক্যাল সাউন্ড, বাট প্র্যাক্টিকালি নট ইমপ্লিমেন্টেবল। আর স্থানীয় সরকার ইলেকশন কবে হবে, না হবে- এই ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য এখন করতে চাচ্ছি না।’
*নির্বাচনের টাইমফ্রেম *
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে ধারণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ভোট কবে হবে তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে কতটা সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়া হবে, তার ওপর। মোটাদাগে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।
সিইসি বলেন, ‘আমি আগে একাধিকার বলেছি, ১৬ই ডিসেম্বরের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন জাতীয় নির্বাচনের টাইমফ্রেম নিয়ে- সেটা মাথায় রেখেই ইসি কাজ করছে। আমরা আমাদের সেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ওনার বক্তব্য অনুযায়ী যাতে আমরা নির্বাচন করতে পারি, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আগামী নির্বাচন ব্যালটে হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হবে না, এটা পরিষ্কার। আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে করার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।’
নির্বাচনি বিভিন্ন বিষয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রিফর্মস কমিশন হয়েছে তো, আমাদের নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার কমিশনের রিপোর্টটা এখনও আমরা পাইনি। এই রিপোর্টটা পেলে-তারা কী সুপারিশ দেয় তা পর্যালোচনা করে তাহলে আমরা হয়তো একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারব। আমরা অপেক্ষা করছি তাদের রিপোর্টের জন্য।’
*প্রবাসী ভোটার*
বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, ‘এবার আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে ভোট দেয়া নিশ্চিত করতে চাই। অতীতে আমরা এ ব্যাপারে অনেকবার আশ্বাসের কথা শুনেছি। এই সরকারের আমলে এটা যেন প্রথমবারের মতো বাস্তবায়িত হয় এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এর জন্য একটা নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা করতে হবে।’
এবার প্রবাসীরা ভোটাধিকার পাবে কিনা- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘অবশ্যই পাবে, ইনশাল্লাহ। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি এবং সিরিয়াসলি কাজ করছি- যাতে আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনদের এবার আমরা ইলেকশনের আওতায় আনতে পারি। উই আর সিরিয়াসলি ওয়ার্কিং অন ইট।’
প্রবাসীদের ভোটের অধিকার দিতে হলে ভোটার হিসেবে শিডিউল ঘোষণার আগেই ভোটার করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এদের অনেকেই অলরেডি ভোটার হয়ে আছেন, বাকিদেরকেও ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত করার উদ্যোগ নিচ্ছি। এখন দেখেন, প্রথম বছর হয়তো হান্ড্রেড পার্সেন্ট প্রবাসীদের আমরা আনতে পারব না, বাট আমরা কাজটা শুরু করতে চাই।’
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের টাইমফ্রেম নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা মাথায় রেখেইে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ি নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়ে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সিলেট সার্কিট হাউজে ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং আগামী সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আপনি যে আরেকটা বিশেষ দলের কথা বলছেন, দেখেন- আমাদের কাজ হলো যখন আমরা শিডিউল ঘোষণা করি, তার আগে যে কয়টা দল নিবন্ধিত থাকে, ওদের মধ্যে একটা সুন্দর নির্বাচন আয়োজন করা। সময় আসুক দেখবেন, কারা কারা নিবন্ধিত অবস্থায় থাকে। যারা যারা থাকবে, তাদের নিয়ে নির্বাচন করব আমরা। অপেক্ষা করুন, আমরাও অপেক্ষা করে দেখি- ওই সময় পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করে দেখি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আগামী (ত্রয়োদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হলে তা হবে গণ-অভ্যুত্থানে লড়াই করা জনগণের ‘আকাক্সক্ষার বিরুদ্ধাচরণ’। এদিকে নির্বাচন কমিশনের যে সংস্কার হচ্ছে, তার অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
*স্থানীয় সরকার নির্বাচন*
স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘একটা বিষয়ে আমি ক্ল্যারিফাই করার খুব প্রয়োজন মনে করছি। পত্র-পত্রিকায় দেখছি, একদিনে সব লোকাল গভর্নমেন্টের নির্বাচন করার সুপারিশ কেউ কেউ করছে। বিষয়টি আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি- এটা কোনোমতেই সম্ভব নয়; এটা বাস্তবায়নযোগ্য কোনো পরামর্শ নয়।’
সিইসি বলেন, ‘সিটি করপোশেন, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা, ইউনিয়ন পরিষদ- পাঁচটা নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বলতে এই পাঁচটা নির্বাচন আপনাকে করতে হবে। আমাদের সিটি করপোরেশন হলো ১২টা, পৌরসভা হলো ৩৩০টা, জেলা হলো ৬১টি, তিনটা পার্বত্য জেলায় আমরা জেলা নির্বাচন করি না। আমাদের উপজেলা হচ্ছে ৪৯৫টা, আর আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ হচ্ছে ৪ হাজার ৫৯৫টা। এই সব নির্বাচন একদিনে করা-এটা আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য সুপারিশ নয়, এটা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। ইসি এটাকে কোনো বাস্তবায়নযোগ্য কোনো পরামর্শ বলে মনে করে না।’
স্থানীয় সরকারের ভোটের দিনক্ষণ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘অনেকে আবার বলছেন যে- জাতীয় নির্বাচনের দিন একসঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা যেতে পারে; এইরকম পরামর্শ কেউ কেউ দিচ্ছে। এটা ইকুয়ালি নট ইমপ্লিমেন্টেবল; মেবি থিওরিটিক্যাল সাউন্ড, বাট প্র্যাক্টিকালি নট ইমপ্লিমেন্টেবল। আর স্থানীয় সরকার ইলেকশন কবে হবে, না হবে- এই ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য এখন করতে চাচ্ছি না।’
*নির্বাচনের টাইমফ্রেম *
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে ধারণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ভোট কবে হবে তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে কতটা সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়া হবে, তার ওপর। মোটাদাগে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।
সিইসি বলেন, ‘আমি আগে একাধিকার বলেছি, ১৬ই ডিসেম্বরের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন জাতীয় নির্বাচনের টাইমফ্রেম নিয়ে- সেটা মাথায় রেখেই ইসি কাজ করছে। আমরা আমাদের সেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ওনার বক্তব্য অনুযায়ী যাতে আমরা নির্বাচন করতে পারি, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আগামী নির্বাচন ব্যালটে হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হবে না, এটা পরিষ্কার। আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে করার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।’
নির্বাচনি বিভিন্ন বিষয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রিফর্মস কমিশন হয়েছে তো, আমাদের নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার কমিশনের রিপোর্টটা এখনও আমরা পাইনি। এই রিপোর্টটা পেলে-তারা কী সুপারিশ দেয় তা পর্যালোচনা করে তাহলে আমরা হয়তো একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারব। আমরা অপেক্ষা করছি তাদের রিপোর্টের জন্য।’
*প্রবাসী ভোটার*
বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, ‘এবার আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে ভোট দেয়া নিশ্চিত করতে চাই। অতীতে আমরা এ ব্যাপারে অনেকবার আশ্বাসের কথা শুনেছি। এই সরকারের আমলে এটা যেন প্রথমবারের মতো বাস্তবায়িত হয় এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এর জন্য একটা নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা করতে হবে।’
এবার প্রবাসীরা ভোটাধিকার পাবে কিনা- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘অবশ্যই পাবে, ইনশাল্লাহ। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি এবং সিরিয়াসলি কাজ করছি- যাতে আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনদের এবার আমরা ইলেকশনের আওতায় আনতে পারি। উই আর সিরিয়াসলি ওয়ার্কিং অন ইট।’
প্রবাসীদের ভোটের অধিকার দিতে হলে ভোটার হিসেবে শিডিউল ঘোষণার আগেই ভোটার করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এদের অনেকেই অলরেডি ভোটার হয়ে আছেন, বাকিদেরকেও ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত করার উদ্যোগ নিচ্ছি। এখন দেখেন, প্রথম বছর হয়তো হান্ড্রেড পার্সেন্ট প্রবাসীদের আমরা আনতে পারব না, বাট আমরা কাজটা শুরু করতে চাই।’