সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওর ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনালের আদেশ
রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশের কনস্টেবল মোহাম্মদ সুজন হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ রোববার তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে এই আদেশ দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ শুনানিতে জানান, গত ৫ আগস্ট বোরহানউদ্দিন কলেজের পাশে সুজন হোসেনকে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করতে দেখা যায়। কখনো দাঁড়িয়ে, কখনো শুয়ে তিনি গুলি করেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যার স্থিরচিত্র ট্রাইব্যুনালে প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হয়েছে।
শুনানিতে প্রসিকিউটর আরও জানান, সুজনের বিরুদ্ধে এখনো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে শাহবাগ থানায় একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
শুনানিতে সুজন হোসেনের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। তবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা দাবি করেন, ভিডিও প্রমাণ ও স্থিরচিত্রের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ বলেন, "এই ঘটনায় সুজন হোসেনের ভূমিকা সম্পর্কে তদন্ত চলছে। এখনো কোনো অভিযোগপত্র বা মামলা দায়ের করা হয়নি। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইনসহ অন্যান্য প্রসিকিউটর উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে বিচারপ্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনাগুলো সঠিকভাবে তদন্ত ও বিচার করা হলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই আদেশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এখন তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর থাকবে সবার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওর ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনালের আদেশ
রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশের কনস্টেবল মোহাম্মদ সুজন হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ রোববার তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে এই আদেশ দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ শুনানিতে জানান, গত ৫ আগস্ট বোরহানউদ্দিন কলেজের পাশে সুজন হোসেনকে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করতে দেখা যায়। কখনো দাঁড়িয়ে, কখনো শুয়ে তিনি গুলি করেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যার স্থিরচিত্র ট্রাইব্যুনালে প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হয়েছে।
শুনানিতে প্রসিকিউটর আরও জানান, সুজনের বিরুদ্ধে এখনো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে শাহবাগ থানায় একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
শুনানিতে সুজন হোসেনের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। তবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা দাবি করেন, ভিডিও প্রমাণ ও স্থিরচিত্রের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ বলেন, "এই ঘটনায় সুজন হোসেনের ভূমিকা সম্পর্কে তদন্ত চলছে। এখনো কোনো অভিযোগপত্র বা মামলা দায়ের করা হয়নি। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইনসহ অন্যান্য প্রসিকিউটর উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে বিচারপ্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনাগুলো সঠিকভাবে তদন্ত ও বিচার করা হলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই আদেশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এখন তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর থাকবে সবার।