নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘ইসির সামগ্রিক ফোকাস (মনোযোগ) জাতীয় নির্বাচন নিয়ে, অন্য কোনো নির্বাচন নিয়ে নয়।’ জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করে স্থানীয় নির্বাচনে আসা ঠিক হবে না, তবে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি থাকলে সব নির্বাচনের প্রস্তুতিই সম্পন্ন হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সরকার যদি চায় আমাদের দিয়ে সব নির্বাচন একসঙ্গে করাবে, সেই ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান হলো সব নির্বাচন একসঙ্গে করা ঠিক হবে না।’ দেশের আবহাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন করতে হলে কমিশনকে কিছুটা সময় দিতে হবে।’
এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটা সংস্কার কমিশন কাজ করছে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আইন-বিধিমালায় কোনো সংশোধন দরকার হলে, সেটা করতে একটা সময়ও লাগবে।’ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্কার কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে, তারা তা বাস্তবায়ন করবেন বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ‘বেশির ভাগ মানুষ চান আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হোক’ নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান তোফায়েল আহমেদের এমন বক্তব্য দেয়ার পর এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
এ বিষয়ে মো. সানাউল্লাহ জানান, কেউ কেউ একই সঙ্গে সব নির্বাচন করার পক্ষে বিপক্ষে মত দিচ্ছেন। তাই কমিশন এনিয়ে স্বপ্রণোদিতভাবে আলোচনা করেছে। যাতে করে আমরা আমাদের অবস্থানটাও তুলে ধরতে পারি। কারণ, কমিশনকে নির্বাচন করতে হবে। যদিও সব নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। আর এখনও পর্যন্ত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে চিঠিও দেয়া হয়নি।
পরে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা সব অনুবিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে যেটা বুঝতে পেরেছি এটা আসলে বাস্তবসম্মত প্রস্তাব নয়, সম্ভব নয়।’
এনআইডি সংক্রান্ত বিষয়ে সানাউল্লাহ বলেন, ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল করে আগের আইনে ফিরে যেতে বিগত কমিশন ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে চিঠি দিয়েছিল। আমরা এরই ধারাবাহিকতায় কমিশন থেকে আবারও পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীনে থাকুক তা চায় বর্তমান নির্বাচন কমিশন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবিধানিক নির্বাচন কমিশনকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা এনআইডি স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই ডাটাবেইজ ইসি করেছে। অন্য কোনো দপ্তরে এই কার্যক্রম যাওয়া আমরা যৌক্তিক মনে করি না।’
ইভিএম নিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘ইভিএম প্রকল্প শেষ হয়েছে। তবে এখনো ইভিএম নির্বাচন কমিশনে টেকওভার করা হয়নি। আমরা জানি না ভবিষ্যতে ইভিএম কীভাবে ব্যবহার হবে। বর্তমানে যেসব ইভিএম আছে তা জরুরি ভিত্তিতে বুঝে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
১৪তম এই নির্বাচন কমিশনের দ্বিতীয় সভায় আগামী জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এসময় চার নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিব উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘ইসির সামগ্রিক ফোকাস (মনোযোগ) জাতীয় নির্বাচন নিয়ে, অন্য কোনো নির্বাচন নিয়ে নয়।’ জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করে স্থানীয় নির্বাচনে আসা ঠিক হবে না, তবে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি থাকলে সব নির্বাচনের প্রস্তুতিই সম্পন্ন হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সরকার যদি চায় আমাদের দিয়ে সব নির্বাচন একসঙ্গে করাবে, সেই ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান হলো সব নির্বাচন একসঙ্গে করা ঠিক হবে না।’ দেশের আবহাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন করতে হলে কমিশনকে কিছুটা সময় দিতে হবে।’
এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটা সংস্কার কমিশন কাজ করছে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আইন-বিধিমালায় কোনো সংশোধন দরকার হলে, সেটা করতে একটা সময়ও লাগবে।’ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্কার কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে, তারা তা বাস্তবায়ন করবেন বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ‘বেশির ভাগ মানুষ চান আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হোক’ নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান তোফায়েল আহমেদের এমন বক্তব্য দেয়ার পর এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
এ বিষয়ে মো. সানাউল্লাহ জানান, কেউ কেউ একই সঙ্গে সব নির্বাচন করার পক্ষে বিপক্ষে মত দিচ্ছেন। তাই কমিশন এনিয়ে স্বপ্রণোদিতভাবে আলোচনা করেছে। যাতে করে আমরা আমাদের অবস্থানটাও তুলে ধরতে পারি। কারণ, কমিশনকে নির্বাচন করতে হবে। যদিও সব নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। আর এখনও পর্যন্ত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে চিঠিও দেয়া হয়নি।
পরে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা সব অনুবিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে যেটা বুঝতে পেরেছি এটা আসলে বাস্তবসম্মত প্রস্তাব নয়, সম্ভব নয়।’
এনআইডি সংক্রান্ত বিষয়ে সানাউল্লাহ বলেন, ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল করে আগের আইনে ফিরে যেতে বিগত কমিশন ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে চিঠি দিয়েছিল। আমরা এরই ধারাবাহিকতায় কমিশন থেকে আবারও পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীনে থাকুক তা চায় বর্তমান নির্বাচন কমিশন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবিধানিক নির্বাচন কমিশনকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা এনআইডি স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই ডাটাবেইজ ইসি করেছে। অন্য কোনো দপ্তরে এই কার্যক্রম যাওয়া আমরা যৌক্তিক মনে করি না।’
ইভিএম নিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘ইভিএম প্রকল্প শেষ হয়েছে। তবে এখনো ইভিএম নির্বাচন কমিশনে টেকওভার করা হয়নি। আমরা জানি না ভবিষ্যতে ইভিএম কীভাবে ব্যবহার হবে। বর্তমানে যেসব ইভিএম আছে তা জরুরি ভিত্তিতে বুঝে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
১৪তম এই নির্বাচন কমিশনের দ্বিতীয় সভায় আগামী জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এসময় চার নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিব উপস্থিত ছিলেন।