খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকার ভর্তুকি বাড়ানোর পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, সরকারের রাজস্ব প্রয়োজন এবং ভর্তুকি দিতে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করতে হয়। এ কারণেই কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। তবে এতে সাধারণ মানুষের তেমন অসুবিধা হবে না।
সোমবার সকালে মাদারীপুর সার্কিট হাউসে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ বছর অকালবন্যায় আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “এই ক্ষতির ফলে খাদ্যনিরাপত্তা ঝুঁকিতে ছিল। তবে সরকার সেই ঘাটতি পূরণে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করছে। আগামীতে ভালো ফসল হলে ইরি ধানের বাম্পার উৎপাদনের মাধ্যমে আমদানি কমানো সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব হলো বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে তা সঠিকভাবে পৌঁছানো এবং চালের বাজার স্থিতিশীল রাখা। আমদানিকৃত খাদ্য এই প্রচেষ্টায় সহায়ক হবে।”
খাদ্য উপদেষ্টা জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ সুবিধাভোগী আগামী দুই মাস মাত্র ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল পাবেন। পাশাপাশি, খোলা বাজারে বিক্রির (ওএমএস) সুবিধা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিটি উপজেলায় ২ টন চাল সরবরাহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের ভর্তুকি ও অন্যান্য উদ্যোগ সাধারণ মানুষের জন্য উপকারী হবে। পাশাপাশি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমদানি কার্যক্রম চালু রাখা হবে।”
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “মন্ত্রণালয়ের কিছু অনিয়ম রয়েছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এই অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতি রোধ এবং খাদ্য বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।”
এই অনুষ্ঠানে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তার, পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. হাবিবুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকার ভর্তুকি বাড়ানোর পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, সরকারের রাজস্ব প্রয়োজন এবং ভর্তুকি দিতে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করতে হয়। এ কারণেই কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। তবে এতে সাধারণ মানুষের তেমন অসুবিধা হবে না।
সোমবার সকালে মাদারীপুর সার্কিট হাউসে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ বছর অকালবন্যায় আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “এই ক্ষতির ফলে খাদ্যনিরাপত্তা ঝুঁকিতে ছিল। তবে সরকার সেই ঘাটতি পূরণে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করছে। আগামীতে ভালো ফসল হলে ইরি ধানের বাম্পার উৎপাদনের মাধ্যমে আমদানি কমানো সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব হলো বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে তা সঠিকভাবে পৌঁছানো এবং চালের বাজার স্থিতিশীল রাখা। আমদানিকৃত খাদ্য এই প্রচেষ্টায় সহায়ক হবে।”
খাদ্য উপদেষ্টা জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ সুবিধাভোগী আগামী দুই মাস মাত্র ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল পাবেন। পাশাপাশি, খোলা বাজারে বিক্রির (ওএমএস) সুবিধা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিটি উপজেলায় ২ টন চাল সরবরাহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের ভর্তুকি ও অন্যান্য উদ্যোগ সাধারণ মানুষের জন্য উপকারী হবে। পাশাপাশি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমদানি কার্যক্রম চালু রাখা হবে।”
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “মন্ত্রণালয়ের কিছু অনিয়ম রয়েছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এই অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতি রোধ এবং খাদ্য বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।”
এই অনুষ্ঠানে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তার, পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. হাবিবুল আলম উপস্থিত ছিলেন।