২০২৫ সালের নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের প্রচ্ছদে ”আদিবাসী” শব্দযুক্ত গ্রাফিতি সরানোর তীব্র প্রতিবাদ ও গ্রাফিতি বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বৃহত্তর ঢাকা কমিটি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের আদিবাসী জনগণের জন্য অসম্মানকর, অপমানজনক ও বৈষম্যমূলক আচরণ বলে সংগঠনটি উল্লেখ করে।
সংগঠনের বিবৃতিতে বলা ঞয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাঁওতাল, মুন্ডা, ওরাঁও, মাহালী, বেদিয়া, কুর্মি, গঞ্জু, তুরি, ঘাসিমালো, বড়াইক, কোল, লোহার, গারো, হাজং, বানাই, পাহাড়িয়া, ভূমিজ, কড়া, নুনিয়া, মুসহরসহ ৫০ টির অধিক আদিবাসী জাতিসত্তার প্রায় ৪০ লাখের অধিক জনসংখ্যা বসবাস করে। আদিবাসীরা দীর্ঘ সময় ধরেই আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বরাবরই আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর জনগণ বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশ্যে প্রথম ভাষণে আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এতে আদিবাসীরা আশার আলো দেখেছিল যে বর্তমান সরকার আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবেই অভিহিত করবে। কিন্ত এনসিটিবি নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে “আদিবাসী” শব্দযুক্ত গ্রাফিতি সরিয়ে শুধু আদিবাসীদেরই নয় বরং অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকেও অসম্মান ও অবমাননা করেছেন।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বৃহত্তর ঢাকা কমিটি এনসিটিবির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ”আদিবাসী” শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বহাল রাখা, এবং পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসীদের যথাযথ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কিত অধ্যায় যুক্ত করার দাবি জানাচ্ছে।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বৃহত্তর ঢাকা কমিটির পক্ষে সহ-সভাপতি রত্নেশ্বর এক্কা, সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক বিভূতী ভূষণ মাহাতো, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন তিরকি, অর্থ সম্পাদক বন্যা কুজুর, দপ্তর সম্পাদক নিরলা মার্ডী, প্রচার সম্পাদক বিকাশ মাহাতো, সদস্য সদস্য সুরতি সিং, লাপোল কড়া, আস্তিক মাহাতো প্রমূখ এই প্রতিবাদ ও দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
২০২৫ সালের নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের প্রচ্ছদে ”আদিবাসী” শব্দযুক্ত গ্রাফিতি সরানোর তীব্র প্রতিবাদ ও গ্রাফিতি বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বৃহত্তর ঢাকা কমিটি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের আদিবাসী জনগণের জন্য অসম্মানকর, অপমানজনক ও বৈষম্যমূলক আচরণ বলে সংগঠনটি উল্লেখ করে।
সংগঠনের বিবৃতিতে বলা ঞয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাঁওতাল, মুন্ডা, ওরাঁও, মাহালী, বেদিয়া, কুর্মি, গঞ্জু, তুরি, ঘাসিমালো, বড়াইক, কোল, লোহার, গারো, হাজং, বানাই, পাহাড়িয়া, ভূমিজ, কড়া, নুনিয়া, মুসহরসহ ৫০ টির অধিক আদিবাসী জাতিসত্তার প্রায় ৪০ লাখের অধিক জনসংখ্যা বসবাস করে। আদিবাসীরা দীর্ঘ সময় ধরেই আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বরাবরই আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর জনগণ বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশ্যে প্রথম ভাষণে আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এতে আদিবাসীরা আশার আলো দেখেছিল যে বর্তমান সরকার আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবেই অভিহিত করবে। কিন্ত এনসিটিবি নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে “আদিবাসী” শব্দযুক্ত গ্রাফিতি সরিয়ে শুধু আদিবাসীদেরই নয় বরং অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকেও অসম্মান ও অবমাননা করেছেন।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বৃহত্তর ঢাকা কমিটি এনসিটিবির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ”আদিবাসী” শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বহাল রাখা, এবং পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসীদের যথাযথ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কিত অধ্যায় যুক্ত করার দাবি জানাচ্ছে।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বৃহত্তর ঢাকা কমিটির পক্ষে সহ-সভাপতি রত্নেশ্বর এক্কা, সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক বিভূতী ভূষণ মাহাতো, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন তিরকি, অর্থ সম্পাদক বন্যা কুজুর, দপ্তর সম্পাদক নিরলা মার্ডী, প্রচার সম্পাদক বিকাশ মাহাতো, সদস্য সদস্য সুরতি সিং, লাপোল কড়া, আস্তিক মাহাতো প্রমূখ এই প্রতিবাদ ও দাবি জানিয়েছেন।