শেখ হাসিনার পতনেও অম্লান নির্যাতনের ধারা, সংস্কারের দাবি জোরালো
বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হলেও ‘পদ্ধতিগত সংস্কার’ ছাড়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের চর্চা থামবে না বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। সংস্থাটি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, গুম, বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার সংকটসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলের শেষ দিকে ও তার পরবর্তী সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো মূলত একই ধারা বহন করছে। সরকার পরিবর্তন হলেও নির্যাতন, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও সহিংসতার অভিযোগগুলো অব্যাহত রয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। তবে তার পতনের পরও রাজনৈতিক প্রতিশোধমূলক সহিংসতা থামেনি। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সময়ের সহিংসতায় প্রায় ১,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে ১০০ জনের বেশি শিশু ছিল।
শেখ হাসিনার শাসনামল অবসানের পরও নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন একইভাবে বহাল থাকে। আওয়ামী লীগ সমর্থক, সাংবাদিক এবং দলটির নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার, গুম এবং ফৌজদারি মামলা দায়েরের ঘটনা উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা নেয় নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তারা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় বেশ কিছু সংস্কার কমিশন গঠন করলেও সেসব উদ্যোগের ফলাফল এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সংঘটিত ‘গুমের’ বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর বরাতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে ৭০০-এর বেশি মানুষকে গুম করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেককে পরবর্তীতে আদালতে হাজির করা হলেও এখনো ১০০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নির্যাতনের অভিযোগে তদন্ত ও বিচার কার্যক্রমের অভাবই বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে প্রলম্বিত করছে। রাজনৈতিক বিক্ষোভের সময় পুলিশ হেফাজতে ছাত্রদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠে এসেছে।
এইচআরডব্লিউ বলেছে, বাংলাদেশে বিদ্যমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান এখনও বহাল রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী। আইনের অপব্যবহার করে রাজনৈতিক সমালোচকদের অপরাধী বানানো এবং কারাবন্দি রাখার সুযোগও সৃষ্টি করা হয়েছে।
সাইবার সিকিউরিটি আইনকে ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’-এর আধুনিক সংস্করণ বলা হলেও এর মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে। সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার এবং প্রায় ২০০ জনের অ্যাক্রিডিটেশন বাতিলের বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট এবং সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এসব সহিংসতায় ২০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এইচআরডব্লিউ। সেখানে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে প্রতিবেদনে। আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে নতুন করে ১৮,০০০ রোহিঙ্গার আশ্রয়ের আবেদন নাকচ করা হয়, যা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে প্রতিশ্রুতি দিলেও তাদের অনিশ্চিত জীবন এবং শরণার্থী ক্যাম্পে সহিংসতার বিষয়গুলো উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের লিঙ্গ বৈষম্য, যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। নারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৪২ শতাংশ, যা বিশ্বে তরুণদের বেকারত্বের হারেও সর্বোচ্চ।
শেখ হাসিনার পতনের পর আন্দোলনে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে তাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল সীমিত।
বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে এইচআরডব্লিউ বলেছে, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোম্পানিগুলো ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনে পুলিশি সহিংসতা, বিপজ্জনক জাহাজ ভাঙা শিল্পে শ্রমিকদের ঝুঁকি, এবং শ্রম আইন সংশোধনে ব্যর্থতাও উল্লেখ করা হয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা রোধে সরকারের ব্যর্থতার কথাও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশে পদ্ধতিগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তাদের মতে, স্থায়ী সংস্কার ছাড়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
তবে এইচআরডব্লিউ সরকারের কিছু ইতিবাচক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, মানবাধিকার রক্ষার জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আইনি কাঠামোকে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সংস্কার করতে হবে।
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চর্চা বন্ধ করতে চাইলে কেবল নেতৃত্ব পরিবর্তন নয়, কার্যকর ও স্থায়ী পদ্ধতিগত সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করছে এইচআরডব্লিউ। তারা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
শেখ হাসিনার পতনেও অম্লান নির্যাতনের ধারা, সংস্কারের দাবি জোরালো
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হলেও ‘পদ্ধতিগত সংস্কার’ ছাড়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের চর্চা থামবে না বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। সংস্থাটি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, গুম, বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার সংকটসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলের শেষ দিকে ও তার পরবর্তী সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো মূলত একই ধারা বহন করছে। সরকার পরিবর্তন হলেও নির্যাতন, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও সহিংসতার অভিযোগগুলো অব্যাহত রয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। তবে তার পতনের পরও রাজনৈতিক প্রতিশোধমূলক সহিংসতা থামেনি। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সময়ের সহিংসতায় প্রায় ১,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে ১০০ জনের বেশি শিশু ছিল।
শেখ হাসিনার শাসনামল অবসানের পরও নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন একইভাবে বহাল থাকে। আওয়ামী লীগ সমর্থক, সাংবাদিক এবং দলটির নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার, গুম এবং ফৌজদারি মামলা দায়েরের ঘটনা উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা নেয় নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তারা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় বেশ কিছু সংস্কার কমিশন গঠন করলেও সেসব উদ্যোগের ফলাফল এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সংঘটিত ‘গুমের’ বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর বরাতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে ৭০০-এর বেশি মানুষকে গুম করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেককে পরবর্তীতে আদালতে হাজির করা হলেও এখনো ১০০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নির্যাতনের অভিযোগে তদন্ত ও বিচার কার্যক্রমের অভাবই বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে প্রলম্বিত করছে। রাজনৈতিক বিক্ষোভের সময় পুলিশ হেফাজতে ছাত্রদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠে এসেছে।
এইচআরডব্লিউ বলেছে, বাংলাদেশে বিদ্যমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান এখনও বহাল রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী। আইনের অপব্যবহার করে রাজনৈতিক সমালোচকদের অপরাধী বানানো এবং কারাবন্দি রাখার সুযোগও সৃষ্টি করা হয়েছে।
সাইবার সিকিউরিটি আইনকে ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’-এর আধুনিক সংস্করণ বলা হলেও এর মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে। সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার এবং প্রায় ২০০ জনের অ্যাক্রিডিটেশন বাতিলের বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট এবং সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এসব সহিংসতায় ২০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এইচআরডব্লিউ। সেখানে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে প্রতিবেদনে। আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে নতুন করে ১৮,০০০ রোহিঙ্গার আশ্রয়ের আবেদন নাকচ করা হয়, যা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে প্রতিশ্রুতি দিলেও তাদের অনিশ্চিত জীবন এবং শরণার্থী ক্যাম্পে সহিংসতার বিষয়গুলো উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের লিঙ্গ বৈষম্য, যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। নারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৪২ শতাংশ, যা বিশ্বে তরুণদের বেকারত্বের হারেও সর্বোচ্চ।
শেখ হাসিনার পতনের পর আন্দোলনে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে তাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল সীমিত।
বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে এইচআরডব্লিউ বলেছে, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোম্পানিগুলো ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনে পুলিশি সহিংসতা, বিপজ্জনক জাহাজ ভাঙা শিল্পে শ্রমিকদের ঝুঁকি, এবং শ্রম আইন সংশোধনে ব্যর্থতাও উল্লেখ করা হয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা রোধে সরকারের ব্যর্থতার কথাও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশে পদ্ধতিগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তাদের মতে, স্থায়ী সংস্কার ছাড়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
তবে এইচআরডব্লিউ সরকারের কিছু ইতিবাচক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, মানবাধিকার রক্ষার জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আইনি কাঠামোকে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সংস্কার করতে হবে।
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চর্চা বন্ধ করতে চাইলে কেবল নেতৃত্ব পরিবর্তন নয়, কার্যকর ও স্থায়ী পদ্ধতিগত সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করছে এইচআরডব্লিউ। তারা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।