দেশে গত সাড়ে পাঁচ মাসে ৪০টি মাজার ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত ৪৪টি স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
আজ শনিবার মাজার ও দরগাহে হামলার বিষয়ে পুলিশের প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, “বাংলাদেশ পুলিশ ৪ আগস্ট ২০২৪ থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৪০টি মাজার (সুফি সমাধিক্ষেত্র/দরগাহ) এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত ৪৪টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা রিপোর্ট পেয়েছে।”
এসব ঘটনার মধ্যে মাজার ও ভক্তদের ওপর হামলা, সম্পত্তি লুট, অগ্নিসংযোগসহ নানা অপরাধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পুলিশের প্রতিবেদনে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এখানে ১৭টি মাজার বা সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় হামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ১০টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭টি হামলার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
বিশেষ করে ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারে এককভাবে চারটি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা প্রশাসনের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৪৪টি হামলার ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া, এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত মোট ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুটি মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে এবং বাকি মামলাগুলোর তদন্ত চলমান রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাজার ও দরগাহগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভুক্তভোগীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযোগ দায়ের করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর বলেছে, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাজার ও দরগাহে যেকোনো হামলার ঘটনায় ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতিতে অটল রয়েছে।” পুলিশকে প্রতিটি ঘটনা কঠোরভাবে তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা বেড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব ঘটনা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বিক্ষিপ্তভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।
গত ৮ জানুয়ারি ময়মনসিংহ শহরের শাহ সুফি সৈয়দ কালু শাহর মাজারে হামলার ঘটনা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। গভীর রাতে কয়েকশ মাদ্রাসাছাত্র হামলা চালিয়ে ২০০ বছরের পুরনো মাজারের একটি অংশ ধ্বংস করে দেয়।
পরদিন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ঘোষণা দেন, “ভবিষ্যতে কোনো মাজারে হামলা হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
দেশে গত সাড়ে পাঁচ মাসে ৪০টি মাজার ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত ৪৪টি স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
আজ শনিবার মাজার ও দরগাহে হামলার বিষয়ে পুলিশের প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, “বাংলাদেশ পুলিশ ৪ আগস্ট ২০২৪ থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৪০টি মাজার (সুফি সমাধিক্ষেত্র/দরগাহ) এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত ৪৪টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা রিপোর্ট পেয়েছে।”
এসব ঘটনার মধ্যে মাজার ও ভক্তদের ওপর হামলা, সম্পত্তি লুট, অগ্নিসংযোগসহ নানা অপরাধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পুলিশের প্রতিবেদনে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এখানে ১৭টি মাজার বা সংশ্লিষ্ট স্থাপনায় হামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ১০টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭টি হামলার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
বিশেষ করে ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারে এককভাবে চারটি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা প্রশাসনের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৪৪টি হামলার ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া, এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত মোট ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুটি মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে এবং বাকি মামলাগুলোর তদন্ত চলমান রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাজার ও দরগাহগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভুক্তভোগীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযোগ দায়ের করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর বলেছে, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাজার ও দরগাহে যেকোনো হামলার ঘটনায় ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতিতে অটল রয়েছে।” পুলিশকে প্রতিটি ঘটনা কঠোরভাবে তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা বেড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব ঘটনা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বিক্ষিপ্তভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।
গত ৮ জানুয়ারি ময়মনসিংহ শহরের শাহ সুফি সৈয়দ কালু শাহর মাজারে হামলার ঘটনা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। গভীর রাতে কয়েকশ মাদ্রাসাছাত্র হামলা চালিয়ে ২০০ বছরের পুরনো মাজারের একটি অংশ ধ্বংস করে দেয়।
পরদিন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ঘোষণা দেন, “ভবিষ্যতে কোনো মাজারে হামলা হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”