পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৪১ জন বিডিআর সদস্য। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে তারা কারাগার থেকে বের হন। সকাল থেকে কারাগারের বাইরে জওয়ানদের অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনরা। তাদের হাতে দেখা গেছে ফুলের তোড়া। আর বিস্ফোরক মামলায় জামিনের পর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২৭ জন বিডিআর সদস্য কারামুক্ত হয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান গেটে সকাল আটটা থেকে বাবা মুনসুর আলীর জন্য এখানে অপেক্ষা করছে কিশোরী মালিহা জান্নাতুন। ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুরের মুনসুর যখন জেলে যান, তখন মালিহার বয়স মাত্র তিন মাস। এখন রনহাট্রা চৌহদ্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সে। এ সময় সে জানায়, আমার মা-খালাদের নিয়ে সকাল থেকে জেলখানার সামনে অপেক্ষায় আছি। ১৬ বছর পর বাবা মুক্তি পাওয়ায় আমরা অনেক আনন্দিত। আমার বাবা এখন মুক্ত বাতাসে বসবাস করবেন। আমরা বাবাকে নিয়ে ঘুরতে যাব।
ভোলা থেকে মনোয়ারা বেগম এসেছেন ভাই মো. শামসুদ্দিনকে নিতে। সকাল থেকে ভাইয়ের জন্য কারাগারের মূল ফটকে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
দুপুর একটা থেকে যখন জামিনপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যরা কারামুক্ত হয়ে বের হয়ে আসছিলেন তখন তাদের দেখে স্বজনরা দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। জামিনপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যরা এবং তাদের স্বজনরা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্ত্রী-সন্তান কিংবা স্বজনদের জড়িয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন বিডিআর সদস্যরা। কারো কারো কণ্ঠে শোনা গেছে আক্ষেপের সুর- ফিরে পাবেন কি ১৬ বছর?
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২৭ জন বিডিআর সদস্য কারামুক্ত
পিলখানায় হত্যাকা-ের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় জামিনের পর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২৭ জন বিডিআর সদস্য কারামুক্ত হয়েছেন। গাজীপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) কাল সকাল সাড়ে দশটার সময় কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২৮ জন বন্দীর মধ্যে ১৩ জন মুক্তি পান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ভোরে ১৩ বিডিআর সদস্যদের মুক্তির কাগজপত্র কারাগারে আসলে তা যাচাই-বাছাই শেষে অন্য কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়।
একই দিনে বেলা সাড়ে ১১টার সময় কারাগার-১ থেকে ২৫ জন বিডিআর সদস্য মুক্তি পান। বিষয়টি নিশ্চিত করে কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, ৮৪ জন বিডিআর সদস্যদের মধ্যে জামিন পাওয়া ২৫ জনকে কারামুক্তি দেয়া হয়েছে। তাদের মুক্তির কাগজপত্র কারাগারে আসলে তা যাচাই-বাছাই শেষে অন্য কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়।
সবশেষ দুপুর দেড়টার সময় কারাগার -২ থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়া ৭৯ জন বিডিআর সদস্য কারামুক্ত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাশিমপুর কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার মো. আল মামুন। তিনি বলেন, ৩৭৮ জন বন্দীর মধ্যে ৭৯ জন জামিন পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকায় মুক্তি দেয়া হয়েছে।
এর আগে ১২৭ জন বিডিআর সদস্যের মুক্তির খবরে সকাল থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে সকাল সাড়ে দশটার সময় হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১৩ জন বিডিআর সদস্য বের হন। এর পর পর্যায়ক্রমে কারাগার-১ ও কারাগার-২ থেকে ১১৪ জন বিডিআর সদস্য বের হন। এ সময় জামিনে মুক্তি পাওয়া বিডিআর সদস্যরা পরিবারের সদস্যদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরিবার ও বিডিআর সদস্যদের আহাজারিতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে এক হৃদয় বিধায়ক ঘটনার সৃষ্টি হয়।
জামিনে মুক্তি পাওয়া ময়মনসিংহ ৪৫ ব্যাটেলিয়ন এর সিপাহী মো. এনামুল বলেন, আমরা যারা নিরপরাধ ছিলাম আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাইছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার তাদের সবাইকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। সকল প্রকার সুযোগ সবিধা দিতে হবে। এ ঘটনায় যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের শাস্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদেরকে এ বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি শুধু বলা হয়েছে সাক্ষী দিতে হবে। কার নামে সাক্ষী দিতে হবে আমরা কিছুই জানিনা। সাক্ষী দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠায় খুনি হাসিনা সরকার।
সদ্য মুক্তি পাওয়া ঢাকা সদর ব্যাটেলিয়ন এর সিপাহী আবু হাসান জানান, যখন বিডিআর বিদ্রোহ ঘটনা ঘটে তখন আমার চাকরির বয়স ছয় মাস। পিলখানাতে পাঁচটি গেট আছে সেই পাঁচটি গেটই আমি চিনতাম না। অথচ আমাকে করা হয়েছে আসামি। যেসব সিনিয়র স্যারদের আমরা পিতা সমতুল্য সম্মান করতাম আজকে তাদের হত্যার দায়ে আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় কারা ভোগ করতে হয়েছে ১৬টি বছর। তিনি বলেন, সরকারের কাছে আমাদের দাবি আমরা যেন আমাদের হারানো সম্মান ফিরে পাই।
ঢাকা সদর ব্যাটলিয়ন এর আরেক সিপাহী জামাল উদ্দিন খানের মেয়ে জুয়েনা জামাল ঐশী বলেন, আমার বাবাকে আমি চিনি না। বড় হয়ে শুনেছি আমার বয়স যখন এক বছর তখন আমার বাবাকে বিডিআর হত্যা মামালায় আসামি করে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাবার মুখ দেখতে পারবো। এই অনুভূতির কথা বলে শেষ করা যাবে। কোনদিন বাবার আদর পায়নি। আজ মন ভরে বাবাকে দেখবো। জুয়েনা জামাল ঐশী যখন কথা বলছিলেন তার চোখের পানি টলমল করে গাল বেয়ে পড়ছিল।
গত ২০ জানুয়ারি রোববার পিলখানা হত্যাকা-ের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও যাদের বিরুদ্ধে কোনো আপিল হয়নি এমন দুই শতাধিক আসামি। কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার অস্থায়ী আদালত তাদের এই জামিন দেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৪১ জন বিডিআর সদস্য। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে তারা কারাগার থেকে বের হন। সকাল থেকে কারাগারের বাইরে জওয়ানদের অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনরা। তাদের হাতে দেখা গেছে ফুলের তোড়া। আর বিস্ফোরক মামলায় জামিনের পর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২৭ জন বিডিআর সদস্য কারামুক্ত হয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান গেটে সকাল আটটা থেকে বাবা মুনসুর আলীর জন্য এখানে অপেক্ষা করছে কিশোরী মালিহা জান্নাতুন। ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুরের মুনসুর যখন জেলে যান, তখন মালিহার বয়স মাত্র তিন মাস। এখন রনহাট্রা চৌহদ্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সে। এ সময় সে জানায়, আমার মা-খালাদের নিয়ে সকাল থেকে জেলখানার সামনে অপেক্ষায় আছি। ১৬ বছর পর বাবা মুক্তি পাওয়ায় আমরা অনেক আনন্দিত। আমার বাবা এখন মুক্ত বাতাসে বসবাস করবেন। আমরা বাবাকে নিয়ে ঘুরতে যাব।
ভোলা থেকে মনোয়ারা বেগম এসেছেন ভাই মো. শামসুদ্দিনকে নিতে। সকাল থেকে ভাইয়ের জন্য কারাগারের মূল ফটকে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
দুপুর একটা থেকে যখন জামিনপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যরা কারামুক্ত হয়ে বের হয়ে আসছিলেন তখন তাদের দেখে স্বজনরা দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। জামিনপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যরা এবং তাদের স্বজনরা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্ত্রী-সন্তান কিংবা স্বজনদের জড়িয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন বিডিআর সদস্যরা। কারো কারো কণ্ঠে শোনা গেছে আক্ষেপের সুর- ফিরে পাবেন কি ১৬ বছর?
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২৭ জন বিডিআর সদস্য কারামুক্ত
পিলখানায় হত্যাকা-ের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় জামিনের পর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২৭ জন বিডিআর সদস্য কারামুক্ত হয়েছেন। গাজীপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) কাল সকাল সাড়ে দশটার সময় কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২৮ জন বন্দীর মধ্যে ১৩ জন মুক্তি পান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ভোরে ১৩ বিডিআর সদস্যদের মুক্তির কাগজপত্র কারাগারে আসলে তা যাচাই-বাছাই শেষে অন্য কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়।
একই দিনে বেলা সাড়ে ১১টার সময় কারাগার-১ থেকে ২৫ জন বিডিআর সদস্য মুক্তি পান। বিষয়টি নিশ্চিত করে কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, ৮৪ জন বিডিআর সদস্যদের মধ্যে জামিন পাওয়া ২৫ জনকে কারামুক্তি দেয়া হয়েছে। তাদের মুক্তির কাগজপত্র কারাগারে আসলে তা যাচাই-বাছাই শেষে অন্য কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়।
সবশেষ দুপুর দেড়টার সময় কারাগার -২ থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়া ৭৯ জন বিডিআর সদস্য কারামুক্ত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাশিমপুর কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার মো. আল মামুন। তিনি বলেন, ৩৭৮ জন বন্দীর মধ্যে ৭৯ জন জামিন পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকায় মুক্তি দেয়া হয়েছে।
এর আগে ১২৭ জন বিডিআর সদস্যের মুক্তির খবরে সকাল থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে সকাল সাড়ে দশটার সময় হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১৩ জন বিডিআর সদস্য বের হন। এর পর পর্যায়ক্রমে কারাগার-১ ও কারাগার-২ থেকে ১১৪ জন বিডিআর সদস্য বের হন। এ সময় জামিনে মুক্তি পাওয়া বিডিআর সদস্যরা পরিবারের সদস্যদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরিবার ও বিডিআর সদস্যদের আহাজারিতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে এক হৃদয় বিধায়ক ঘটনার সৃষ্টি হয়।
জামিনে মুক্তি পাওয়া ময়মনসিংহ ৪৫ ব্যাটেলিয়ন এর সিপাহী মো. এনামুল বলেন, আমরা যারা নিরপরাধ ছিলাম আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাইছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার তাদের সবাইকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। সকল প্রকার সুযোগ সবিধা দিতে হবে। এ ঘটনায় যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের শাস্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদেরকে এ বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি শুধু বলা হয়েছে সাক্ষী দিতে হবে। কার নামে সাক্ষী দিতে হবে আমরা কিছুই জানিনা। সাক্ষী দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠায় খুনি হাসিনা সরকার।
সদ্য মুক্তি পাওয়া ঢাকা সদর ব্যাটেলিয়ন এর সিপাহী আবু হাসান জানান, যখন বিডিআর বিদ্রোহ ঘটনা ঘটে তখন আমার চাকরির বয়স ছয় মাস। পিলখানাতে পাঁচটি গেট আছে সেই পাঁচটি গেটই আমি চিনতাম না। অথচ আমাকে করা হয়েছে আসামি। যেসব সিনিয়র স্যারদের আমরা পিতা সমতুল্য সম্মান করতাম আজকে তাদের হত্যার দায়ে আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় কারা ভোগ করতে হয়েছে ১৬টি বছর। তিনি বলেন, সরকারের কাছে আমাদের দাবি আমরা যেন আমাদের হারানো সম্মান ফিরে পাই।
ঢাকা সদর ব্যাটলিয়ন এর আরেক সিপাহী জামাল উদ্দিন খানের মেয়ে জুয়েনা জামাল ঐশী বলেন, আমার বাবাকে আমি চিনি না। বড় হয়ে শুনেছি আমার বয়স যখন এক বছর তখন আমার বাবাকে বিডিআর হত্যা মামালায় আসামি করে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাবার মুখ দেখতে পারবো। এই অনুভূতির কথা বলে শেষ করা যাবে। কোনদিন বাবার আদর পায়নি। আজ মন ভরে বাবাকে দেখবো। জুয়েনা জামাল ঐশী যখন কথা বলছিলেন তার চোখের পানি টলমল করে গাল বেয়ে পড়ছিল।
গত ২০ জানুয়ারি রোববার পিলখানা হত্যাকা-ের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও যাদের বিরুদ্ধে কোনো আপিল হয়নি এমন দুই শতাধিক আসামি। কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার অস্থায়ী আদালত তাদের এই জামিন দেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে।