কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “ছাত্ররা রাজনীতি করবে না—এ ধরনের ননসেন্স কথা বলবেন না।”
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে অনুষ্ঠিত “গণ সার্বভৌমত্ব ও নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী গঠন: প্রেক্ষাপট বঙ্গোপসাগরের ভূরাজনীতি” শীর্ষক মুক্ত সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী সংবিধান হলো ৭২-এর সংবিধান। এটি সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদকে একসঙ্গে ফ্যাসিস্ট বলে এবং গণতন্ত্র মানেই ধর্মনিরপেক্ষতা—এই ধারণা চাপিয়ে দেয়। দিল্লির পক্ষে ইসলাম নির্মূল করার জন্যই ৭২-এর সংবিধান রচিত হয়েছিল।”
তিনি ৭২-এর সংবিধান বাতিলের পক্ষে মত দিয়ে বলেন, “এটি বাতিল করা মানে মুক্তিযুদ্ধকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। সংবিধানের পক্ষে থাকা মানে দিল্লির পক্ষে থাকা, আর এর বিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত পক্ষের শক্তি।”
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ফরহাদ মজহার বলেন, “আপনারা জিয়াউর রহমানের বিরোধী রাজনীতি করছেন। সত্যিকারের বিএনপি দিল্লির দালাল নয়, তারা সংবিধান বাতিল চায়।”
তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থান সফল হতো না যদি খালেদা জিয়া নির্বাচন করার নীতিতে অটল না থাকতেন। বিএনপি যদি খালেদা জিয়াকে সম্মান করে, তাহলে আজ ছাত্রদের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত।”
ফরহাদ মজহার সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে বলেন, “সেনাবাহিনী এখন রেফারির ভূমিকা পালন করছে, কারণ ১/১১-এর অভিজ্ঞতা তাদের জন্য ভালো ছিল না। পুলিশি কাজ তারা করতে চায় না, তারা ব্যারাকে ফিরতে চায়।”
শেখ হাসিনার প্রশাসনের বিষয়ে তিনি বলেন, “দেশ চালায় আমলারা, শেখ হাসিনার প্রিয় ছিল আমলারা। গণ সার্বভৌমত্ব গড়ে তুলতে না পারলে আমলাতন্ত্র ভাঙবে না।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, “বিএনপি নির্বাচনকেন্দ্রিক বড় ফাঁদে পা দিচ্ছে, যা তারা হয়তো এখনো বুঝতে পারছে না। দিল্লির অন্তরে আওয়ামী লীগ, মুখে বিএনপি—এটা বিএনপিকে বুঝতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জানুয়ারির পরে কেউ বিশ্বাস করেনি আওয়ামী লীগের পতন হবে, কিন্তু ছয় মাস পর ছাত্ররা সেটি ঘটিয়েছে।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য এস এম সুজা উদ্দিন লবণ চাষিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর কাসেম, শহর জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফারুক, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. আহমেদ ফেরদৌস, এবং ভাব বৈঠকীর মুখ্য সংগঠক মো. রুমেল।
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “ছাত্ররা রাজনীতি করবে না—এ ধরনের ননসেন্স কথা বলবেন না।”
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে অনুষ্ঠিত “গণ সার্বভৌমত্ব ও নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী গঠন: প্রেক্ষাপট বঙ্গোপসাগরের ভূরাজনীতি” শীর্ষক মুক্ত সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী সংবিধান হলো ৭২-এর সংবিধান। এটি সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদকে একসঙ্গে ফ্যাসিস্ট বলে এবং গণতন্ত্র মানেই ধর্মনিরপেক্ষতা—এই ধারণা চাপিয়ে দেয়। দিল্লির পক্ষে ইসলাম নির্মূল করার জন্যই ৭২-এর সংবিধান রচিত হয়েছিল।”
তিনি ৭২-এর সংবিধান বাতিলের পক্ষে মত দিয়ে বলেন, “এটি বাতিল করা মানে মুক্তিযুদ্ধকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। সংবিধানের পক্ষে থাকা মানে দিল্লির পক্ষে থাকা, আর এর বিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত পক্ষের শক্তি।”
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ফরহাদ মজহার বলেন, “আপনারা জিয়াউর রহমানের বিরোধী রাজনীতি করছেন। সত্যিকারের বিএনপি দিল্লির দালাল নয়, তারা সংবিধান বাতিল চায়।”
তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থান সফল হতো না যদি খালেদা জিয়া নির্বাচন করার নীতিতে অটল না থাকতেন। বিএনপি যদি খালেদা জিয়াকে সম্মান করে, তাহলে আজ ছাত্রদের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত।”
ফরহাদ মজহার সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে বলেন, “সেনাবাহিনী এখন রেফারির ভূমিকা পালন করছে, কারণ ১/১১-এর অভিজ্ঞতা তাদের জন্য ভালো ছিল না। পুলিশি কাজ তারা করতে চায় না, তারা ব্যারাকে ফিরতে চায়।”
শেখ হাসিনার প্রশাসনের বিষয়ে তিনি বলেন, “দেশ চালায় আমলারা, শেখ হাসিনার প্রিয় ছিল আমলারা। গণ সার্বভৌমত্ব গড়ে তুলতে না পারলে আমলাতন্ত্র ভাঙবে না।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, “বিএনপি নির্বাচনকেন্দ্রিক বড় ফাঁদে পা দিচ্ছে, যা তারা হয়তো এখনো বুঝতে পারছে না। দিল্লির অন্তরে আওয়ামী লীগ, মুখে বিএনপি—এটা বিএনপিকে বুঝতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জানুয়ারির পরে কেউ বিশ্বাস করেনি আওয়ামী লীগের পতন হবে, কিন্তু ছয় মাস পর ছাত্ররা সেটি ঘটিয়েছে।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য এস এম সুজা উদ্দিন লবণ চাষিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর কাসেম, শহর জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফারুক, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. আহমেদ ফেরদৌস, এবং ভাব বৈঠকীর মুখ্য সংগঠক মো. রুমেল।