সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান সড়ক ও রেল অবরোধ নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, “মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে, জনগণই তাদের রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেবে।”
আজ সোমবার সচিবালয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক পর্যালোচনা সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
একজন সাংবাদিক তিতুমীর কলেজের আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “তাঁদের দাবি ক্রমেই বাড়ছে, এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। জনগণের দুর্ভোগ কমাতে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নয়, ক্যাম্পাসে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত মানুষ রাস্তায় দুর্ভোগ পোহাল। জনগণ কতটা কষ্টে আছে, সেটা শিক্ষার্থীদের বোঝানো দরকার।”
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের জানান, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার যৌক্তিকতা শিক্ষার্থীদেরই প্রমাণ করতে হবে।
তিনি বলেন, “ঢাকা ও ঢাকার বাইরেও আরও অনেক সরকারি কলেজ রয়েছে। আলাদা করে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা হলে সেটি আরও গভীর পর্যালোচনার বিষয়।”
সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, “তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের দুটি দাবি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়ন করা হয়েছে—পিএইচডি অধ্যাপকের সংখ্যা বাড়ানো এবং গবেষণা খাতে বাজেট বৃদ্ধি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন।”
তিনি আরও দাবি করেন, “এই আন্দোলনে অনেক শিক্ষার্থী নেই। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী চান ক্যাম্পাসে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরে আসুক।”
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “৫ আগস্টের পর পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তবে আরও উন্নতির সুযোগ আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শতভাগ সন্তোষজনক নয়, তবে আমরা প্রতিনিয়ত উন্নতির চেষ্টা করছি।”
একুশে ফেব্রুয়ারির নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি জানান, “রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা রাত ১২টায় শহীদ মিনারে যাবেন, এরপর অন্যান্য উপদেষ্টারা শ্রদ্ধা জানাবেন।”
তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বোঝান, তারা যেন রাস্তায় দুর্ভোগ তৈরি না করে ক্যাম্পাসেই আন্দোলন করে।”
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান সড়ক ও রেল অবরোধ নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, “মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে, জনগণই তাদের রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেবে।”
আজ সোমবার সচিবালয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক পর্যালোচনা সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
একজন সাংবাদিক তিতুমীর কলেজের আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “তাঁদের দাবি ক্রমেই বাড়ছে, এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। জনগণের দুর্ভোগ কমাতে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নয়, ক্যাম্পাসে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত মানুষ রাস্তায় দুর্ভোগ পোহাল। জনগণ কতটা কষ্টে আছে, সেটা শিক্ষার্থীদের বোঝানো দরকার।”
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের জানান, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার যৌক্তিকতা শিক্ষার্থীদেরই প্রমাণ করতে হবে।
তিনি বলেন, “ঢাকা ও ঢাকার বাইরেও আরও অনেক সরকারি কলেজ রয়েছে। আলাদা করে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা হলে সেটি আরও গভীর পর্যালোচনার বিষয়।”
সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, “তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের দুটি দাবি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়ন করা হয়েছে—পিএইচডি অধ্যাপকের সংখ্যা বাড়ানো এবং গবেষণা খাতে বাজেট বৃদ্ধি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন।”
তিনি আরও দাবি করেন, “এই আন্দোলনে অনেক শিক্ষার্থী নেই। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী চান ক্যাম্পাসে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরে আসুক।”
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “৫ আগস্টের পর পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তবে আরও উন্নতির সুযোগ আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শতভাগ সন্তোষজনক নয়, তবে আমরা প্রতিনিয়ত উন্নতির চেষ্টা করছি।”
একুশে ফেব্রুয়ারির নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি জানান, “রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা রাত ১২টায় শহীদ মিনারে যাবেন, এরপর অন্যান্য উপদেষ্টারা শ্রদ্ধা জানাবেন।”
তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বোঝান, তারা যেন রাস্তায় দুর্ভোগ তৈরি না করে ক্যাম্পাসেই আন্দোলন করে।”