ঐক্য পরিষদকে আরও বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার আহ্বান
সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দেওয়া তথ্যকে ‘ভুল ও বিভ্রান্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই মন্তব্য করেন।
ব্রিফিংয়ে উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার জানান, ঐক্য পরিষদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ২৩ জন নিহত হওয়ার দাবি সঠিক নয়। সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং ২৩টি ঘটনার মধ্যে ২২টির কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “তদন্তে দেখা গেছে, ২২টি ঘটনার একটির সঙ্গেও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সম্পর্ক নেই। এগুলোর মধ্যে সাতটি চুরি ও দস্যুতার কারণে, চারটি পারিবারিক কলহ, তিনটি সাধারণ অপরাধ (যেমন ধর্ষণ, অতিরিক্ত মদপানে মৃত্যু, বিরূপ মন্তব্য নিয়ে সংঘর্ষ), দুটি দুর্ঘটনা, দুটি ব্যবসায়িক বিরোধ, একটি স্থানীয় সংঘর্ষ, একটি জমি সংক্রান্ত বিরোধ এবং একটি আত্মহত্যার ঘটনা।”
একটি ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও সেখানে কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত নেই বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এছাড়া ২৩টি ঘটনার মধ্যে দুটিতে আত্মহত্যা ও পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। বাকি ২১টি মামলায় ৪৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছে এবং ১৭ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সরকারের দাবি, পুলিশের তদন্তে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো ধরনের সহিংসতাকে সমর্থন করে না। উপপ্রেস সচিব বলেন, “এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”
তিনি আরও জানান, ঐক্য পরিষদ বেশিরভাগ তথ্য গণমাধ্যম থেকে নিয়েছে, তবে কোনো গণমাধ্যম এসব ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক বলে উল্লেখ করেনি। “তাদের প্রতি আহ্বান, প্রকৃত সত্য যাচাই করে সবার সামনে উপস্থাপন করুক।”
ঐক্য পরিষদকে আরও বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার আহ্বান
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দেওয়া তথ্যকে ‘ভুল ও বিভ্রান্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই মন্তব্য করেন।
ব্রিফিংয়ে উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার জানান, ঐক্য পরিষদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ২৩ জন নিহত হওয়ার দাবি সঠিক নয়। সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং ২৩টি ঘটনার মধ্যে ২২টির কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “তদন্তে দেখা গেছে, ২২টি ঘটনার একটির সঙ্গেও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সম্পর্ক নেই। এগুলোর মধ্যে সাতটি চুরি ও দস্যুতার কারণে, চারটি পারিবারিক কলহ, তিনটি সাধারণ অপরাধ (যেমন ধর্ষণ, অতিরিক্ত মদপানে মৃত্যু, বিরূপ মন্তব্য নিয়ে সংঘর্ষ), দুটি দুর্ঘটনা, দুটি ব্যবসায়িক বিরোধ, একটি স্থানীয় সংঘর্ষ, একটি জমি সংক্রান্ত বিরোধ এবং একটি আত্মহত্যার ঘটনা।”
একটি ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও সেখানে কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত নেই বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এছাড়া ২৩টি ঘটনার মধ্যে দুটিতে আত্মহত্যা ও পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। বাকি ২১টি মামলায় ৪৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছে এবং ১৭ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সরকারের দাবি, পুলিশের তদন্তে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো ধরনের সহিংসতাকে সমর্থন করে না। উপপ্রেস সচিব বলেন, “এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”
তিনি আরও জানান, ঐক্য পরিষদ বেশিরভাগ তথ্য গণমাধ্যম থেকে নিয়েছে, তবে কোনো গণমাধ্যম এসব ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক বলে উল্লেখ করেনি। “তাদের প্রতি আহ্বান, প্রকৃত সত্য যাচাই করে সবার সামনে উপস্থাপন করুক।”