পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় রেলওয়ের জায়গা কৃষিজমি হিসেবে ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত অবৈধ দখলদাররা হলেন, উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মহির উদ্দীন, মন্ডতোষ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. আরশেদ আলী, পাটুলিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ, সাবেক ইউপি সচিব গোলাম আম্বিয়া, ভাঙ্গুড়া বিএম কলেজের শিক্ষক হাসানুর রহমান বিপ্লব, ডি এম আব্দুস সাত্তার, প্রভাষক মো. কুরবান আলী, আব্দুল মতিন।
কৃষিজমির শ্রেণী পরিবর্তন করে বাণিজ্যিকীকরণ করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। আর কৃষিজমি ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের বিধান নেই বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেললাইনের বড়াল ব্রিজ স্টেশনের পশ্চিম পাশে রেলের পুকুর ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে প্রায় চার হাজার বর্গফুটজুড়ে একটি ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করে পুনরায় আরেকটি ভবনের কাজ শুরু করেছে নির্মাণশ্রমিকরা। আশপাশে বিভিন্ন স্থানে নির্মাণসামগ্রী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেখানে রেলের পুকুরে আগে মাছের চাষ করা হতো। ৪ বছর পূর্বে ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে পুকুর ভরাট শুরু করেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা। এ বিষয়ে কয়েকটি পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। উপজেলা প্রশাসন বালু ভরাট বন্ধ করে দেয়। পরে অদৃশ্য কারণে পুকুরটি আবার ভরাট করা হয়। এখন সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কৃষিজমি হিসেবে ইজারা নিয়েছেন বিএনপির ও আওয়ামী লীগ নেতারা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মহির উদ্দিন বলেন, দুই বছর পূর্বে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে বাণিজ্যিক করা হয়েছে। তাই ভবন নির্মাণ করছি। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে অবৈধ দখলদার কোরবান আলী বলেন, ভবন নির্মাণের লিখিত কোনো অনুমতি নেই তবে রেলওয়ের আমিন শরিফুল ইসলাম মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (পশ্চিম) রেজাউল করিম বলেন,
একটি জায়গায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানে আছি এখন কথা বলতে পারবো না পরে কথা হবে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাজমুন নাহার বলেন, রেলের জায়গা আমাদের না ওখানে আমাদের কিছু করার নেই। তবে রেলের জায়গায় ভবন নির্মাণের অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে আমি নির্মাণ ধিন ভবনের ছবিসহ পাকশী রেলওয়ে কর্মকর্তাকে প্রেরণ করেছি। তারা যদি আমাদের সহযোগিতা চায় তাহলে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি।
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় রেলওয়ের জায়গা কৃষিজমি হিসেবে ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত অবৈধ দখলদাররা হলেন, উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মহির উদ্দীন, মন্ডতোষ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. আরশেদ আলী, পাটুলিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ, সাবেক ইউপি সচিব গোলাম আম্বিয়া, ভাঙ্গুড়া বিএম কলেজের শিক্ষক হাসানুর রহমান বিপ্লব, ডি এম আব্দুস সাত্তার, প্রভাষক মো. কুরবান আলী, আব্দুল মতিন।
কৃষিজমির শ্রেণী পরিবর্তন করে বাণিজ্যিকীকরণ করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। আর কৃষিজমি ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের বিধান নেই বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেললাইনের বড়াল ব্রিজ স্টেশনের পশ্চিম পাশে রেলের পুকুর ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে প্রায় চার হাজার বর্গফুটজুড়ে একটি ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করে পুনরায় আরেকটি ভবনের কাজ শুরু করেছে নির্মাণশ্রমিকরা। আশপাশে বিভিন্ন স্থানে নির্মাণসামগ্রী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেখানে রেলের পুকুরে আগে মাছের চাষ করা হতো। ৪ বছর পূর্বে ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে পুকুর ভরাট শুরু করেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা। এ বিষয়ে কয়েকটি পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। উপজেলা প্রশাসন বালু ভরাট বন্ধ করে দেয়। পরে অদৃশ্য কারণে পুকুরটি আবার ভরাট করা হয়। এখন সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কৃষিজমি হিসেবে ইজারা নিয়েছেন বিএনপির ও আওয়ামী লীগ নেতারা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মহির উদ্দিন বলেন, দুই বছর পূর্বে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে বাণিজ্যিক করা হয়েছে। তাই ভবন নির্মাণ করছি। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে অবৈধ দখলদার কোরবান আলী বলেন, ভবন নির্মাণের লিখিত কোনো অনুমতি নেই তবে রেলওয়ের আমিন শরিফুল ইসলাম মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (পশ্চিম) রেজাউল করিম বলেন,
একটি জায়গায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানে আছি এখন কথা বলতে পারবো না পরে কথা হবে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাজমুন নাহার বলেন, রেলের জায়গা আমাদের না ওখানে আমাদের কিছু করার নেই। তবে রেলের জায়গায় ভবন নির্মাণের অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে আমি নির্মাণ ধিন ভবনের ছবিসহ পাকশী রেলওয়ে কর্মকর্তাকে প্রেরণ করেছি। তারা যদি আমাদের সহযোগিতা চায় তাহলে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি।