ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বাংলা ভাষার প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি পালন করছে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ ফেব্রুয়ারি মাসের প্রতিটি দিন। নানা আয়োজনে বাঙালি জাতির মনে আন্দোলন-সংগ্রামের চেতনা জাগিয়ে কেটে গেছে ফেব্রুয়ারির তিনটি দিন। প্রতিটি দিন যাচ্ছে আর বাঙালি নতুন চেতনায় সিক্ত হওয়ার প্রেরণা লাভ করছে।
১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের পর বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজ জীবনে কেটে গেছে দীর্ঘ ৭২ বছর। এই সময়ে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের, বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের মনে গভীর রেখাপাত করেছে ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের স্মৃতি। ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে যারা অত্যাচারী পাকিস্তানি শাসকদের নির্দেশে পুলিশ বাহিনীর গুলিতে জীবন দিয়েছেন তাদের আমরা মর্যাদা দেই ভাষা শহীদ হিসেবে। আর যারা ভাষা আন্দোলনে সক্রীয়ভাবে অংশ নিয়েছেন তাদের আমরা সম্মান জানাই ভাষা সৈনিকের মর্যাদা দিয়ে। আমাদের সৌভাগ্য যে এখনও আমাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন ভাষা সৈনিক বেঁচে আছেন। তাদের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি কি অসীম সাহস নিয়ে তারা জীবন বাজি রেখে ভাষার মর্যাদা রক্ষার দাবিতে পাকিস্তানি বিজাতীয় শাসক-শোষকদের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছিলেন। তারা এখনো বাঙালির মধ্যে ভাষার প্রতি মমত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে অবদান রাখছেন।
ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের সম্মান-শ্রদ্ধা জানানো উচিত বছরের প্রতিটি দিনেই। কিন্তু নানা জটিলতায় আমরা সারাবছর ভুলে থাকি বা ভুলে না থাকলেও খুব একটা মনে করিনা, নানা আলোচনায় স্থান দেইনা তাদের। এভাবেই কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর। কিন্তু প্রতি প্রতিবছর ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি এলেই আমরা জেগে উঠি ভাষা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানাতে, নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
বছর যায় বছর আসেন, আসে ফেব্রুয়ারি মাস কিন্তু আমাদের নতুন প্রজন্ম ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের সম্পর্কে কতটুকু জানেন তা নিয়ে চিন্তা করিনা। আমাদের ভাষা আন্দোলন, ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের সস্পর্কে নতুন প্রজন্মকে আরও অনেক কিছু জানানোর প্রয়োজন রয়েছে। এ দায়িত্ব আমরা কতটুকু পালন করছি তা নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। আগের বছরগুলোর মতো এবারের ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারিতে আমরা নানা উদ্যোগের মধ্যদিয়ে নতুন প্রজন্মকে আরও গভীরভাবে ভাষা সংগ্রামীদের সম্পর্কে নানান তথ্য জানাতে উদ্যোগ নিতে পারি। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রীয়ভাবে যেমন তেমনি বিভিন্ন মহলের কাজ করার সুযোগ আছে। সারাদেশে পাড়ায় পাড়ায় যদি তরুণ প্রজন্মকে সংগঠিত করে তাদের মধ্যে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরা যায়, যদি প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে তাদের ভাষা সংগ্রামীদের সম্পর্কে জানানো হয় তবে তা অনেক বেশি কার্যকর হবে।
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বাংলা ভাষার প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি পালন করছে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ ফেব্রুয়ারি মাসের প্রতিটি দিন। নানা আয়োজনে বাঙালি জাতির মনে আন্দোলন-সংগ্রামের চেতনা জাগিয়ে কেটে গেছে ফেব্রুয়ারির তিনটি দিন। প্রতিটি দিন যাচ্ছে আর বাঙালি নতুন চেতনায় সিক্ত হওয়ার প্রেরণা লাভ করছে।
১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের পর বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজ জীবনে কেটে গেছে দীর্ঘ ৭২ বছর। এই সময়ে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের, বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের মনে গভীর রেখাপাত করেছে ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের স্মৃতি। ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে যারা অত্যাচারী পাকিস্তানি শাসকদের নির্দেশে পুলিশ বাহিনীর গুলিতে জীবন দিয়েছেন তাদের আমরা মর্যাদা দেই ভাষা শহীদ হিসেবে। আর যারা ভাষা আন্দোলনে সক্রীয়ভাবে অংশ নিয়েছেন তাদের আমরা সম্মান জানাই ভাষা সৈনিকের মর্যাদা দিয়ে। আমাদের সৌভাগ্য যে এখনও আমাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন ভাষা সৈনিক বেঁচে আছেন। তাদের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি কি অসীম সাহস নিয়ে তারা জীবন বাজি রেখে ভাষার মর্যাদা রক্ষার দাবিতে পাকিস্তানি বিজাতীয় শাসক-শোষকদের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছিলেন। তারা এখনো বাঙালির মধ্যে ভাষার প্রতি মমত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে অবদান রাখছেন।
ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের সম্মান-শ্রদ্ধা জানানো উচিত বছরের প্রতিটি দিনেই। কিন্তু নানা জটিলতায় আমরা সারাবছর ভুলে থাকি বা ভুলে না থাকলেও খুব একটা মনে করিনা, নানা আলোচনায় স্থান দেইনা তাদের। এভাবেই কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর। কিন্তু প্রতি প্রতিবছর ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি এলেই আমরা জেগে উঠি ভাষা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানাতে, নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
বছর যায় বছর আসেন, আসে ফেব্রুয়ারি মাস কিন্তু আমাদের নতুন প্রজন্ম ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের সম্পর্কে কতটুকু জানেন তা নিয়ে চিন্তা করিনা। আমাদের ভাষা আন্দোলন, ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের সস্পর্কে নতুন প্রজন্মকে আরও অনেক কিছু জানানোর প্রয়োজন রয়েছে। এ দায়িত্ব আমরা কতটুকু পালন করছি তা নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। আগের বছরগুলোর মতো এবারের ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারিতে আমরা নানা উদ্যোগের মধ্যদিয়ে নতুন প্রজন্মকে আরও গভীরভাবে ভাষা সংগ্রামীদের সম্পর্কে নানান তথ্য জানাতে উদ্যোগ নিতে পারি। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রীয়ভাবে যেমন তেমনি বিভিন্ন মহলের কাজ করার সুযোগ আছে। সারাদেশে পাড়ায় পাড়ায় যদি তরুণ প্রজন্মকে সংগঠিত করে তাদের মধ্যে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরা যায়, যদি প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে তাদের ভাষা সংগ্রামীদের সম্পর্কে জানানো হয় তবে তা অনেক বেশি কার্যকর হবে।