ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়ে তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর নামে ব্যাংকে ৩৫ কোটি ২১ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, আইএফআইসি ব্যাংকে সিআরআই-এর নামে থাকা এই এফডিআরসহ সোনালী ব্যাংকে তাদের লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গেছে। দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযানকালে সংগৃহীত নথিপত্র ও ব্যাংক লেনদেন বিশ্লেষণ করবে।
সিআরআই-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ভাইস চেয়ারম্যান তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, এবং ট্রাস্টি শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, সিআরআই-এর পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের একটি দল ধানমন্ডিতে সিআরআই-এর অফিসে গিয়ে সেটি বন্ধ অবস্থায় পায়।
তদন্তের অংশ হিসেবে সিআরআই-এর বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে ডাচ-বাংলা, আইএফআইসি এবং সোনালী ব্যাংক রয়েছে। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, "রাষ্ট্রীয় অর্থ প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ব্যয় বা ক্ষতি করা হয়েছে কিনা, তা যাচাই করতে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।"
এর আগে, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সিআরআই, তাদের ইয়ং বাংলা প্রজেক্ট, এবং জয়, পুতুল ও ববির ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
শেখ হাসিনার ক্ষমতাকালে তার ছেলে জয় অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা ছিলেন এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এ বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে ভারতের নয়াদিল্লিতে কর্মরত। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো পদে না থাকলেও ‘ইয়ং বাংলা’ প্রজেক্টের মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করতেন।
এছাড়া, শেখ হাসিনা সরকারের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তিনি সিআরআই-এর একজন ট্রাস্টিও ছিলেন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনা, জয়, পুতুল, ববি ও নসরুল হামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়ে তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর নামে ব্যাংকে ৩৫ কোটি ২১ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, আইএফআইসি ব্যাংকে সিআরআই-এর নামে থাকা এই এফডিআরসহ সোনালী ব্যাংকে তাদের লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গেছে। দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযানকালে সংগৃহীত নথিপত্র ও ব্যাংক লেনদেন বিশ্লেষণ করবে।
সিআরআই-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ভাইস চেয়ারম্যান তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, এবং ট্রাস্টি শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, সিআরআই-এর পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের একটি দল ধানমন্ডিতে সিআরআই-এর অফিসে গিয়ে সেটি বন্ধ অবস্থায় পায়।
তদন্তের অংশ হিসেবে সিআরআই-এর বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে ডাচ-বাংলা, আইএফআইসি এবং সোনালী ব্যাংক রয়েছে। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, "রাষ্ট্রীয় অর্থ প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ব্যয় বা ক্ষতি করা হয়েছে কিনা, তা যাচাই করতে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।"
এর আগে, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সিআরআই, তাদের ইয়ং বাংলা প্রজেক্ট, এবং জয়, পুতুল ও ববির ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
শেখ হাসিনার ক্ষমতাকালে তার ছেলে জয় অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা ছিলেন এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এ বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে ভারতের নয়াদিল্লিতে কর্মরত। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো পদে না থাকলেও ‘ইয়ং বাংলা’ প্রজেক্টের মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করতেন।
এছাড়া, শেখ হাসিনা সরকারের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তিনি সিআরআই-এর একজন ট্রাস্টিও ছিলেন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনা, জয়, পুতুল, ববি ও নসরুল হামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।