মানুষ এখন প্রচলিত গণমাধ্যমের চেয়ে মোবাইল ফোনে অনলাইনের মাধ্যমে খবর জানতে বেশি আগ্রহী। এক জরিপে উঠে এসেছে যে, ৫৯ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোনে অনলাইন সংস্করণে খবর পড়েন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের জন্য এই জরিপ পরিচালনা করে। গণমাধ্যমের ভূমিকা ও মানুষের সংবাদ গ্রহণের অভ্যাস জানার উদ্দেশ্যে জরিপটি করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
জরিপটি ২০২৫ সালের ১ থেকে ৭ জানুয়ারি দেশের ৬৪ জেলায় ৪৫ হাজার খানার ১০ বছরের বেশি বয়সী সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। এতে দেখা যায়, ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা ছাপা পত্রিকা না পড়লেও মোবাইল ফোনে অনলাইন সংবাদ পড়েন। মাত্র ২.৫ শতাংশ মানুষ কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা ট্যাবে অনলাইন সংবাদ পড়েন। ৮৮ শতাংশ উত্তরদাতা মোবাইল ফোনকে প্রধান গণমাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন, যেখানে কম্পিউটারের ব্যবহার মাত্র ৭ শতাংশ। ৩১ শতাংশ উত্তরদাতা ফেসবুককে খবরের জন্য বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম হিসেবে দেখেন, ইউটিউবে এই হার ১৬.৫ শতাংশ।
জরিপে বলা হয়েছে, মানুষ সামগ্রিকভাবে গণমাধ্যমের ওপর আস্থা হারাননি। তবে রাজনৈতিক, সরকারি ও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
জাতীয় দুর্যোগ বা সংকটের সময় মানুষ এখনো টেলিভিশনের ওপর বেশি নির্ভরশীল। তবে রেডিওর প্রাসঙ্গিকতা কমে গেছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৯৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, তাঁরা রেডিও শোনেন না। ৫৪ শতাংশ বলেন, রেডিও শোনার প্রয়োজন নেই। ৩৫ শতাংশ রেডিও সেটের অপ্রাপ্যতার কথা উল্লেখ করেছেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশ গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও পক্ষপাতহীন দেখতে চান। তবে অধিকাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরকারের নিয়ন্ত্রণেই থাকা উচিত।
বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
মানুষ এখন প্রচলিত গণমাধ্যমের চেয়ে মোবাইল ফোনে অনলাইনের মাধ্যমে খবর জানতে বেশি আগ্রহী। এক জরিপে উঠে এসেছে যে, ৫৯ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোনে অনলাইন সংস্করণে খবর পড়েন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের জন্য এই জরিপ পরিচালনা করে। গণমাধ্যমের ভূমিকা ও মানুষের সংবাদ গ্রহণের অভ্যাস জানার উদ্দেশ্যে জরিপটি করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
জরিপটি ২০২৫ সালের ১ থেকে ৭ জানুয়ারি দেশের ৬৪ জেলায় ৪৫ হাজার খানার ১০ বছরের বেশি বয়সী সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। এতে দেখা যায়, ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা ছাপা পত্রিকা না পড়লেও মোবাইল ফোনে অনলাইন সংবাদ পড়েন। মাত্র ২.৫ শতাংশ মানুষ কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা ট্যাবে অনলাইন সংবাদ পড়েন। ৮৮ শতাংশ উত্তরদাতা মোবাইল ফোনকে প্রধান গণমাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন, যেখানে কম্পিউটারের ব্যবহার মাত্র ৭ শতাংশ। ৩১ শতাংশ উত্তরদাতা ফেসবুককে খবরের জন্য বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম হিসেবে দেখেন, ইউটিউবে এই হার ১৬.৫ শতাংশ।
জরিপে বলা হয়েছে, মানুষ সামগ্রিকভাবে গণমাধ্যমের ওপর আস্থা হারাননি। তবে রাজনৈতিক, সরকারি ও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
জাতীয় দুর্যোগ বা সংকটের সময় মানুষ এখনো টেলিভিশনের ওপর বেশি নির্ভরশীল। তবে রেডিওর প্রাসঙ্গিকতা কমে গেছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৯৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, তাঁরা রেডিও শোনেন না। ৫৪ শতাংশ বলেন, রেডিও শোনার প্রয়োজন নেই। ৩৫ শতাংশ রেডিও সেটের অপ্রাপ্যতার কথা উল্লেখ করেছেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশ গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও পক্ষপাতহীন দেখতে চান। তবে অধিকাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরকারের নিয়ন্ত্রণেই থাকা উচিত।