alt

নগর-মহানগর

ধানমন্ডি ৩২ ও সুধা সদনে লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ

স্বৈরাচার পতনের ছয় মাসে জনতার বিক্ষোভ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

https://sangbad.net.bd/images/2025/February/06Feb25/news/sudha-sodon-vandalize-060225-025-1738837959.jpg

https://sangbad.net.bd/images/2025/February/06Feb25/news/dhanmondi-32-vandalize-060225-071-1738838971~2.jpg

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও, লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। ভাঙা ভবন থেকে বই, আসবাব, লোহা, গ্রিল, কাঠ—যে যা পারছে, নিয়ে যাচ্ছে।

ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির ছয় মাস পূর্তির দিনে বুধবার রাতে ‘বুলডোজার মিছিল’ কর্মসূচি থেকে শুরু হয় ভাঙচুর। রাতেই এক্সক্যাভেটর ও ক্রেন দিয়ে বাড়ি ভাঙা শুরু হলেও, বৃহস্পতিবার সকালে মাত্র একটি এক্সক্যাভেটর চালু ছিল, যা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে ১০টায় সরিয়ে নেওয়া হয়।

ভাঙা ভবন ও পেছনের জাদুঘর ভবন থেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের রড ও লোহা কাটতে দেখা গেছে। কেউ হাতুড়ি, কেউ শাবল দিয়ে লোহা ও কাঠ সংগ্রহ করছে। হাজারীবাগের বাসিন্দা সিরাজুল জানান, "ভাঙারির দোকানে বেচব, সবাই নিচ্ছে, আমিও নিলাম।"

জাদুঘর ভবনে শত শত মানুষ ঢুকছে, বঙ্গবন্ধুর বইসহ নানা জিনিস সরিয়ে নিচ্ছে। সামনে ভাঙা ভবনেও উৎসুক জনতা ছবি তুলছে, ভিডিও করছে এবং বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে।

সকাল থেকেই বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে স্লোগান দেওয়া হলেও, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে একটি দল মাইক নিয়ে অবস্থান নেয়। তাদের স্লোগানগুলোর মধ্যে ছিল—‘দালালি না রাজপথ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’।

এক বিক্ষোভকারী জিহাদুল ইসলাম বলেন, “ক্ষমতার দম্ভ কোথায় গেল? স্বজনহারার বেদনা কোথায়? আগে এই বাড়ির সামনে দিয়ে মানুষ হাঁটতে পারত না, আর আজ মানুষ এসে বাড়ি ভেঙে দিচ্ছে, ইট খুলে নিচ্ছে।”

এর আগে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। বুধবার ফের ব্যাপক ভাঙচুরের পর বাড়ির পোড়া অংশে আবারও আগুন দেওয়া হয়।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ‘বুলডোজার মিছিল’ শুধু সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরেও ভবনের কিছু অংশে আগুন জ্বলছিল। প্রচণ্ড তাপের মধ্যেও লোকজন সেখানে ঢুকে আসবাব, এসি, ফ্রিজ, তারসহ বিভিন্ন সামগ্রী সরিয়ে নেয়। সালেহা আক্তার নামে এক নারী জানান, “অনেকে সকালে যা পেয়েছে, নিয়ে গেছে। আমি টুকটাক যা পেয়েছি, বিক্রি করে কিছু টাকা পেতে চাই।”

শেখ হাসিনার স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ডাক নাম ‘সুধা মিয়া’ থেকে বাড়িটির নামকরণ হয়। আওয়ামী লীগ সরকারকালে এটি কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ছিল।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুরের মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ সন্দেহে এক নারী ও এক পুরুষকে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক নারী ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলে এবং এক ব্যক্তি ‘আপার বাড়ি’ বলে শেখ হাসিনার বাড়ি উল্লেখ করলে তাদের মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ধানমন্ডি ৩২ থেকে প্রধান সড়কে নিয়ে তাদের ওপর হামলা চলে। পরে কিছু লোকজন তাদের রিকশায় তুলে সরিয়ে দেয়।

ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য সেখানে ছিল না।

ছবি

তেজগাঁওয়ে ছিনতাইয়ের নাটক: মানি এক্সচেঞ্জকর্মীসহ গ্রেপ্তার ৬

ছবি

হাটখোলায় রাসায়নিক গুদামে আগুন, ২ ঘন্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে

ছবি

ডিউটি না করায় ডিআইজি, ডিসিসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

ছবি

ঢাকায় প্রবাসী মনির ও পরিবারের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা, সন্দেহে আত্মীয় গ্রেপ্তার

ছবি

রাজধানীতে সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির ওয়ার্ড নেতার মৃত্যু

ছবি

দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্রীন ফোর্স বাংলাদেশের পথচলা শুরু

ছবি

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকা হলো আহমেদ আকবর সোবহানকে, তারিক আহমেদ সিদ্দিকের সম্পদ অনুসন্ধানে নতুন মোড়

ছবি

‘শাটডাউন’ আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

ছবি

কমপ্লিট শাটডাউন’ চলাকালে এনবিআর সেবা অপরিহার্য ঘোষণা

ছবি

এক রাতেই ঢাকার সড়কে ঝরল ৫ প্রাণ

ছবি

অবাঞ্ছিত ঘোষণার মধ্যেও এনবিআর চেয়ারম্যান দায়িত্বে, চলছে আন্দোলন

অবশেষে নগর ভবনে ফিরলেন প্রশাসক শাহজাহান মিয়া

ছবি

অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচারের অভিযোগে হাছান মাহমুদের ৯টি হিসাব ও গাড়ি জব্দ

ছবি

বিএনপির মামলায় গ্রেপ্তারের পর সাবেক সিইসিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

ছবি

বৈঠকে ‘সন্তুষ্ট’ হলেও ক্লাসে ফিরছে না মেডিকেল শিক্ষার্থীরা, সিদ্ধান্ত কাল

ছবি

‘মব সংস্কৃতির’ হুমকি বাড়ছে, সাবেক সিইসির লাঞ্ছনায় তীব্র সমালোচনা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের

ছবি

ঢাকা মেডিকেল অ্যালামনাই ট্রাস্টের নেতৃত্বে নতুন কমিটি, চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন

ছবি

সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে টানা আন্দোলনে সাময়িক বিরতি

ছবি

পল্লবীতে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত

ছবি

উত্তরায় সাবেক সিইসি আটক, উচ্ছৃংখল ‘জনতার’ হাতে লাঞ্ছিত

ছবি

নতুন আইন মানি না, বাতিল চাই’: কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মচারীদের

ছবি

ঢাকায় শুরু হলো ‘চীনা বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সপ্তাহ’

ছবি

গায়েবি মামলার সংস্কৃতিতে বিনিয়োগ স্থবির, সমাধানে বাজেটে কিছুই নেই: হোসেন জিল্লুর রহমান

ছবি

প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনে জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ল পুলিশ, ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থী

ছবি

ছাত্রদলের মিছিলে হামলার চেষ্টায় চারজন গ্রেপ্তার, উদ্ধার বিস্ফোরক-অস্ত্র

ছবি

ঐক্য পরিষদের আহ্বানে এনবিআরে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতি

ছবি

দুর্নীতি-অপচয় বন্ধে ইতিবাচক উদাহরণ রেখে যেতে চান ফাওজুল কবির

ছবি

নতুনবাজারে সড়ক অবরোধ, অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনের ঘোষণা ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের

ছবি

হল ত্যাগের নির্দেশ, বন্ধ ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম

ছবি

এনবিআর-বিডা কার্যালয় এলাকায় সভা-সমাবেশে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা

ছবি

জনশৃঙ্খলার স্বার্থে ডিএমপির নতুন গণবিজ্ঞপ্তি

ছবি

‘অবৈধ বহিষ্কারাদেশ’ বাতিলের দাবি, নতুনবাজার অবরোধ ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের

ছবি

রাজধানীতে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ইকবাল বাহার আটক

ছবি

গোপন আটক কেন্দ্রের অস্তিত্ব অস্বীকার নয়, রাষ্ট্রীয় দমননীতির অংশ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছে গুম: কমিশন

ছবি

চাকরি ফেরতের দাবিতে প্রেসক্লাবমুখী মিছিল ইআরপিপি কর্মীদের

চট্টগ্রামে ঝুলে রয়েছে ২১ হাজার ৬০৩টি এনআইডি সংশোধনের আবেদন

tab

নগর-মহানগর

ধানমন্ডি ৩২ ও সুধা সদনে লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ

স্বৈরাচার পতনের ছয় মাসে জনতার বিক্ষোভ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

https://sangbad.net.bd/images/2025/February/06Feb25/news/sudha-sodon-vandalize-060225-025-1738837959.jpg

https://sangbad.net.bd/images/2025/February/06Feb25/news/dhanmondi-32-vandalize-060225-071-1738838971~2.jpg

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও, লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। ভাঙা ভবন থেকে বই, আসবাব, লোহা, গ্রিল, কাঠ—যে যা পারছে, নিয়ে যাচ্ছে।

ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির ছয় মাস পূর্তির দিনে বুধবার রাতে ‘বুলডোজার মিছিল’ কর্মসূচি থেকে শুরু হয় ভাঙচুর। রাতেই এক্সক্যাভেটর ও ক্রেন দিয়ে বাড়ি ভাঙা শুরু হলেও, বৃহস্পতিবার সকালে মাত্র একটি এক্সক্যাভেটর চালু ছিল, যা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে ১০টায় সরিয়ে নেওয়া হয়।

ভাঙা ভবন ও পেছনের জাদুঘর ভবন থেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের রড ও লোহা কাটতে দেখা গেছে। কেউ হাতুড়ি, কেউ শাবল দিয়ে লোহা ও কাঠ সংগ্রহ করছে। হাজারীবাগের বাসিন্দা সিরাজুল জানান, "ভাঙারির দোকানে বেচব, সবাই নিচ্ছে, আমিও নিলাম।"

জাদুঘর ভবনে শত শত মানুষ ঢুকছে, বঙ্গবন্ধুর বইসহ নানা জিনিস সরিয়ে নিচ্ছে। সামনে ভাঙা ভবনেও উৎসুক জনতা ছবি তুলছে, ভিডিও করছে এবং বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে।

সকাল থেকেই বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে স্লোগান দেওয়া হলেও, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে একটি দল মাইক নিয়ে অবস্থান নেয়। তাদের স্লোগানগুলোর মধ্যে ছিল—‘দালালি না রাজপথ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’।

এক বিক্ষোভকারী জিহাদুল ইসলাম বলেন, “ক্ষমতার দম্ভ কোথায় গেল? স্বজনহারার বেদনা কোথায়? আগে এই বাড়ির সামনে দিয়ে মানুষ হাঁটতে পারত না, আর আজ মানুষ এসে বাড়ি ভেঙে দিচ্ছে, ইট খুলে নিচ্ছে।”

এর আগে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। বুধবার ফের ব্যাপক ভাঙচুরের পর বাড়ির পোড়া অংশে আবারও আগুন দেওয়া হয়।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ‘বুলডোজার মিছিল’ শুধু সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরেও ভবনের কিছু অংশে আগুন জ্বলছিল। প্রচণ্ড তাপের মধ্যেও লোকজন সেখানে ঢুকে আসবাব, এসি, ফ্রিজ, তারসহ বিভিন্ন সামগ্রী সরিয়ে নেয়। সালেহা আক্তার নামে এক নারী জানান, “অনেকে সকালে যা পেয়েছে, নিয়ে গেছে। আমি টুকটাক যা পেয়েছি, বিক্রি করে কিছু টাকা পেতে চাই।”

শেখ হাসিনার স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ডাক নাম ‘সুধা মিয়া’ থেকে বাড়িটির নামকরণ হয়। আওয়ামী লীগ সরকারকালে এটি কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ছিল।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুরের মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ সন্দেহে এক নারী ও এক পুরুষকে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক নারী ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলে এবং এক ব্যক্তি ‘আপার বাড়ি’ বলে শেখ হাসিনার বাড়ি উল্লেখ করলে তাদের মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ধানমন্ডি ৩২ থেকে প্রধান সড়কে নিয়ে তাদের ওপর হামলা চলে। পরে কিছু লোকজন তাদের রিকশায় তুলে সরিয়ে দেয়।

ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য সেখানে ছিল না।

back to top