রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে চলে যেতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, সরকারে থেকে অযথা সময়ক্ষেপণ করার কোনো ইচ্ছা নেই এবং অবাধ সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রের মেরামতের প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে এ সরকার চলে যেতে চায়। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, "আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র মেরামতের মৌলিক শর্ত পূরণ করার জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার আনা অতিজরুরি, সেগুলো করার সাথে সাথে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা চলে যেতে চাই।"
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে প্রথম ধাপে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এসব কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা বলেন, "কমিশনগুলো বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কারের কথা বলেছেন। কিছু দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার প্রস্তাব এসেছে, যেগুলো নির্বাচিত সরকার করবে। আশু করণীয়গুলোর বিষয়ে আমরা আশা করছি, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচনের আগেই করা হবে। আর মধ্যমমেয়াদী, এগুলো নির্ভর করে রাজনৈতিক দলগুলো কতটুকু করতে রাজি আছে বা ঐকমত্য আছে।"
তিনি জানান, "আমরা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসতে চাই, যদি তারা মনে করেন রোজার মধ্যেও আলোচনা চালিয়ে যাবেন।"
এদিকে ১৪ জানুয়ারি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নাই। এটা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা মনে করি, এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ জুলাই-অগাস্টের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব।”
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন সম্পর্কে বলেছিলেন, "নির্বাচন একটি জাতির গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠার জন্য অপরিহার্য।" তিনি বলেন, "সবচেয়ে দ্রুতও যদি নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, তা হলে ‘এ বছরের শেষ দিকে’ সেটা হতে পারে।"
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের জুনে নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা তুলে ধরেন এবং বলেন, “এটা প্রধান উপদেষ্টা ও তার পক্ষে আমাদের প্রেস সেক্রেটারি বারবার বলেছেন। জুনের আয়োজনের ক্ষেত্রে বর্ষার সময় বিবেচনায় রেখে আরও আগানো হতে পারে। হয়তো এপ্রিলে হতে পারে, মার্চে হতে পারে।”
এছাড়া তিনি বলেন, “কমিশনগুলো আশু করণীয় সংস্কার প্রস্তাবগুলো আলাদা করে আমাদের দিয়েছে। এসব প্রস্তাবের ৫০ শতাংশ এক মাসের মধ্যেই করে ফেলা সম্ভব বলে আমি মনে করি।” তিনি জানান, "আশু করণীয় মানে কবে করণীয়, সে সংজ্ঞাও আছে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বলেছে, আশু করণীয় বলতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে কাজগুলো করতে হবে।"
অন্য কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আশু করণীয় বলতে যেটা আগামীকাল থেকেই শুরু করা যেতে পারে। এগুলো অবশ্যই আগামী নির্বাচনের আগে করা যাবে বলে তারা মনে করেন।
এদিকে, কমিশনগুলোর প্রতিবেদন প্রকাশের পর সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, সরকার নির্বাচনের জন্য সংস্কার প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে প্রস্তুত।
রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে চলে যেতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, সরকারে থেকে অযথা সময়ক্ষেপণ করার কোনো ইচ্ছা নেই এবং অবাধ সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রের মেরামতের প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে এ সরকার চলে যেতে চায়। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, "আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র মেরামতের মৌলিক শর্ত পূরণ করার জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার আনা অতিজরুরি, সেগুলো করার সাথে সাথে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা চলে যেতে চাই।"
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে প্রথম ধাপে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এসব কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা বলেন, "কমিশনগুলো বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কারের কথা বলেছেন। কিছু দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার প্রস্তাব এসেছে, যেগুলো নির্বাচিত সরকার করবে। আশু করণীয়গুলোর বিষয়ে আমরা আশা করছি, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচনের আগেই করা হবে। আর মধ্যমমেয়াদী, এগুলো নির্ভর করে রাজনৈতিক দলগুলো কতটুকু করতে রাজি আছে বা ঐকমত্য আছে।"
তিনি জানান, "আমরা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসতে চাই, যদি তারা মনে করেন রোজার মধ্যেও আলোচনা চালিয়ে যাবেন।"
এদিকে ১৪ জানুয়ারি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নাই। এটা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা মনে করি, এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ জুলাই-অগাস্টের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব।”
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন সম্পর্কে বলেছিলেন, "নির্বাচন একটি জাতির গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠার জন্য অপরিহার্য।" তিনি বলেন, "সবচেয়ে দ্রুতও যদি নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, তা হলে ‘এ বছরের শেষ দিকে’ সেটা হতে পারে।"
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের জুনে নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা তুলে ধরেন এবং বলেন, “এটা প্রধান উপদেষ্টা ও তার পক্ষে আমাদের প্রেস সেক্রেটারি বারবার বলেছেন। জুনের আয়োজনের ক্ষেত্রে বর্ষার সময় বিবেচনায় রেখে আরও আগানো হতে পারে। হয়তো এপ্রিলে হতে পারে, মার্চে হতে পারে।”
এছাড়া তিনি বলেন, “কমিশনগুলো আশু করণীয় সংস্কার প্রস্তাবগুলো আলাদা করে আমাদের দিয়েছে। এসব প্রস্তাবের ৫০ শতাংশ এক মাসের মধ্যেই করে ফেলা সম্ভব বলে আমি মনে করি।” তিনি জানান, "আশু করণীয় মানে কবে করণীয়, সে সংজ্ঞাও আছে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বলেছে, আশু করণীয় বলতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে কাজগুলো করতে হবে।"
অন্য কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আশু করণীয় বলতে যেটা আগামীকাল থেকেই শুরু করা যেতে পারে। এগুলো অবশ্যই আগামী নির্বাচনের আগে করা যাবে বলে তারা মনে করেন।
এদিকে, কমিশনগুলোর প্রতিবেদন প্রকাশের পর সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, সরকার নির্বাচনের জন্য সংস্কার প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে প্রস্তুত।