জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রচেষ্টায় কোনো দ্বিধার সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, সংস্কারের মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর দৃঢ় মতামত রয়েছে এবং কমিশন শীঘ্রই এই প্রক্রিয়াকে দ্রুত এগিয়ে নিতে চায়।
শনিবার, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, "সর্বোপরি যেটা, সেটা হচ্ছে, ঐকমত্য প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে কোনোরকম দ্বিধার সুযোগ নাই।" তিনি আরো বলেন, "এই প্রক্রিয়াটাই দ্রুত অগ্রসর করতে চাই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে।"
প্রথম বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানো হয় যে, এই প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রতা করবে না, বরং শীঘ্রই এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। "আমরা আশা করছি, স্বল্প সময়ের মধ্যে এটি করতে পারব," যোগ করেন আলী রীয়াজ। তিনি আরও জানান, প্রতিবেদনগুলো দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বৈঠকে আলী রীয়াজ জানান, কমিশনের কাজ এখন সূচনামাত্র। "আজকের কাজটা সূচনা," বলেন তিনি, "এটা আমাদের অগ্রসর করার পথ তৈরি করেছে।" সংলাপের সময়সীমা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "এই কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস। তবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব ঐকমত্যে পৌঁছানো।"
তিনি আরও বলেন, কমিশন ইতোমধ্যেই ছয়টি কমিশনের সারাংশ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পৌঁছে দিয়েছে এবং তারা এখন পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করছে। তবে, তাদের পর্যালোচনা করার জন্য একটু সময় প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা দ্রুত হবে এবং নির্বাচনের পথ সুগম হবে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, "সামগ্রিকভাবে সংস্কারের জন্য আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে এবং দ্রুত ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে কিছুটা সময় লাগবে তবে প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, যতটা সম্ভব দ্রুত আলোচনায় অগ্রসর হওয়া।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, যাদের মধ্যে বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খেলাফত মজলিশের প্রতিনিধি মাওলানা আবদুল বাছিদ আজাদ ও অন্যান্য দলের নেতারা। জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা বলেছি, যে সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পরে যত শিগগির সম্ভব নির্বাচন প্রস্তুতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”
সংস্কারের ক্ষেত্রে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হবে এবং তাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি, এই প্রক্রিয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা ও সমর্থন আশা করা হচ্ছে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, কমিশন দ্রুততার সাথে কাজ করতে চায় এবং দেশকে একটি নির্বাচনী পরিবেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রক্রিয়া সফলভাবে পরিচালনা করতে চায়। “আমরা চাই না এই প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হোক, কারণ দেশের নির্বাচন এবং জনগণের ঐকমত্য গুরুত্বপূর্ণ,” বলেন তিনি।
এই প্রথম বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ এটি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হয়। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পাওয়া গেছে এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত রয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এদিকে, জামায়াতের সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, তারা আশা করছেন, সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পর নির্বাচন শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, তারা জামায়াতের পক্ষ থেকে সমর্থন জানাচ্ছেন এবং অন্যান্য দলের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রচেষ্টায় কোনো দ্বিধার সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, সংস্কারের মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর দৃঢ় মতামত রয়েছে এবং কমিশন শীঘ্রই এই প্রক্রিয়াকে দ্রুত এগিয়ে নিতে চায়।
শনিবার, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, "সর্বোপরি যেটা, সেটা হচ্ছে, ঐকমত্য প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে কোনোরকম দ্বিধার সুযোগ নাই।" তিনি আরো বলেন, "এই প্রক্রিয়াটাই দ্রুত অগ্রসর করতে চাই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে।"
প্রথম বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোকে জানানো হয় যে, এই প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রতা করবে না, বরং শীঘ্রই এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। "আমরা আশা করছি, স্বল্প সময়ের মধ্যে এটি করতে পারব," যোগ করেন আলী রীয়াজ। তিনি আরও জানান, প্রতিবেদনগুলো দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বৈঠকে আলী রীয়াজ জানান, কমিশনের কাজ এখন সূচনামাত্র। "আজকের কাজটা সূচনা," বলেন তিনি, "এটা আমাদের অগ্রসর করার পথ তৈরি করেছে।" সংলাপের সময়সীমা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "এই কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস। তবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব ঐকমত্যে পৌঁছানো।"
তিনি আরও বলেন, কমিশন ইতোমধ্যেই ছয়টি কমিশনের সারাংশ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পৌঁছে দিয়েছে এবং তারা এখন পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করছে। তবে, তাদের পর্যালোচনা করার জন্য একটু সময় প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা দ্রুত হবে এবং নির্বাচনের পথ সুগম হবে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, "সামগ্রিকভাবে সংস্কারের জন্য আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে এবং দ্রুত ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে কিছুটা সময় লাগবে তবে প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, যতটা সম্ভব দ্রুত আলোচনায় অগ্রসর হওয়া।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, যাদের মধ্যে বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খেলাফত মজলিশের প্রতিনিধি মাওলানা আবদুল বাছিদ আজাদ ও অন্যান্য দলের নেতারা। জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা বলেছি, যে সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পরে যত শিগগির সম্ভব নির্বাচন প্রস্তুতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”
সংস্কারের ক্ষেত্রে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হবে এবং তাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি, এই প্রক্রিয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা ও সমর্থন আশা করা হচ্ছে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, কমিশন দ্রুততার সাথে কাজ করতে চায় এবং দেশকে একটি নির্বাচনী পরিবেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রক্রিয়া সফলভাবে পরিচালনা করতে চায়। “আমরা চাই না এই প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হোক, কারণ দেশের নির্বাচন এবং জনগণের ঐকমত্য গুরুত্বপূর্ণ,” বলেন তিনি।
এই প্রথম বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ এটি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হয়। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পাওয়া গেছে এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত রয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এদিকে, জামায়াতের সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, তারা আশা করছেন, সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পর নির্বাচন শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, তারা জামায়াতের পক্ষ থেকে সমর্থন জানাচ্ছেন এবং অন্যান্য দলের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছেন।