নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া মোড়ে ইউরোটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ -সংবাদ
বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সাড়ে তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন নারায়ণগঞ্জের রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা ইউরোটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেডের কয়েকশ’ শ্রমিক।
সোমবার সকাল দশটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শহরের চাষাঢ়া। মোড়ে অবস্থান নিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও দু’টি সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তারা।
এতে পুরো শহর যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে, ভোগান্তি পোহাতে হয় জনসাধারণকে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও শিল্প পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সস্তাপুর এলাকার ইউরোটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেড নামে কারখানাটিতে কয়েকমাস যাবত শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি বকেয়া বেতন ও ন্যায্য পাওনা পরিশোধের দাবিতে কারখানাটির ভেতর বিক্ষোভ করেন একদল শ্রমিক। পরে আন্দোলনরত কয়েকজন শ্রমিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করে মালিকপক্ষ। রোববার শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ সাঁটানো হয়।
গতরাতে আন্দোলনরত কয়েকজন শ্রমিকের বিরুদ্ধে কারখানায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে একটি মামলাও করা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা। এরই প্রতিবাদে শ্রমিকরা সড়কে নেমে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল দশটার দিকে কয়েকশ’ শ্রমিক চাষাঢ়ায় জড়ো হন। পরে তারা চাষাঢ়া মোড়ে অবস্থান নিলে আশপাশের সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জেলা ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা তাদের সড়ক ছেড়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধানের প্রস্তাব দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
অবরোধে অংশ নেয়া শ্রমিক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে প্রিন্ট সেকশনের ২৭ জন শ্রমিককে বেতন না দিয়ে ছাঁটাই করা হয় এবং তাদের নামে কোটি টাকার মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। পাশাপাশি হঠাৎ করে গার্মেন্টস বন্ধ করে দেয়া হয়। আমরা এর প্রতিবাদে আজকে রাস্তায় নেমেছি।
কারখানা মালিক বন্ধ করে দিতেই পারেন কিন্তু তার আগে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করতে হবে। যতক্ষণ না কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে একমত হবে ততক্ষণ আমরা অবরোধ চালিয়ে যাবো, যোগ করেন ওই শ্রমিক।
সোমবার সকালে কারখানার সামনে অবস্থান নিতে চাইলে মালিকপক্ষের সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের উপর চড়াও হয় বলেও অভিযোগ করেন শ্রমিকরা।
শাহজাহান নামে এক শ্রমিক বলেন, গার্মেন্টসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ এনেছে। আমাদের নামে ভাঙচুরের অভিযোগ এনেছে। কিন্তু গার্মেন্টসে কোনো ভাঙচুরের আলামত নেই। ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পাওনা বেতন এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই।
এদিকে, দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের একটি দল শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়। পরে মিছিল নিয়ে শ্রমিকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দিকে যান।
শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিলে বেলা দুইটার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঘটনাস্থলে থাকা ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরীফুল ইসলাম বলেন, মালিক-শ্রমিক উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। পরে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়াসহ মামলা তুলে নেয়ার আশ্বাস দেয়ায় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ তুলে নিয়েছে। এরপর থেকে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া মোড়ে ইউরোটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেডের শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ -সংবাদ
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সাড়ে তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন নারায়ণগঞ্জের রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা ইউরোটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেডের কয়েকশ’ শ্রমিক।
সোমবার সকাল দশটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শহরের চাষাঢ়া। মোড়ে অবস্থান নিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও দু’টি সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তারা।
এতে পুরো শহর যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে, ভোগান্তি পোহাতে হয় জনসাধারণকে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও শিল্প পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সস্তাপুর এলাকার ইউরোটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেড নামে কারখানাটিতে কয়েকমাস যাবত শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি বকেয়া বেতন ও ন্যায্য পাওনা পরিশোধের দাবিতে কারখানাটির ভেতর বিক্ষোভ করেন একদল শ্রমিক। পরে আন্দোলনরত কয়েকজন শ্রমিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করে মালিকপক্ষ। রোববার শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ সাঁটানো হয়।
গতরাতে আন্দোলনরত কয়েকজন শ্রমিকের বিরুদ্ধে কারখানায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে একটি মামলাও করা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা। এরই প্রতিবাদে শ্রমিকরা সড়কে নেমে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল দশটার দিকে কয়েকশ’ শ্রমিক চাষাঢ়ায় জড়ো হন। পরে তারা চাষাঢ়া মোড়ে অবস্থান নিলে আশপাশের সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জেলা ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা তাদের সড়ক ছেড়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধানের প্রস্তাব দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
অবরোধে অংশ নেয়া শ্রমিক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে প্রিন্ট সেকশনের ২৭ জন শ্রমিককে বেতন না দিয়ে ছাঁটাই করা হয় এবং তাদের নামে কোটি টাকার মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। পাশাপাশি হঠাৎ করে গার্মেন্টস বন্ধ করে দেয়া হয়। আমরা এর প্রতিবাদে আজকে রাস্তায় নেমেছি।
কারখানা মালিক বন্ধ করে দিতেই পারেন কিন্তু তার আগে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করতে হবে। যতক্ষণ না কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে একমত হবে ততক্ষণ আমরা অবরোধ চালিয়ে যাবো, যোগ করেন ওই শ্রমিক।
সোমবার সকালে কারখানার সামনে অবস্থান নিতে চাইলে মালিকপক্ষের সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের উপর চড়াও হয় বলেও অভিযোগ করেন শ্রমিকরা।
শাহজাহান নামে এক শ্রমিক বলেন, গার্মেন্টসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ এনেছে। আমাদের নামে ভাঙচুরের অভিযোগ এনেছে। কিন্তু গার্মেন্টসে কোনো ভাঙচুরের আলামত নেই। ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পাওনা বেতন এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই।
এদিকে, দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের একটি দল শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়। পরে মিছিল নিয়ে শ্রমিকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দিকে যান।
শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিলে বেলা দুইটার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঘটনাস্থলে থাকা ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরীফুল ইসলাম বলেন, মালিক-শ্রমিক উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। পরে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়াসহ মামলা তুলে নেয়ার আশ্বাস দেয়ায় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ তুলে নিয়েছে। এরপর থেকে সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।