নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে দুদিন ধরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ফটক অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, সরকার তাদের প্রতি কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না এবং আগের আন্দোলনকারীদের কিছু সুবিধা দিয়ে ম্যানেজ করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের এক নম্বর ফটকে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন আহত ব্যক্তি সেখানে অবস্থান করছেন। আশপাশে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন, আর দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা তাদের বক্তব্য নিচ্ছেন।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে থাকা মো. মাসুদ জানান, আন্দোলনের সময় মহাখালীতে তার ডান হাতে গুলি লেগে বেরিয়ে যায়। তিনি বলেন, সরকার আহতদের তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করলেও তারা চান এটি দুটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হোক—যারা কর্মক্ষমতা হারিয়ে পঙ্গু হয়েছেন তাদের জন্য এক ক্যাটাগরি এবং যারা আহত হলেও এখনো কর্মক্ষম তাদের জন্য আরেকটি।
আহতদের আরেকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, রামপুরায় ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি এখনো শরীরে ৭০-৮০টি স্প্লিন্টার বহন করছেন এবং তার ডান চোখের দৃষ্টিশক্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার ভাষ্য, সরকার তাদের ‘মোটেও পাত্তা দিচ্ছে না’ এবং আগের আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়ে ‘ম্যানেজ’ করে ফেলেছে।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম দাবি হলো, তাদের আজীবন সুরক্ষার ব্যবস্থা করা এবং প্রত্যন্ত এলাকাতেও আহতদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। তাদের মতে, সারাদেশে প্রায় দেড় হাজার আহত ব্যক্তি রয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই ঢাকায় আসার পথে আছেন, আবার অনেকের শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ ভ্রমণের উপযুক্ত নয়।
আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিচ্ছেন— "এক দুই তিন চার, সব শালার বাটপার", "ক্যাটাগরি কয়টা, দুইটা দুইটা", "দালালদের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে"।
গত ছয় মাস ধরে চিকিৎসাধীন এই আহতরা সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাদের মধ্যে একটি অংশ ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছিল।
আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— সরকারি আবাসনের ব্যবস্থা, আহতদের পরিচয়পত্র ও রেশন কার্ড প্রদান, যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরি, নারী যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ রাষ্ট্রীয় ঘোষণাপত্র, বিনামূল্যে বিমান, রেল ও বাসে চলাচলের সুবিধা, যানবাহন কেনায় শুল্ক-কর মওকুফ এবং রাষ্ট্রীয় অতিথিশালাগুলো ব্যবহারের অনুমতি।
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে দুদিন ধরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ফটক অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, সরকার তাদের প্রতি কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না এবং আগের আন্দোলনকারীদের কিছু সুবিধা দিয়ে ম্যানেজ করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের এক নম্বর ফটকে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন আহত ব্যক্তি সেখানে অবস্থান করছেন। আশপাশে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন, আর দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা তাদের বক্তব্য নিচ্ছেন।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে থাকা মো. মাসুদ জানান, আন্দোলনের সময় মহাখালীতে তার ডান হাতে গুলি লেগে বেরিয়ে যায়। তিনি বলেন, সরকার আহতদের তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করলেও তারা চান এটি দুটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হোক—যারা কর্মক্ষমতা হারিয়ে পঙ্গু হয়েছেন তাদের জন্য এক ক্যাটাগরি এবং যারা আহত হলেও এখনো কর্মক্ষম তাদের জন্য আরেকটি।
আহতদের আরেকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, রামপুরায় ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি এখনো শরীরে ৭০-৮০টি স্প্লিন্টার বহন করছেন এবং তার ডান চোখের দৃষ্টিশক্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার ভাষ্য, সরকার তাদের ‘মোটেও পাত্তা দিচ্ছে না’ এবং আগের আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়ে ‘ম্যানেজ’ করে ফেলেছে।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম দাবি হলো, তাদের আজীবন সুরক্ষার ব্যবস্থা করা এবং প্রত্যন্ত এলাকাতেও আহতদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। তাদের মতে, সারাদেশে প্রায় দেড় হাজার আহত ব্যক্তি রয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই ঢাকায় আসার পথে আছেন, আবার অনেকের শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ ভ্রমণের উপযুক্ত নয়।
আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিচ্ছেন— "এক দুই তিন চার, সব শালার বাটপার", "ক্যাটাগরি কয়টা, দুইটা দুইটা", "দালালদের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে"।
গত ছয় মাস ধরে চিকিৎসাধীন এই আহতরা সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাদের মধ্যে একটি অংশ ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছিল।
আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— সরকারি আবাসনের ব্যবস্থা, আহতদের পরিচয়পত্র ও রেশন কার্ড প্রদান, যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরি, নারী যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ রাষ্ট্রীয় ঘোষণাপত্র, বিনামূল্যে বিমান, রেল ও বাসে চলাচলের সুবিধা, যানবাহন কেনায় শুল্ক-কর মওকুফ এবং রাষ্ট্রীয় অতিথিশালাগুলো ব্যবহারের অনুমতি।