অন্তবর্তী সরকারের নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেছেন, তিনি এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থা চান, যেখানে শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী হতে হবে না, বরং তারা দেশের ভেতরেই নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখতে পারবে।
উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গিয়ে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি। সদ্য বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলাম ফুল দিয়ে নতুন উপদেষ্টাকে বরণ করে নেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর সি আর আবরার বলেন, “অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন, শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা দেখতে চান? আমি স্বপ্ন দেখি এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থার, যেখানে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে পারবে। দেশে থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। আমি জানি, এটি হয়তো দ্রুত সম্ভব নয়, কিন্তু এর একটি ভিত্তিপ্রস্তর আমরা তৈরি করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে বড় রকমের পরিবর্তন এসেছে। আমরা ভাবিনি আমাদের জীবদ্দশায় এভাবে মুক্তভাবে কথা বলতে পারব। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষা একটি বিশাল ক্ষেত্র, যেখানে আমাদের জনগণের প্রতি অনেক দায়বদ্ধতা রয়েছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সি আর আবরার অভিবাসন খাতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) নির্বাহী পরিচালক। রোহিঙ্গা শরণার্থী, অভিবাসী শ্রমিক, ও বাংলাদেশের উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্বসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার গবেষণা রয়েছে।
সদ্য বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ দায়িত্ব হস্তান্তরকালে বলেন, “শিক্ষা কমিশন অতীতে পাঁচ-ছয়টি হয়েছে। কিন্তু তারা কি সমস্যার সমাধান করেছে? কয়েকজনকে বসিয়ে কমিশন করলেই তো হবে না, তাদের পুরো বিষয় বুঝতেই অনেক সময় লেগে যাবে। আমাদের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একটি কমিশন দরকার।”
তিনি আরও বলেন, “বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। অথচ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি। নতুন শিক্ষা কমিশন এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নেবে বলে আশা করছি। কারিকুলাম উন্নত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকলে কাজ হবে না।”
বিদায়ী উপদেষ্টা বলেন, “শিক্ষাব্যবস্থা নষ্ট হতে অনেক সময় লাগে, তবে পুনর্গঠন করতেও সময় প্রয়োজন। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এখন বিশৃঙ্খল ও অবিন্যস্ত। নতুন শিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে আশা করছি।”
বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫
অন্তবর্তী সরকারের নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেছেন, তিনি এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থা চান, যেখানে শিক্ষার্থীদের বিদেশমুখী হতে হবে না, বরং তারা দেশের ভেতরেই নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখতে পারবে।
উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গিয়ে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি। সদ্য বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলাম ফুল দিয়ে নতুন উপদেষ্টাকে বরণ করে নেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর সি আর আবরার বলেন, “অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন, শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা দেখতে চান? আমি স্বপ্ন দেখি এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থার, যেখানে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে পারবে। দেশে থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। আমি জানি, এটি হয়তো দ্রুত সম্ভব নয়, কিন্তু এর একটি ভিত্তিপ্রস্তর আমরা তৈরি করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে বড় রকমের পরিবর্তন এসেছে। আমরা ভাবিনি আমাদের জীবদ্দশায় এভাবে মুক্তভাবে কথা বলতে পারব। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। শিক্ষা একটি বিশাল ক্ষেত্র, যেখানে আমাদের জনগণের প্রতি অনেক দায়বদ্ধতা রয়েছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সি আর আবরার অভিবাসন খাতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) নির্বাহী পরিচালক। রোহিঙ্গা শরণার্থী, অভিবাসী শ্রমিক, ও বাংলাদেশের উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্বসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার গবেষণা রয়েছে।
সদ্য বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ দায়িত্ব হস্তান্তরকালে বলেন, “শিক্ষা কমিশন অতীতে পাঁচ-ছয়টি হয়েছে। কিন্তু তারা কি সমস্যার সমাধান করেছে? কয়েকজনকে বসিয়ে কমিশন করলেই তো হবে না, তাদের পুরো বিষয় বুঝতেই অনেক সময় লেগে যাবে। আমাদের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একটি কমিশন দরকার।”
তিনি আরও বলেন, “বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। অথচ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি। নতুন শিক্ষা কমিশন এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নেবে বলে আশা করছি। কারিকুলাম উন্নত করার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকলে কাজ হবে না।”
বিদায়ী উপদেষ্টা বলেন, “শিক্ষাব্যবস্থা নষ্ট হতে অনেক সময় লাগে, তবে পুনর্গঠন করতেও সময় প্রয়োজন। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এখন বিশৃঙ্খল ও অবিন্যস্ত। নতুন শিক্ষা উপদেষ্টার নেতৃত্বে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে আশা করছি।”