গাবতলীতে উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে দখলদারদের কাছে ভাড়া চেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। দখলদাররা ভাড়া দিতে রাজি কিনা জানাতে ৭ দিন সময় দিয়েছেন তিনি। ভাড়া না দিলে আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রশাসক। তবে ভাড়া দিলে তাদের ব্যবসার বৈধতা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার সকালে রাজধানীর গাবতলী বেড়িবাঁধ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা জানান মোহাম্মদ এজাজ। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দেয়া হয় মঙ্গলবার রাতেই। পুলিশি প্রটোকল আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে গাবতলীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উত্তর সিটির জায়গা দখল করে গড়ে তোলা বেড়িবাঁধ থেকে বিজিবি মার্কেট পর্যন্ত ইট, বালু ও পাথর বিক্রির কয়েকটি গদিঘর ভেঙে দেয়া হয়। এ ছাড়া অভিযানে গাবতলী পশুর হাটসংলগ্ন জায়গায় টিনের ছাউনি ও বেড়া দিয়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা প্রায় ৪০টি দোকান ভেঙে দেয়া হয়।
উচ্ছেদে যাওয়ার আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তর সিটির জনসংযোগ বিভাগের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এ অভিযান নিয়ে মিডিয়া কাভারেজের অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, ‘আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাবতলী বেড়িবাঁধ থেকে বিজিবি মার্কেট পর্যন্ত ইট, বালু, পাথরের গদিঘর, আড়তসহ আশপাশের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে।’
ঘোষণা অনুযায়ী অভিযানে গিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এখানে যারা ব্যবসা করছেন, আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের আমরা সাত দিন সময় বেঁধে দিয়েছি। এর মধ্যে হয় তারা তাদের এই মালপত্র নিয়ে সরে যাবেন অথবা সিটি করপোরেশনকে ভাড়া দিয়ে তাদের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা পরিচালনা করবেন।’
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এখানকার যে অবৈধ ব্যবসাটি আছে, আমরা সেটি একটি বৈধ ফ্রেমওয়ার্কে নিয়ে আসতে চাই। বৈধ ফ্রেমওয়ার্কে আনার জন্যই এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি। এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা আমাদের একটা রাষ্ট্রীয় এস্টিমেট করে ফেলব, কী পরিমাণ রেভিনিউ আমরা এখান থেকে পাব। সেই অনুযায়ী তাদের সঙ্গে বসে নেগোশিয়েট করে আমরা একটি অ্যামিকেবল সলিউশনে আসতে
’
তিনি জানান, ‘ভাড়ার একটি সরকারি নিয়ম আছে। আমাদের যে ম্যাজিস্ট্রেটরা আছেন ও স্টেটের যারা কর্মী আছেন, তারা এই পুরো জায়গাকে এখন স্কয়ার ফুট হিসাবে এস্টিমেট করবেন। কতগুলো গদি আছে, কতগুলো অ্যাকোমোডেট করা সম্ভব, কতগুলো আকোমোডেট করা সম্ভব না দেখবেন।’
উত্তর সিটির প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে তার দেয়া প্রতিশ্রুতির বিষয়ে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেয়ার পর যে কতগুলো কমিটমেন্ট ঢাকাবাসীকে দিয়েছি, তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে, সিটি করপোরেশন ও সরকারের যে সম্পত্তিগুলো আছে, সেগুলো দখলমুক্ত করা। এটা আমার একটি বড় ম্যান্ডেটের একটি।’
অবৈধ দখলে থাকা করপোরেশনের জায়গাকে পার্ক ও খোলা জায়গায় রূপান্তর করা তার দুটি বড় কাজের একটি বলে জানান ডিএনসিসির এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘কারণ, ঢাকার প্রত্যেক মানুষের এটি অধিকার যে তারা পার্কে যাবে, ওপেন স্পেসে ঘোরাঘুরি করবে। এই খোলা জায়গা ঢাকার সবচেয়ে বড় সংকট। আর দ্বিতীয় কাজটি হলো, সরকারের অনেক সম্পত্তি যেগুলো বেদখলে আছে, সেসব জায়গা থেকে অর্থ আয় করা।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উত্তরের প্রশাসক বলেন, ‘যে গদিগুলো ভেঙেছি, সেটা ব্যবসায়িক টাকা কালেকশনের কাউন্টার। এটা আমরা বন্ধ করেছি, এটা প্রতীকীভাবে; যেন তারা (দখলদারেরা) আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমরা আসলাম আর কথা বলে চলে গেলাম, তখন আপনারাই বলবেন, আমরা এদের সঙ্গে নেগোশিয়েট করে ফেলেছি।’
উত্তরের প্রশাসক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় গাবতলী পশুর হাটসংলগ্ন অংশে ভেঙে দেয়া দোকান মালিকরা পেছন থেকে উচ্চৈঃস্বরে প্রতিবাদ জানিয়ে বিশৃঙ্খলা শুরু করেন। এ সময় মাঝেমধ্যে প্রশাসককে বক্তব্য থামাতে দেখা যায়। পরে বিশৃঙ্খলার মধ্যেই তিনি বক্তব্য দেন।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ অভিযানস্থল থেকে চলে যান। চলে যাওয়ার পর উচ্ছেদের জন্য নেয়া বিভিন্ন ভারী যন্ত্রও সরিয়ে নেয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে থাকা উত্তর সিটির অন্য কর্মকর্তা ও কর্মীরাও চলে যান।
বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫
গাবতলীতে উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে দখলদারদের কাছে ভাড়া চেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। দখলদাররা ভাড়া দিতে রাজি কিনা জানাতে ৭ দিন সময় দিয়েছেন তিনি। ভাড়া না দিলে আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রশাসক। তবে ভাড়া দিলে তাদের ব্যবসার বৈধতা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার সকালে রাজধানীর গাবতলী বেড়িবাঁধ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা জানান মোহাম্মদ এজাজ। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দেয়া হয় মঙ্গলবার রাতেই। পুলিশি প্রটোকল আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে গাবতলীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উত্তর সিটির জায়গা দখল করে গড়ে তোলা বেড়িবাঁধ থেকে বিজিবি মার্কেট পর্যন্ত ইট, বালু ও পাথর বিক্রির কয়েকটি গদিঘর ভেঙে দেয়া হয়। এ ছাড়া অভিযানে গাবতলী পশুর হাটসংলগ্ন জায়গায় টিনের ছাউনি ও বেড়া দিয়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা প্রায় ৪০টি দোকান ভেঙে দেয়া হয়।
উচ্ছেদে যাওয়ার আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তর সিটির জনসংযোগ বিভাগের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এ অভিযান নিয়ে মিডিয়া কাভারেজের অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, ‘আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাবতলী বেড়িবাঁধ থেকে বিজিবি মার্কেট পর্যন্ত ইট, বালু, পাথরের গদিঘর, আড়তসহ আশপাশের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে।’
ঘোষণা অনুযায়ী অভিযানে গিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এখানে যারা ব্যবসা করছেন, আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের আমরা সাত দিন সময় বেঁধে দিয়েছি। এর মধ্যে হয় তারা তাদের এই মালপত্র নিয়ে সরে যাবেন অথবা সিটি করপোরেশনকে ভাড়া দিয়ে তাদের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা পরিচালনা করবেন।’
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এখানকার যে অবৈধ ব্যবসাটি আছে, আমরা সেটি একটি বৈধ ফ্রেমওয়ার্কে নিয়ে আসতে চাই। বৈধ ফ্রেমওয়ার্কে আনার জন্যই এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি। এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা আমাদের একটা রাষ্ট্রীয় এস্টিমেট করে ফেলব, কী পরিমাণ রেভিনিউ আমরা এখান থেকে পাব। সেই অনুযায়ী তাদের সঙ্গে বসে নেগোশিয়েট করে আমরা একটি অ্যামিকেবল সলিউশনে আসতে
’
তিনি জানান, ‘ভাড়ার একটি সরকারি নিয়ম আছে। আমাদের যে ম্যাজিস্ট্রেটরা আছেন ও স্টেটের যারা কর্মী আছেন, তারা এই পুরো জায়গাকে এখন স্কয়ার ফুট হিসাবে এস্টিমেট করবেন। কতগুলো গদি আছে, কতগুলো অ্যাকোমোডেট করা সম্ভব, কতগুলো আকোমোডেট করা সম্ভব না দেখবেন।’
উত্তর সিটির প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে তার দেয়া প্রতিশ্রুতির বিষয়ে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেয়ার পর যে কতগুলো কমিটমেন্ট ঢাকাবাসীকে দিয়েছি, তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে, সিটি করপোরেশন ও সরকারের যে সম্পত্তিগুলো আছে, সেগুলো দখলমুক্ত করা। এটা আমার একটি বড় ম্যান্ডেটের একটি।’
অবৈধ দখলে থাকা করপোরেশনের জায়গাকে পার্ক ও খোলা জায়গায় রূপান্তর করা তার দুটি বড় কাজের একটি বলে জানান ডিএনসিসির এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘কারণ, ঢাকার প্রত্যেক মানুষের এটি অধিকার যে তারা পার্কে যাবে, ওপেন স্পেসে ঘোরাঘুরি করবে। এই খোলা জায়গা ঢাকার সবচেয়ে বড় সংকট। আর দ্বিতীয় কাজটি হলো, সরকারের অনেক সম্পত্তি যেগুলো বেদখলে আছে, সেসব জায়গা থেকে অর্থ আয় করা।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উত্তরের প্রশাসক বলেন, ‘যে গদিগুলো ভেঙেছি, সেটা ব্যবসায়িক টাকা কালেকশনের কাউন্টার। এটা আমরা বন্ধ করেছি, এটা প্রতীকীভাবে; যেন তারা (দখলদারেরা) আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমরা আসলাম আর কথা বলে চলে গেলাম, তখন আপনারাই বলবেন, আমরা এদের সঙ্গে নেগোশিয়েট করে ফেলেছি।’
উত্তরের প্রশাসক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় গাবতলী পশুর হাটসংলগ্ন অংশে ভেঙে দেয়া দোকান মালিকরা পেছন থেকে উচ্চৈঃস্বরে প্রতিবাদ জানিয়ে বিশৃঙ্খলা শুরু করেন। এ সময় মাঝেমধ্যে প্রশাসককে বক্তব্য থামাতে দেখা যায়। পরে বিশৃঙ্খলার মধ্যেই তিনি বক্তব্য দেন।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ অভিযানস্থল থেকে চলে যান। চলে যাওয়ার পর উচ্ছেদের জন্য নেয়া বিভিন্ন ভারী যন্ত্রও সরিয়ে নেয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে থাকা উত্তর সিটির অন্য কর্মকর্তা ও কর্মীরাও চলে যান।