মীরসরাইয়ে চোরচক্রের অন্তঃকোন্দলে ৩০ চোর ও নিরাপত্তাকর্মীসহ আহত অর্ধশত
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মীরসরাই উপজেলার সোনাপাহাড় এলাকায় প্রায় দুই দশক আগে গড়ে ওঠা বিএসআরএম স্টিল ইন্ডাষ্ট্রিজ এই অঞ্চলের সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান। প্রায় সহস্র একর এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা এই শিল্প পার্ক ঘিরে ইতোমধ্যে গড়ে ওঠছে বহুমুখী নানা কর্মসংস্থান। কিন্তু উক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের আসেপাশে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু চোর চক্রের উৎপাতে আতঙ্কিত শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরা।
বিএসআরএম স্টিল পার্কে কর্মরত একাধিক সিকিউরিটি কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে গত প্রায় ৬ মাসে উক্ত প্রতিষ্ঠানের দুই পাশের বহিরাগত চোর চক্রের হানার ২৩টি ঘটনা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি এসিসটেন্ট ম্যানেজার সাকিল উদ্দিন জানান গত ১ মার্চ (শনিবার) দিবাগত রাতে বিএসআরএমের কিছু মালামাল খিলমুরারী গ্রামে চুরির ভাগাভাগির ঘটনাকে নিয়ে এলাকার জনৈক পারভেজকে প্রতিপক্ষ আটক করে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এসময় তার দেয়া তথ্য মতে এলাকার নুরু, ইলিয়াছ, নাজিম , জীবনসহ একটি পক্ষের সঙ্গেই চুরির মালামাল ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব।
সিকিউরিটি কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন জানান বিভিন্ন সময় বিএসআরএমের লোহা ও বিভিন্ন স্ক্রাপ মালামাল চুরি করতে গিয়ে ওরা দা, কিরিছ, ছুরি এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও হামলা করে। এতে আমাদের নিরাপত্তা কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তিনি আরও বলেন গত কয়েক মাসে এভাবে ২৩ বার মিলের মালামাল চুরির অভিযোগে স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানায় প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের অপর সিকিউরিটি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, কয়েকদিন পূর্বে আমাদের এগ্রিকালচার প্রজেক্টের বাগানে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা আগুন লাগিয়ে সহ¯্রাধিক ফলজ ও বনজ গাছ পুড়িয়ে দেয়। তিনি বলেন, আমাদের মিলের কেবল চুরি থেকে শুরু করে স্ক্রাপ এবং প্রয়োজনীয় মালামাল ও চুরি করে নিয়ে যেতে প্রায়ই হানা দিচ্ছে এসব চোরচক্র। আবার ওরা ও নিজেরা ভাগাভাগি নিয়ে খুন খারাবির মতো ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে প্রায়ই। এমতাবস্থায় দেশের এমন স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের সুনামসহ এলাকার ভাবমূর্তি ও বিপন্ন হতে চলেছে। তবু ও আমরা আইন এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আস্থা রাখতে চাই।
এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, আমি সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত থানায় যোগদান করার পর ও উক্ত ইন্ডাষ্ট্রিতে চোরচক্রের হামলার বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করেছি।
তিনি বলেন আমার পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে উনাদের সিকিউরিটি বিভাগের কিছু দুর্বলতা রয়েছে। বিশেষ করে সীমানাবিহীন অরক্ষিত কয়েকটি এলাকা। যেসব এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে সেখানে সিসিটিভি ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখলেই চোরচক্র ও হামলারীদের শনাক্ত করা উনাদের ও আমাদের অতি সহজ। তবু ও আমরা চেষ্টা করছি অপরাধিদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা কার্যকর করার।
মীরসরাইয়ে চোরচক্রের অন্তঃকোন্দলে ৩০ চোর ও নিরাপত্তাকর্মীসহ আহত অর্ধশত
বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মীরসরাই উপজেলার সোনাপাহাড় এলাকায় প্রায় দুই দশক আগে গড়ে ওঠা বিএসআরএম স্টিল ইন্ডাষ্ট্রিজ এই অঞ্চলের সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান। প্রায় সহস্র একর এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা এই শিল্প পার্ক ঘিরে ইতোমধ্যে গড়ে ওঠছে বহুমুখী নানা কর্মসংস্থান। কিন্তু উক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের আসেপাশে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু চোর চক্রের উৎপাতে আতঙ্কিত শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরা।
বিএসআরএম স্টিল পার্কে কর্মরত একাধিক সিকিউরিটি কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে গত প্রায় ৬ মাসে উক্ত প্রতিষ্ঠানের দুই পাশের বহিরাগত চোর চক্রের হানার ২৩টি ঘটনা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি এসিসটেন্ট ম্যানেজার সাকিল উদ্দিন জানান গত ১ মার্চ (শনিবার) দিবাগত রাতে বিএসআরএমের কিছু মালামাল খিলমুরারী গ্রামে চুরির ভাগাভাগির ঘটনাকে নিয়ে এলাকার জনৈক পারভেজকে প্রতিপক্ষ আটক করে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এসময় তার দেয়া তথ্য মতে এলাকার নুরু, ইলিয়াছ, নাজিম , জীবনসহ একটি পক্ষের সঙ্গেই চুরির মালামাল ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব।
সিকিউরিটি কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন জানান বিভিন্ন সময় বিএসআরএমের লোহা ও বিভিন্ন স্ক্রাপ মালামাল চুরি করতে গিয়ে ওরা দা, কিরিছ, ছুরি এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও হামলা করে। এতে আমাদের নিরাপত্তা কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তিনি আরও বলেন গত কয়েক মাসে এভাবে ২৩ বার মিলের মালামাল চুরির অভিযোগে স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানায় প্রদান করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের অপর সিকিউরিটি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, কয়েকদিন পূর্বে আমাদের এগ্রিকালচার প্রজেক্টের বাগানে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা আগুন লাগিয়ে সহ¯্রাধিক ফলজ ও বনজ গাছ পুড়িয়ে দেয়। তিনি বলেন, আমাদের মিলের কেবল চুরি থেকে শুরু করে স্ক্রাপ এবং প্রয়োজনীয় মালামাল ও চুরি করে নিয়ে যেতে প্রায়ই হানা দিচ্ছে এসব চোরচক্র। আবার ওরা ও নিজেরা ভাগাভাগি নিয়ে খুন খারাবির মতো ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে প্রায়ই। এমতাবস্থায় দেশের এমন স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের সুনামসহ এলাকার ভাবমূর্তি ও বিপন্ন হতে চলেছে। তবু ও আমরা আইন এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আস্থা রাখতে চাই।
এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, আমি সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত থানায় যোগদান করার পর ও উক্ত ইন্ডাষ্ট্রিতে চোরচক্রের হামলার বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করেছি।
তিনি বলেন আমার পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে উনাদের সিকিউরিটি বিভাগের কিছু দুর্বলতা রয়েছে। বিশেষ করে সীমানাবিহীন অরক্ষিত কয়েকটি এলাকা। যেসব এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে সেখানে সিসিটিভি ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখলেই চোরচক্র ও হামলারীদের শনাক্ত করা উনাদের ও আমাদের অতি সহজ। তবু ও আমরা চেষ্টা করছি অপরাধিদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা কার্যকর করার।