সম্পূর্ণ রবীন্দ্ররচনা চীনা ভাষায় অনুবাদ করেছি এবার কাজী নজরুলের জীবনী রচনা ও তার নির্বাচিত কবিতা অনুবাদের আগ্রহ প্রকাশ
বুধবার বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘চীনে রবীন্দ্রচর্চার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন দং ইউছেন -সংবাদ
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা চীনা ভাষায় অনুবাদ করতে গিয়ে বাংলা সাহিত্যের গভীরতা বোধগম্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনা অধ্যাপক দং ইউছেন। এবার আমাদেরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী রচনা এবং তার নির্বাচিত কবিতা চীনা ভাষায় অনুবাদ প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছেন বলে জানান তিনি।
বুধবার দুপুরে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘চীনে রবীন্দ্রচর্চার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় এ আগ্রহের কথা জানান দং ইউছেন।
চীনের সেন্টার ফর সাউথ এশিয়া স্টাডিজ বেইজিং ফরেন স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির এই অধ্যাপক বলেন, ‘আমি যতবার ঢাকায় আসি নজরুলের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাই। কারণ এই মানুষটির বিদ্রোহী হৃদয়কে আমরা ভালোবাসি।’
বাংলা একাডেমির শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন একাডেমির উপ-পরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া। সভায় দং ইউ ছেন বলেন, ‘আমি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রেমিক। সম্পূর্ণ রবীন্দ্ররচনা চীনা ভাষায় অনুবাদ করেছি, রবীন্দ্রনাথের জীবনী লিখেছি। রবীন্দ্রনাথ আমাকে বুঝতে শিখিয়েছেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য কত গভীর ও গহন।’
রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি শরৎচন্দ্রসহ বাংলা সাহিত্যের বেশকিছু নির্বাচিত রচনা চীনা ভাষায় অনুবাদ করেছেন এই গবেষক ও অধ্যাপক।
দং ইউছেন বলেন, ‘আমি এবার বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা দেখতে বাংলাদেশে এসেছি। মেলা থেকে প্রচুর বই কিনেছি। বাংলা একাডেমি আমার খুবই প্রিয় জায়গা। এ প্রতিষ্ঠান থেকে বহু মূল্যবান বই প্রকাশিত হয়ে আসছে; যা যে কোনো ভাষার জ্ঞানপিপাসু মানুষের চাহিদা পূরণ করবে।’
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বহু প্রাচীন এবং গভীর। রবীন্দ্রনাথ এই যোগাযোগকে আরও তাৎপর্যমিত করেছেন। বর্তমান সময়ে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সাহিত্যের অনুবাদগত যোগাযোগ বিশেষ প্রয়োজন। চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা পড়ানো হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি নজরুল চর্চাও হচ্ছে। অধ্যাপক দং ইউছেন বাংলা একাডেমির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আমাদের মাঝে বক্তৃতা করে চীনে বাংলা, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল চর্চার অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা দান করেছেন।’
চীনের রবীন্দ্র-গবেষক ও অনুবাদক দং ইউ ছেনের জন্ম ১৯৩৭ সালে উত্তর-পূর্ব চীনের জিলিন প্রদেশে। কৃষক পরিবারের সন্তান মৃত্তিকালগ্ন এ মানুষটি হয়তো রবীন্দ্রনাথের ভেতর মৃত্তিকাবর্তিতারই উপাদান খুঁজে পেয়েছেন। তাই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচনা, বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস অনুবাদের পাশাপাশি তার অন্যতম কীর্তি হিসেবে আমরা পাই চীনা ভাষায় ৩৩ খণ্ডে রবীন্দ্র-রচনার অনুবাদকর্ম, যা তারই সম্পাদনায় ২০১৫-এর ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয়েছে।
১৯৬০-এর দশক। সোভিয়েত ইউনিয়নের সেন্ট পিটার্সবুর্গে অবস্থিত লেনিনগ্রাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যবিদ্যা বিভাগে সাড়ে পাঁচ বছর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে লেখাপড়া করছেন দং ইউ ছেন। এ সময়ই তার হাতে এল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস নৌকাডুবি। এটি পড়ার পর তার হৃদয়নদীতে যেন সৃষ্টি হলো গভীর ভালোবাসার তরঙ্গ। ভাবলেন, পড়াশোনা শেষ করে চীনে ফিরেই এই বইটির অনুবাদের কাজে হাত দেবেন। ততদিনে রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি আর গল্পগুচ্ছও তার পড়া শেষ।
১৯৬৫-এর ডিসেম্বরে শিক্ষা শেষ করে দং ফিরে এলেন বেইজিং। এর মধ্যেই তিনি প্রেমে পড়ে গেছেন বাংলা ভাষার। নিত্যদিনের কাজ থেকে একটু সময় বের করে মন দিয়ে পড়েন গল্পগুচ্ছ, নোট নেন আর অনুবাদ করেন। ধাপে ধাপে অনুবাদ করেন ‘মহামায়া’, ‘জীবিত ও মৃত’, ‘খাতা’ এমন প্রায় ২৫টির বেশি গল্প। এর মধ্যে হুয়া-ওন্বেন গণপ্রকাশনালয় তার কাছে থেকে নৌকাডুবি উপন্যাসের অনুবাদ আহ্বান করল। প্রায় আট-নয় মাসে শেষ করেন সেটি। তারপর রবীন্দ্রনাথেরই আরেকটি উপন্যাস ঘরে-বাইরে। যদিও তার সবচেয়ে ভালো লাগার উপন্যাস হলো নৌকাডুবি। দং-এর ভাষায়, ‘বাংলা ভাষায় ‘নৌকা’ বলার সময় আমার চোখে আবেগে জল চলে আসে।’
উপন্যাসের পর ধীরে ধীরে রবীন্দ্র-কবিতা অনুবাদেও হাত দেন দং ইউ ছেন। অনুবাদ করেন রবীন্দ্র-নাটকও। চীনা ভাষায় রবীন্দ্রনাথের লেখার রাশি রাশি অনুবাদ সম্পন্ন হয় তার হাত দিয়ে।
রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আরও কয়েকজন অসামান্য বাঙালি লেখককে চীনা ভাষায় অনুবাদ করেছেন দং। যেমন, বঙ্কিমের ইন্দিরা, কৃষ্ণকান্তের উইল, রাজসিংহ, চন্দ্রশেখর, শরৎচন্দ্রের উপন্যাসিকা বড়দিদি এবং তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস স্বর্ণলতা। রুশ ভাষা থেকে চীনায় ভাষান্তর করেছেন মহাভারত-এর সংক্ষিপ্তসার এবং শ্রীকৃষ্ণের জীবনকাহিনি। লিখেছেন দক্ষিণ এশিয়ার কবি রবীন্দ্রনাথ শিরোনামে রবীন্দ্রনাথের একটি জীবনীও।
ভারতবর্ষের বিভিন্ন ভাষার সাহিত্য মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন, যেমনÑ হিন্দি, পাঞ্জাবি। তবে এসব ভাষার সাহিত্যের তুলনায় বাংলা সাহিত্যকে অত্যন্ত গভীর ও বৈচিত্র্যপূর্ণ মনে হয়েছে দংয়ের।
দং প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে। ছিলেন বেশ কিছুদিন। সে যাত্রায় তার অধীত বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে নতুনভাবে অনুভবের সুযোগ লাভ করেছেন। এরপর একবার দুইবার করে বেশ কয়েকবারই তার আসা হয় বাংলাদেশে।
রবীন্দ্রনাথের মতো কাজী নজরুল ইসলাম তার খুবই পছন্দের কবি। বিশেষত তার ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি। নজরুলের সাহিত্য অনুবাদ করার ইচ্ছে আছে দংয়ের। আরও ইচ্ছে, বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবিদের একটি সুনির্বাচিত সংকলন চীনা ভাষায় অনুবাদ করার।
সম্পূর্ণ রবীন্দ্ররচনা চীনা ভাষায় অনুবাদ করেছি এবার কাজী নজরুলের জীবনী রচনা ও তার নির্বাচিত কবিতা অনুবাদের আগ্রহ প্রকাশ
বুধবার বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘চীনে রবীন্দ্রচর্চার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন দং ইউছেন -সংবাদ
বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা চীনা ভাষায় অনুবাদ করতে গিয়ে বাংলা সাহিত্যের গভীরতা বোধগম্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনা অধ্যাপক দং ইউছেন। এবার আমাদেরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী রচনা এবং তার নির্বাচিত কবিতা চীনা ভাষায় অনুবাদ প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছেন বলে জানান তিনি।
বুধবার দুপুরে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘চীনে রবীন্দ্রচর্চার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় এ আগ্রহের কথা জানান দং ইউছেন।
চীনের সেন্টার ফর সাউথ এশিয়া স্টাডিজ বেইজিং ফরেন স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির এই অধ্যাপক বলেন, ‘আমি যতবার ঢাকায় আসি নজরুলের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাই। কারণ এই মানুষটির বিদ্রোহী হৃদয়কে আমরা ভালোবাসি।’
বাংলা একাডেমির শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন একাডেমির উপ-পরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া। সভায় দং ইউ ছেন বলেন, ‘আমি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রেমিক। সম্পূর্ণ রবীন্দ্ররচনা চীনা ভাষায় অনুবাদ করেছি, রবীন্দ্রনাথের জীবনী লিখেছি। রবীন্দ্রনাথ আমাকে বুঝতে শিখিয়েছেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য কত গভীর ও গহন।’
রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি শরৎচন্দ্রসহ বাংলা সাহিত্যের বেশকিছু নির্বাচিত রচনা চীনা ভাষায় অনুবাদ করেছেন এই গবেষক ও অধ্যাপক।
দং ইউছেন বলেন, ‘আমি এবার বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা দেখতে বাংলাদেশে এসেছি। মেলা থেকে প্রচুর বই কিনেছি। বাংলা একাডেমি আমার খুবই প্রিয় জায়গা। এ প্রতিষ্ঠান থেকে বহু মূল্যবান বই প্রকাশিত হয়ে আসছে; যা যে কোনো ভাষার জ্ঞানপিপাসু মানুষের চাহিদা পূরণ করবে।’
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বহু প্রাচীন এবং গভীর। রবীন্দ্রনাথ এই যোগাযোগকে আরও তাৎপর্যমিত করেছেন। বর্তমান সময়ে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সাহিত্যের অনুবাদগত যোগাযোগ বিশেষ প্রয়োজন। চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা পড়ানো হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি নজরুল চর্চাও হচ্ছে। অধ্যাপক দং ইউছেন বাংলা একাডেমির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আমাদের মাঝে বক্তৃতা করে চীনে বাংলা, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল চর্চার অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা দান করেছেন।’
চীনের রবীন্দ্র-গবেষক ও অনুবাদক দং ইউ ছেনের জন্ম ১৯৩৭ সালে উত্তর-পূর্ব চীনের জিলিন প্রদেশে। কৃষক পরিবারের সন্তান মৃত্তিকালগ্ন এ মানুষটি হয়তো রবীন্দ্রনাথের ভেতর মৃত্তিকাবর্তিতারই উপাদান খুঁজে পেয়েছেন। তাই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচনা, বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস অনুবাদের পাশাপাশি তার অন্যতম কীর্তি হিসেবে আমরা পাই চীনা ভাষায় ৩৩ খণ্ডে রবীন্দ্র-রচনার অনুবাদকর্ম, যা তারই সম্পাদনায় ২০১৫-এর ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয়েছে।
১৯৬০-এর দশক। সোভিয়েত ইউনিয়নের সেন্ট পিটার্সবুর্গে অবস্থিত লেনিনগ্রাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যবিদ্যা বিভাগে সাড়ে পাঁচ বছর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে লেখাপড়া করছেন দং ইউ ছেন। এ সময়ই তার হাতে এল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস নৌকাডুবি। এটি পড়ার পর তার হৃদয়নদীতে যেন সৃষ্টি হলো গভীর ভালোবাসার তরঙ্গ। ভাবলেন, পড়াশোনা শেষ করে চীনে ফিরেই এই বইটির অনুবাদের কাজে হাত দেবেন। ততদিনে রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি আর গল্পগুচ্ছও তার পড়া শেষ।
১৯৬৫-এর ডিসেম্বরে শিক্ষা শেষ করে দং ফিরে এলেন বেইজিং। এর মধ্যেই তিনি প্রেমে পড়ে গেছেন বাংলা ভাষার। নিত্যদিনের কাজ থেকে একটু সময় বের করে মন দিয়ে পড়েন গল্পগুচ্ছ, নোট নেন আর অনুবাদ করেন। ধাপে ধাপে অনুবাদ করেন ‘মহামায়া’, ‘জীবিত ও মৃত’, ‘খাতা’ এমন প্রায় ২৫টির বেশি গল্প। এর মধ্যে হুয়া-ওন্বেন গণপ্রকাশনালয় তার কাছে থেকে নৌকাডুবি উপন্যাসের অনুবাদ আহ্বান করল। প্রায় আট-নয় মাসে শেষ করেন সেটি। তারপর রবীন্দ্রনাথেরই আরেকটি উপন্যাস ঘরে-বাইরে। যদিও তার সবচেয়ে ভালো লাগার উপন্যাস হলো নৌকাডুবি। দং-এর ভাষায়, ‘বাংলা ভাষায় ‘নৌকা’ বলার সময় আমার চোখে আবেগে জল চলে আসে।’
উপন্যাসের পর ধীরে ধীরে রবীন্দ্র-কবিতা অনুবাদেও হাত দেন দং ইউ ছেন। অনুবাদ করেন রবীন্দ্র-নাটকও। চীনা ভাষায় রবীন্দ্রনাথের লেখার রাশি রাশি অনুবাদ সম্পন্ন হয় তার হাত দিয়ে।
রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আরও কয়েকজন অসামান্য বাঙালি লেখককে চীনা ভাষায় অনুবাদ করেছেন দং। যেমন, বঙ্কিমের ইন্দিরা, কৃষ্ণকান্তের উইল, রাজসিংহ, চন্দ্রশেখর, শরৎচন্দ্রের উপন্যাসিকা বড়দিদি এবং তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস স্বর্ণলতা। রুশ ভাষা থেকে চীনায় ভাষান্তর করেছেন মহাভারত-এর সংক্ষিপ্তসার এবং শ্রীকৃষ্ণের জীবনকাহিনি। লিখেছেন দক্ষিণ এশিয়ার কবি রবীন্দ্রনাথ শিরোনামে রবীন্দ্রনাথের একটি জীবনীও।
ভারতবর্ষের বিভিন্ন ভাষার সাহিত্য মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন, যেমনÑ হিন্দি, পাঞ্জাবি। তবে এসব ভাষার সাহিত্যের তুলনায় বাংলা সাহিত্যকে অত্যন্ত গভীর ও বৈচিত্র্যপূর্ণ মনে হয়েছে দংয়ের।
দং প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে। ছিলেন বেশ কিছুদিন। সে যাত্রায় তার অধীত বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে নতুনভাবে অনুভবের সুযোগ লাভ করেছেন। এরপর একবার দুইবার করে বেশ কয়েকবারই তার আসা হয় বাংলাদেশে।
রবীন্দ্রনাথের মতো কাজী নজরুল ইসলাম তার খুবই পছন্দের কবি। বিশেষত তার ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি। নজরুলের সাহিত্য অনুবাদ করার ইচ্ছে আছে দংয়ের। আরও ইচ্ছে, বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবিদের একটি সুনির্বাচিত সংকলন চীনা ভাষায় অনুবাদ করার।