অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত তারাই নেবে। তবে তিনি এটাও বলেছেন, নির্বাচনে কে অংশ নেবে, তা নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন। ঢাকায় তাঁর সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎকারটি নেন বিবিসির দক্ষিণ এশিয়া সংবাদদাতা সামিরা হুসেইন।
সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিতে বলা হলে তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল না যে আমি সরকারের নেতৃত্ব দেব। আমি আগে কখনো সরকার চালাইনি। অথচ আমাকেই প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠন করা তাঁদের অগ্রাধিকার। চলতি বছরের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও সেটি সরকারি প্রতিষ্ঠান সংস্কারের গতির ওপর নির্ভর করবে।
ভারতে নির্বাসিত শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সে বিষয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
শেখ হাসিনার সরকার প্রসঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা থেকে এসেছি। তখন মানুষকে গুলি করা হচ্ছিল, হত্যা করা হচ্ছিল।’ তবে সাত মাস পরও ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বলে অনেকে মনে করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এটি কোনো আদর্শ রাষ্ট্র নয়, যা রাতারাতি বদলে ফেলা সম্ভব।’
শেখ হাসিনার শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রাজনৈতিক দমন-পীড়নের অভিযোগ ছিল। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও তাঁর দলের নেতাকর্মীরা নিরাপদ নন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘দেশে আদালত আছে, আইন আছে, থানা আছে। তাঁদের উচিত থানায় গিয়ে অভিযোগ জানানো।’
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ সহায়তা কার্যকর ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত তারাই নেবে। তবে তিনি এটাও বলেছেন, নির্বাচনে কে অংশ নেবে, তা নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন। ঢাকায় তাঁর সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎকারটি নেন বিবিসির দক্ষিণ এশিয়া সংবাদদাতা সামিরা হুসেইন।
সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিতে বলা হলে তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল না যে আমি সরকারের নেতৃত্ব দেব। আমি আগে কখনো সরকার চালাইনি। অথচ আমাকেই প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠন করা তাঁদের অগ্রাধিকার। চলতি বছরের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও সেটি সরকারি প্রতিষ্ঠান সংস্কারের গতির ওপর নির্ভর করবে।
ভারতে নির্বাসিত শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সে বিষয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
শেখ হাসিনার সরকার প্রসঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা থেকে এসেছি। তখন মানুষকে গুলি করা হচ্ছিল, হত্যা করা হচ্ছিল।’ তবে সাত মাস পরও ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বলে অনেকে মনে করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এটি কোনো আদর্শ রাষ্ট্র নয়, যা রাতারাতি বদলে ফেলা সম্ভব।’
শেখ হাসিনার শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রাজনৈতিক দমন-পীড়নের অভিযোগ ছিল। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও তাঁর দলের নেতাকর্মীরা নিরাপদ নন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘দেশে আদালত আছে, আইন আছে, থানা আছে। তাঁদের উচিত থানায় গিয়ে অভিযোগ জানানো।’
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ সহায়তা কার্যকর ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।