১২ সপ্তাহের মধ্যে যদি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে ফের কর্মবিরতিতে যাবেন তারা
৩ মাসের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাসে কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরাম।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এসে কর্মবিরতি শুরু করা চিকিৎসদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ‘সম্মতিপত্র’ আসার পর তারা প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন সায়েদুর রগমান।
দাবি পূরণে সময় চেয়ে তিনি বলেন, ‘এই কাজটি শেষ করতে ২০ থেকে ২৫ কার্যদিবস লাগবে। সব মিলিয়ে আপনাদের দাবি-দাওয়াগুলো পূরণে আমরা ১২ সপ্তাহ সময় চেয়েছি। এখানে দুটি মন্ত্রণালয় জড়িত আছে। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্মতি নিয়ে কাজটা করছি। বিষয়টি নিয়ম মেনে করতে হচ্ছে।’
এরপর কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা।
বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরামের পক্ষে ডা. মোহাম্মদ আল আমিন এক সংবাদ বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান গণমাধ্যমের সামনে বলেছেন আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে সাড়ে সাত হাজার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের জন্য সহকারী, সহযোগী ও অধ্যাপক পদে সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রমোশনের ব্যবস্থা করা হবে। আগামী ৫ থেকে ৬ সপ্তাহের মাঝে প্রথম ফাইলের প্রমোশনের কাজ সম্পন্ন করবেন। সরকারের এই প্রতিশ্রুতিতে চলমান কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে।’
এই ১২ সপ্তাহের মধ্যে যদি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে ফের কর্মবিরতিতে যাওয়া হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরামের এক বিবৃতিতে শনিবার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী পদোন্নতি ও সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের দাবিতে সকালে তিনদিনের কর্মবিরতিতে নামে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরাম।
কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার ১০টা থেকে টানা ৩ দিন সরকারি হাসপাতালে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করার কথা ছিল চিকিৎসকদের। দাবি আদায় না হলে ১১ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল চিকিৎসকরা। তবে জরুরি বিভাগের সেবা এই কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরাম।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরামের দাবিগুলো হলো- চিকিৎসা শিক্ষার মানোন্নয়ন ও এমবিবিএস ডিগ্রির বৈশ্বিক স্বীকৃতি বজায় রাখতে পদোন্নতিযোগ্য সব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অতি দ্রুত ও ভূতাপেক্ষভাবে পদোন্নতি নিশ্চিত করা; আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করা; তৃতীয় গ্রেড পাওয়া সব যোগ্য চিকিৎসককে নির্দিষ্ট সময় পর দ্বিতীয় ও প্রথম গ্রেডে পদোন্নতি দিয়ে ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন, সোসাইটি অব সার্জনস অব বাংলাদেশ, সোসাইটি অব নিউজরোলজিস্ট অব বাংলাদেশ, সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জনস অব বাংলাদেশ, এসোসিয়েশন ফর দি স্টাডি অব লিভার ডিজিজেস বাংলাদেশ দ্য চেস্ট অ্যান্ড হার্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সোসাইটি অব কোলন অ্যান্ড রেক্টাল সার্জনস এ বিষয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছে।
বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরামের সদস্য সচিব ডা. বশির উদ্দিন শনিবার জানিয়েছেন, তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী চিকিৎসক সায়েদুর রহমানের সঙ্গে তারা বৈঠক করেছেন। তিনি দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দুই ঘণ্টার কর্মবিরতির কারণে কিছু হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ ছিল। এতে রোগীরা দুর্ভোগে পড়েন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের বহির্বিভাগে ভাঙচুর করেছেন রোগী স্বজনরা।
ওই হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির হিমু বলেন, কর্মবিরতির কারণে লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। তারা চিকিৎসকদের সঙ্গে বাকবিত-ায় জড়ায়। তারা ‘ক্ষিপ্ত হয়ে নিনসের’ অভ্যর্থনা কক্ষ ভাঙচুর করেছে।
১২ সপ্তাহের মধ্যে যদি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে ফের কর্মবিরতিতে যাবেন তারা
শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫
৩ মাসের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাসে কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরাম।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এসে কর্মবিরতি শুরু করা চিকিৎসদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ‘সম্মতিপত্র’ আসার পর তারা প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন সায়েদুর রগমান।
দাবি পূরণে সময় চেয়ে তিনি বলেন, ‘এই কাজটি শেষ করতে ২০ থেকে ২৫ কার্যদিবস লাগবে। সব মিলিয়ে আপনাদের দাবি-দাওয়াগুলো পূরণে আমরা ১২ সপ্তাহ সময় চেয়েছি। এখানে দুটি মন্ত্রণালয় জড়িত আছে। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্মতি নিয়ে কাজটা করছি। বিষয়টি নিয়ম মেনে করতে হচ্ছে।’
এরপর কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা।
বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরামের পক্ষে ডা. মোহাম্মদ আল আমিন এক সংবাদ বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান গণমাধ্যমের সামনে বলেছেন আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে সাড়ে সাত হাজার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের জন্য সহকারী, সহযোগী ও অধ্যাপক পদে সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রমোশনের ব্যবস্থা করা হবে। আগামী ৫ থেকে ৬ সপ্তাহের মাঝে প্রথম ফাইলের প্রমোশনের কাজ সম্পন্ন করবেন। সরকারের এই প্রতিশ্রুতিতে চলমান কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে।’
এই ১২ সপ্তাহের মধ্যে যদি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে ফের কর্মবিরতিতে যাওয়া হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরামের এক বিবৃতিতে শনিবার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী পদোন্নতি ও সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের দাবিতে সকালে তিনদিনের কর্মবিরতিতে নামে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরাম।
কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার ১০টা থেকে টানা ৩ দিন সরকারি হাসপাতালে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করার কথা ছিল চিকিৎসকদের। দাবি আদায় না হলে ১১ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল চিকিৎসকরা। তবে জরুরি বিভাগের সেবা এই কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরাম।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরামের দাবিগুলো হলো- চিকিৎসা শিক্ষার মানোন্নয়ন ও এমবিবিএস ডিগ্রির বৈশ্বিক স্বীকৃতি বজায় রাখতে পদোন্নতিযোগ্য সব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অতি দ্রুত ও ভূতাপেক্ষভাবে পদোন্নতি নিশ্চিত করা; আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করা; তৃতীয় গ্রেড পাওয়া সব যোগ্য চিকিৎসককে নির্দিষ্ট সময় পর দ্বিতীয় ও প্রথম গ্রেডে পদোন্নতি দিয়ে ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন, সোসাইটি অব সার্জনস অব বাংলাদেশ, সোসাইটি অব নিউজরোলজিস্ট অব বাংলাদেশ, সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জনস অব বাংলাদেশ, এসোসিয়েশন ফর দি স্টাডি অব লিভার ডিজিজেস বাংলাদেশ দ্য চেস্ট অ্যান্ড হার্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সোসাইটি অব কোলন অ্যান্ড রেক্টাল সার্জনস এ বিষয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছে।
বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফোরামের সদস্য সচিব ডা. বশির উদ্দিন শনিবার জানিয়েছেন, তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী চিকিৎসক সায়েদুর রহমানের সঙ্গে তারা বৈঠক করেছেন। তিনি দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দুই ঘণ্টার কর্মবিরতির কারণে কিছু হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ ছিল। এতে রোগীরা দুর্ভোগে পড়েন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের বহির্বিভাগে ভাঙচুর করেছেন রোগী স্বজনরা।
ওই হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির হিমু বলেন, কর্মবিরতির কারণে লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। তারা চিকিৎসকদের সঙ্গে বাকবিত-ায় জড়ায়। তারা ‘ক্ষিপ্ত হয়ে নিনসের’ অভ্যর্থনা কক্ষ ভাঙচুর করেছে।