জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পপসম্রাট আজম খান, স্যার ফজলে হাসান আবেদ, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদসহ সাতজনকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করতে যাচ্ছে সরকার।
একই সঙ্গে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দেওয়া মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে। এবার সাতজনের মধ্যে ছয়জনই মরণোত্তর এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
শুধু শিক্ষা ও গবেষণা ক্যাটাগরিতে জীবদ্দশায় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বদরুদ্দীন উমর। তবে তিনি আগেই জানিয়েছেন, এই পুরস্কার তিনি গ্রহণ করবেন না।
এবার ‘প্রতিবাদী তারুণ্য’ নামে নতুন একটি ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ছয় বছর আগে ছাত্রলীগ কর্মীদের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে।
তবে এ বছরের চূড়ান্ত তালিকায় মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর নাম নেই। এর আগে সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছিল এবার স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় এম এ জি ওসমানীর নাম আছে।
জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ বলেন, স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য এম এ জি ওসমানীর নাম আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ১৯৮৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার কাউকে এই পুরস্কার দেওয়া হয় না। এ জন্য চূড়ান্ত তালিকায় তাঁর নাম রাখা হয়নি।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত অন্যান্যরা হলেন—বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (কবি আল মাহমুদ), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ, সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান (পপসম্রাট আজম খান)। তারা সবাই মরণোত্তর এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা, যা ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রদান করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৩ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
২০০৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০১৬ সালে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার সেই পদক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় এবং জাতীয় জাদুঘর থেকে তা সরিয়ে ফেলা হয়।
কিন্তু এবার সরকার সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “সুপ্রিম কোর্টের যে রায়ের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে সরকার জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল করেছিল, ওই রায়ে পুরস্কার বাতিলের কোনো নির্দেশনা ছিল না। মুক্তিযুদ্ধে তার অসাধারণ অবদান বিবেচনায় নিয়ে সরকার পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে।”
এদিকে এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় নাম আসার পরেই বদরুদ্দীন উমর পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের পাঠানো এক বিবৃতিতে বদরুদ্দীন উমর বলেন, “১৯৭৩ সাল থেকে আমাকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে, কিন্তু আমি কোনো পুরস্কার গ্রহণ করিনি। এবারও সরকারের দেওয়া স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
মঙ্গলবার পুরস্কারের প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর বদরুদ্দীন উমরের আগের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে ফয়জুল হাকিম বলেন, “তিনি তার সিদ্ধান্তে অনড় আছেন এবং পুরস্কার গ্রহণ করবেন না।”
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পপসম্রাট আজম খান, স্যার ফজলে হাসান আবেদ, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদসহ সাতজনকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করতে যাচ্ছে সরকার।
একই সঙ্গে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দেওয়া মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে। এবার সাতজনের মধ্যে ছয়জনই মরণোত্তর এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
শুধু শিক্ষা ও গবেষণা ক্যাটাগরিতে জীবদ্দশায় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বদরুদ্দীন উমর। তবে তিনি আগেই জানিয়েছেন, এই পুরস্কার তিনি গ্রহণ করবেন না।
এবার ‘প্রতিবাদী তারুণ্য’ নামে নতুন একটি ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ছয় বছর আগে ছাত্রলীগ কর্মীদের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে।
তবে এ বছরের চূড়ান্ত তালিকায় মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর নাম নেই। এর আগে সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছিল এবার স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় এম এ জি ওসমানীর নাম আছে।
জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ বলেন, স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য এম এ জি ওসমানীর নাম আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ১৯৮৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার কাউকে এই পুরস্কার দেওয়া হয় না। এ জন্য চূড়ান্ত তালিকায় তাঁর নাম রাখা হয়নি।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত অন্যান্যরা হলেন—বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (কবি আল মাহমুদ), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ, সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান (পপসম্রাট আজম খান)। তারা সবাই মরণোত্তর এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা, যা ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রদান করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৩ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
২০০৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০১৬ সালে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার সেই পদক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় এবং জাতীয় জাদুঘর থেকে তা সরিয়ে ফেলা হয়।
কিন্তু এবার সরকার সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “সুপ্রিম কোর্টের যে রায়ের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে সরকার জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল করেছিল, ওই রায়ে পুরস্কার বাতিলের কোনো নির্দেশনা ছিল না। মুক্তিযুদ্ধে তার অসাধারণ অবদান বিবেচনায় নিয়ে সরকার পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে।”
এদিকে এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় নাম আসার পরেই বদরুদ্দীন উমর পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের পাঠানো এক বিবৃতিতে বদরুদ্দীন উমর বলেন, “১৯৭৩ সাল থেকে আমাকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে, কিন্তু আমি কোনো পুরস্কার গ্রহণ করিনি। এবারও সরকারের দেওয়া স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
মঙ্গলবার পুরস্কারের প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর বদরুদ্দীন উমরের আগের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে ফয়জুল হাকিম বলেন, “তিনি তার সিদ্ধান্তে অনড় আছেন এবং পুরস্কার গ্রহণ করবেন না।”