ভারতে পালিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাড়ি ‘সুধাসদন’সহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও কিছু সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
শেখ হাসিনার স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ডাকনাম ছিল সুধা মিয়া। তার নামেই ‘সুধাসদন’ নামকরণ করা হয়।
স্থানীয়দের মতে, ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা কিছুদিন এই বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি সরকারি বাসভবনে ওঠেন এবং পরবর্তীতে বাড়িটি তালাবদ্ধ থাকে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সময় ‘সুধাসদনেও’ আগুন দেওয়া হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার সন্তান টিউলিপ সিদ্দিক ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের নামে থাকা কিছু সম্পত্তিও জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
জব্দের তালিকায় রয়েছে—জয় ও পুতুলের নামে ধানমন্ডিতে ১৬ কাঠা জমিসহ ‘সুধাসদন’ এবং ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ০.২৬৪০ একর জমির ওপর নির্মিত স্থাপনা।
শেখ রেহানার নামে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক ইউনিয়নে দুটি দলিলে থাকা ৯.৬০ শতাংশ জমি এবং ঢাকার সেগুনবাগিচার ইস্টার্ন ভিলার একটি ফ্ল্যাটও জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের নামে গুলশান আবাসিক এলাকায় ইস্টার্ন হারমনি ভবনের একটি ফ্ল্যাট এবং রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের নামে গুলশানের নিকেতন এলাকার এ ব্লকের ০২০১.১ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত সাততলা ভবনও জব্দের আওতায় আনা হয়েছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানে দেখা গেছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। এ কারণে এসব সম্পত্তি জব্দের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
ভারতে পালিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাড়ি ‘সুধাসদন’সহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও কিছু সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
শেখ হাসিনার স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ডাকনাম ছিল সুধা মিয়া। তার নামেই ‘সুধাসদন’ নামকরণ করা হয়।
স্থানীয়দের মতে, ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা কিছুদিন এই বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি সরকারি বাসভবনে ওঠেন এবং পরবর্তীতে বাড়িটি তালাবদ্ধ থাকে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সময় ‘সুধাসদনেও’ আগুন দেওয়া হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার সন্তান টিউলিপ সিদ্দিক ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের নামে থাকা কিছু সম্পত্তিও জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
জব্দের তালিকায় রয়েছে—জয় ও পুতুলের নামে ধানমন্ডিতে ১৬ কাঠা জমিসহ ‘সুধাসদন’ এবং ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ০.২৬৪০ একর জমির ওপর নির্মিত স্থাপনা।
শেখ রেহানার নামে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক ইউনিয়নে দুটি দলিলে থাকা ৯.৬০ শতাংশ জমি এবং ঢাকার সেগুনবাগিচার ইস্টার্ন ভিলার একটি ফ্ল্যাটও জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের নামে গুলশান আবাসিক এলাকায় ইস্টার্ন হারমনি ভবনের একটি ফ্ল্যাট এবং রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের নামে গুলশানের নিকেতন এলাকার এ ব্লকের ০২০১.১ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত সাততলা ভবনও জব্দের আওতায় আনা হয়েছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানে দেখা গেছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। এ কারণে এসব সম্পত্তি জব্দের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।