জুলাই আন্দোলনে যাদের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিশেষ চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ।
মুরফিল্ডস আই হাসপাতাল এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ভিট্রিওরেটিনা সার্জন ডা. মাহি মুকিত এবং মেডিক্যাল রেটিনা বিশেষজ্ঞ ডা. নিয়াজ ইসলাম ৮ মার্চ থেকে এই সেবা কার্যক্রম শুরু করেছেন। তারা - তিনদিন - ৮,৯ ও ১০ মার্চ আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার পরিচালনা করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই হাসপাতালে সহকারি পরিচালক ডা. রেজয়ানুর রহমান সোহেল।
ওই দুই চিকিৎসক তিনদিনে যৌথভাবে প্রায় ১৩০ জনকে এ চিকিৎসা দিয়েছেন এবং ২৪ জনকে রেটিনা অপারেশন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা নীলা। এছাড়া হাসপাতালে যারা ছিলেন তাদের সবাইকেই চিকিৎসেসেবা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আহতদের মধ্য থেকে ২৪ জনকে চোখের অপারেশনের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। আহতদের চোখের বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন করে ডা. মাহি মুকিত অস্ত্রোপাচারের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করেছেন, আর ডা. নিয়াজ ইসলাম করণীয় বিষয় পরামর্শ দিয়েছেন। এই দুই চিকিৎসককে উদ্ধৃত করে তাদের যে চিকিৎসা সেবা চলছিলো তা যথাযথ জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্টরা।’ তবে অনেক রোগী তাদের চোখের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাই তারা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে রোগীদের সচেতন করার চেষ্টা করেছেন।
আহতদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম তনয় বলেন, “আমি বাম চোখে দেখি না, ডান চোখে কিছুটা দেখি। দুই চোখের আশপাশে বুলেট রয়েছে। বিদেশি চিকিৎসকরা দেখেছেন, তারা বলছে আমার একটা চোখ পুরাই ড্যামেজ হয়ে গেছে আর একটা চোখ ভালো আছে।”
আরেক আহত জানান, “আমার দুই চোখে ১২টি গুলি লেগেছে, এর মধ্যে ২টি বের করা গেছে, বাকিগুলো রয়ে গেছে। ডাক্তাররা বলছেন, আমার এক চোখে দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার আশা নেই।”
ডা. নিয়াজ ইসলাম বলেন, “রোগীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। তার আগে একটা সমস্যা ছিল, সেটা সমাধান হয়েছে। এখন কী অবস্থায় আছে এবং ভবিষ্যতে কী হতে পারে, সেগুলো বিশ্লেষণ করে পরিকল্পনা করেছি। যাদের অপারেশন প্রয়োজন, সেটাও করা হয়েছে। তবে এটি এক-দুই দিনের বিষয় নয়, দীর্ঘদিন ফলোআপের প্রয়োজন হবে। যাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদের জন্য ভবিষ্যতে আরও উদ্যোগ নেওয়াও হতে পারে কিন্তু বর্তমানে তাদেরকে এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
এই চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করছেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রেজওয়ানুর রহমান সোহেল এবং সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা নীলা।
ডা. রেজওয়ানুর রহমান বলেন, “আমরা আহত চক্ষু রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করছি। এর আগে অনেককে বিদেশেও পাঠানো হয়েছে এবং বিদেশি বিশেষজ্ঞদের এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এবার যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ দুই চিকিৎসকও সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কাজ করছেন।”
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
জুলাই আন্দোলনে যাদের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিশেষ চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ।
মুরফিল্ডস আই হাসপাতাল এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ভিট্রিওরেটিনা সার্জন ডা. মাহি মুকিত এবং মেডিক্যাল রেটিনা বিশেষজ্ঞ ডা. নিয়াজ ইসলাম ৮ মার্চ থেকে এই সেবা কার্যক্রম শুরু করেছেন। তারা - তিনদিন - ৮,৯ ও ১০ মার্চ আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার পরিচালনা করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই হাসপাতালে সহকারি পরিচালক ডা. রেজয়ানুর রহমান সোহেল।
ওই দুই চিকিৎসক তিনদিনে যৌথভাবে প্রায় ১৩০ জনকে এ চিকিৎসা দিয়েছেন এবং ২৪ জনকে রেটিনা অপারেশন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা নীলা। এছাড়া হাসপাতালে যারা ছিলেন তাদের সবাইকেই চিকিৎসেসেবা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আহতদের মধ্য থেকে ২৪ জনকে চোখের অপারেশনের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। আহতদের চোখের বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন করে ডা. মাহি মুকিত অস্ত্রোপাচারের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করেছেন, আর ডা. নিয়াজ ইসলাম করণীয় বিষয় পরামর্শ দিয়েছেন। এই দুই চিকিৎসককে উদ্ধৃত করে তাদের যে চিকিৎসা সেবা চলছিলো তা যথাযথ জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্টরা।’ তবে অনেক রোগী তাদের চোখের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাই তারা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে রোগীদের সচেতন করার চেষ্টা করেছেন।
আহতদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম তনয় বলেন, “আমি বাম চোখে দেখি না, ডান চোখে কিছুটা দেখি। দুই চোখের আশপাশে বুলেট রয়েছে। বিদেশি চিকিৎসকরা দেখেছেন, তারা বলছে আমার একটা চোখ পুরাই ড্যামেজ হয়ে গেছে আর একটা চোখ ভালো আছে।”
আরেক আহত জানান, “আমার দুই চোখে ১২টি গুলি লেগেছে, এর মধ্যে ২টি বের করা গেছে, বাকিগুলো রয়ে গেছে। ডাক্তাররা বলছেন, আমার এক চোখে দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার আশা নেই।”
ডা. নিয়াজ ইসলাম বলেন, “রোগীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। তার আগে একটা সমস্যা ছিল, সেটা সমাধান হয়েছে। এখন কী অবস্থায় আছে এবং ভবিষ্যতে কী হতে পারে, সেগুলো বিশ্লেষণ করে পরিকল্পনা করেছি। যাদের অপারেশন প্রয়োজন, সেটাও করা হয়েছে। তবে এটি এক-দুই দিনের বিষয় নয়, দীর্ঘদিন ফলোআপের প্রয়োজন হবে। যাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদের জন্য ভবিষ্যতে আরও উদ্যোগ নেওয়াও হতে পারে কিন্তু বর্তমানে তাদেরকে এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
এই চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করছেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রেজওয়ানুর রহমান সোহেল এবং সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা নীলা।
ডা. রেজওয়ানুর রহমান বলেন, “আমরা আহত চক্ষু রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করছি। এর আগে অনেককে বিদেশেও পাঠানো হয়েছে এবং বিদেশি বিশেষজ্ঞদের এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এবার যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ দুই চিকিৎসকও সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কাজ করছেন।”