২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার কথা থাকলেও, এটি আরও পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে সরকার চাইলেই এ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া যাবে না। এ জন্য জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) কাছে আবেদন করা হবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী এ তথ্য জানান। ব্রিফিংয়ের আগে তিনি অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) সচিব নাজমা মোবারেক এবং অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুনশি আবদুল আহাদ ও মোহাম্মদ আবু ইউছুফ।
আনিসুজ্জামান চৌধুরী জানান, এলডিসি থেকে উত্তরণ পুনর্বিবেচনা করতে পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে ইআরডি সচিব ও এফআইডি সচিব সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে নয়, বাস্তবতার আলোকে আমাদের কাজ করতে হবে। ২০১০ সাল থেকে বৈদেশিক নির্ভরতা বেড়েছে, অভ্যন্তরীণ আয়ের উৎস কমেছে, কর-জিডিপির হার ৭ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। আরও ঋণ নিতে হলে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে।’
এলডিসি থেকে উত্তরণের সূচকগুলো ভুয়া ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ধরুন সব কিছু ঠিক ছিল, কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি কেমন? আমরা যে বাজারসুবিধা পাই, তার ৮৫ শতাংশই তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে। কিন্তু রপ্তানি বহুমুখীকরণ হয়নি। ২০১৮ সাল থেকে এলডিসি থেকে উত্তরণের পরিকল্পনা থাকলেও ৭ বছরেও নির্ভরশীলতা কমানো যায়নি।’
এলডিসি থেকে উত্তরণ স্থগিত থাকবে কি না, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে ব্যবসায়ী ও পোশাক শিল্পের মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এখনই সিদ্ধান্ত বলা সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশ কি চাইলে উত্তরণ প্রক্রিয়া স্থগিত করতে পারবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি পুরোপুরি বাংলাদেশের হাতে নেই। তবে পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা যাবে। যথাযথ কারণ উল্লেখ করে একটি বিশ্বাসযোগ্য রূপরেখা দিতে হবে। আমরা সে দিকেই এগোচ্ছি।’
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার কথা থাকলেও, এটি আরও পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে সরকার চাইলেই এ প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া যাবে না। এ জন্য জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) কাছে আবেদন করা হবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী এ তথ্য জানান। ব্রিফিংয়ের আগে তিনি অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) সচিব নাজমা মোবারেক এবং অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুনশি আবদুল আহাদ ও মোহাম্মদ আবু ইউছুফ।
আনিসুজ্জামান চৌধুরী জানান, এলডিসি থেকে উত্তরণ পুনর্বিবেচনা করতে পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে ইআরডি সচিব ও এফআইডি সচিব সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে নয়, বাস্তবতার আলোকে আমাদের কাজ করতে হবে। ২০১০ সাল থেকে বৈদেশিক নির্ভরতা বেড়েছে, অভ্যন্তরীণ আয়ের উৎস কমেছে, কর-জিডিপির হার ৭ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। আরও ঋণ নিতে হলে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে।’
এলডিসি থেকে উত্তরণের সূচকগুলো ভুয়া ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ধরুন সব কিছু ঠিক ছিল, কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি কেমন? আমরা যে বাজারসুবিধা পাই, তার ৮৫ শতাংশই তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে। কিন্তু রপ্তানি বহুমুখীকরণ হয়নি। ২০১৮ সাল থেকে এলডিসি থেকে উত্তরণের পরিকল্পনা থাকলেও ৭ বছরেও নির্ভরশীলতা কমানো যায়নি।’
এলডিসি থেকে উত্তরণ স্থগিত থাকবে কি না, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে ব্যবসায়ী ও পোশাক শিল্পের মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এখনই সিদ্ধান্ত বলা সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশ কি চাইলে উত্তরণ প্রক্রিয়া স্থগিত করতে পারবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি পুরোপুরি বাংলাদেশের হাতে নেই। তবে পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা যাবে। যথাযথ কারণ উল্লেখ করে একটি বিশ্বাসযোগ্য রূপরেখা দিতে হবে। আমরা সে দিকেই এগোচ্ছি।’