alt

জাতীয়

অর্থনীতির ভঙ্গুর দশা উত্তরণের প্রতিশ্রুতি আনিসুজ্জামান চৌধুরীর

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা "খুবই ভঙ্গুর" এবং এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণই হবে তার কাজের অগ্রাধিকার—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব পাওয়া আনিসুজ্জামান চৌধুরী দীর্ঘ দুই যুগ অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিশ্লেষণ এবং উন্নয়ন অধ্যয়ন’ বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন।

অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "অর্থনীতির অবস্থা খুবই ভঙ্গুর। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই, আপনারা বুঝে নেবেন।" প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতির এই পরিস্থিতিকে গাজা সিটির সঙ্গে তুলনা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আকেলমন্দ কি লিয়ে ইশারাই কাফি হ্যায়, আপনারা বুঝে নেবেন।"

অর্থনীতির বিভিন্ন দিক পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত উল্লেখ করে আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, "আপনি যখন একটি সরকারকে ‘অন্তর্বর্তী’ বলছেন, তখনই বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। বিনিয়োগকারীরা ভাববে, এই সরকারের নীতিগুলো কতটা স্থায়ী হবে? বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে তাদের দ্বিধায় পড়তে হবে। রাজনীতির সঙ্গে অর্থনীতির গভীর সম্পর্ক রয়েছে।"

দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সম্ভব বলে মনে করেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, "অত্যন্ত সম্ভব। অনেকেই ইতোমধ্যে পাচার হওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি প্রধান উপদেষ্টা নিজেই। তার ওজন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক বেশি, যা ইতোমধ্যে আপনারা বুঝতে পারছেন।"

তিনি জানান, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, কারণ যেসব দেশে এসব টাকা গেছে, তারাও এতে উপকৃত হয়েছে। "এ ধরনের দেশগুলো সহজে টাকা ফেরত দেবে না। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টাকে তারাই সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা দ্রুত কাজ করছি এবং সফল হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।"

কোন কোন পক্ষ এই প্রস্তাব দিয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি। "এটি প্রকাশ করা সম্ভব নয়, কারণ এতে আমাদের কাজের গতি ব্যাহত হতে পারে। টাকা পাচারকারীরা বসে নেই, তাই কিছু গোপনীয়তা রক্ষা করতেই হবে।"

তিনি আরও বলেন, "পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে যথাযথ আইনগত কাঠামো দরকার। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা আমাদের সহায়তা করছে।"

বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক তথ্য নির্ভরযোগ্য নয় উল্লেখ করে আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, "২০১৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশ ট্রেড ডেটা জাতিসংঘকে সরবরাহ করেনি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মিস ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাচার রোধে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তথ্য সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় তখনই বোঝা গেছে কিছু একটা হচ্ছে।"

তিনি জানান, "ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে এলডিসি থেকে উত্তরণের যে উন্নয়ন বর্ণনা তৈরি করা হয়েছে, তা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। আমাদের বৈদেশিক ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হয়ে গেছে। ২০১০ সালের পর থেকে এই ঋণের প্রবৃদ্ধি অনেক বেড়েছে, অথচ অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ কমে গেছে। একসময় কর-জিডিপি অনুপাত ছিল ১১-১২ শতাংশ, যা এখন ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।"

অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দেওয়া জরুরি বলে মনে করেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, "আমাদের আয় বেড়েছে, কিন্তু রাজস্ব আদায় সেই তুলনায় বাড়েনি। এই ব্যবধান দূর করতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, "শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করতে হবে। বিগত বছরগুলোতে বিনিয়োগের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন।"

অর্থনীতির দুর্বল অবস্থার দ্রুত উত্তরণ এবং পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী।

শিল্পপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী আর নেই

ছবি

নিরাপত্তা নির্দেশিকা বাতিল: হাইকোর্টের রুলের আগেই পিছু হটল সরকার

ছবি

ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ : ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসি আবদুল্লাহ আল মামুনের অপসারণের দাবি, মশাল মিছিলের ঘোষণা

ছবি

ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, ধাক্কাধাক্কি, লাঠিপেটা

ছবি

সুধাসদনসহ হাসিনা পরিবারের সম্পত্তি ও ১২৪ ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

ছবি

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে নেতিবাচক মনে করছেন ৫৮ শতাংশ, চিনের সঙ্গে সম্পর্ককে ইতিবাচক মনে করেন ৭৫ শতাংশ মানুষ

ছবি

নাগরিক সেবার বেহাল দশা: ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগে গণশুনানিতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন এক ব্যক্তি

ছবি

পাঠ্যবইয়ের কাগজ কেনায় রাখাল রাহার সংশ্লিষ্টতা নেই: এনসিটিবি চেয়ারম্যান

ছবি

এলডিসি থেকে উত্তরণ পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করছে সরকার

ছবি

জুলাই আন্দোলনে আহতদের চোখের চিকিৎসা দিচ্ছেন যুক্তরাজ্যের দুই বিশেষজ্ঞ

ছবি

স্পিকার রাষ্ট্রপতিকে শপথ পড়ানোর বৈধতা জানতে চায় হাই কোর্ট

ছবি

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ

ছবি

বায়ুদূষণে বিশ্বের দ্বিতীয় বাংলাদেশ, ঢাকার অবস্থান তৃতীয়

ছবি

‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ এর গণপদযাত্রায় পুলিশের লাঠিপেটা, বাধা প্রদান

ছবি

জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার পুনর্বহাল

ছবি

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, দ্রুত বিচার ও ধর্ষকদের ফাঁসি দাবি

ছবি

শেখ হাসিনা ও পরিবারের ১২৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

ছবি

ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা নির্ধারণ

ছবি

আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফর: গুরুত্ব পাবে রোহিঙ্গা সংকট ও মানবাধিকার প্রসঙ্গ

ছবি

গার্ডিয়ানকে ইউনূস: ‘হাসিনা রেখে গেছেন গাজার মতো বিধ্বস্ত বাংলাদেশ’

ছবি

রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

এবার ঈদে মিলবে না নতুন নোট

ছবি

ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে মানববন্ধন

কারাগারে অনিয়ম, ১২ জনকে চাকরিচ্যুতসহ ৮২৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

ছবি

সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাক শ্রমিক নিহত, ৭ ঘণ্টা অবরোধ, চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী

চোখের পাতা নেড়েছে মাগুরার সেই শিশুটি: প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব

জাতিসংঘের ফলকার টুর্কের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া আইএসপিআরের

প্রধান উপদেষ্টার এক বিশেষ সহকারীর পদত্যাগ, নতুন আরেকজনের নিয়োগ

বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচন আদায়ে দ্রুতই রাজপথে নামার ঘোষণা নাহিদের

ছবি

পঙ্গু হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে ‘জুলাই-যোদ্ধাদের’ মারামারি, ভোগান্তিতে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষজন

কম সময়ের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে বিশেষ আইন আনছে সরকার

ছবি

ফলকার টুর্কের মন্তব্যের বিষয়ে সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী

ছবি

পাচার হওয়া ২৩৪ বিলিয়ন ডলার ফেরাতে আসছে বিশেষ আইন

ছবি

মাগুরার শিশুর সামান্য উন্নতি, এখনও শঙ্কামুক্ত নয়

tab

জাতীয়

অর্থনীতির ভঙ্গুর দশা উত্তরণের প্রতিশ্রুতি আনিসুজ্জামান চৌধুরীর

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা "খুবই ভঙ্গুর" এবং এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণই হবে তার কাজের অগ্রাধিকার—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব পাওয়া আনিসুজ্জামান চৌধুরী দীর্ঘ দুই যুগ অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিশ্লেষণ এবং উন্নয়ন অধ্যয়ন’ বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন।

অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "অর্থনীতির অবস্থা খুবই ভঙ্গুর। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই, আপনারা বুঝে নেবেন।" প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতির এই পরিস্থিতিকে গাজা সিটির সঙ্গে তুলনা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আকেলমন্দ কি লিয়ে ইশারাই কাফি হ্যায়, আপনারা বুঝে নেবেন।"

অর্থনীতির বিভিন্ন দিক পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত উল্লেখ করে আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, "আপনি যখন একটি সরকারকে ‘অন্তর্বর্তী’ বলছেন, তখনই বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। বিনিয়োগকারীরা ভাববে, এই সরকারের নীতিগুলো কতটা স্থায়ী হবে? বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে তাদের দ্বিধায় পড়তে হবে। রাজনীতির সঙ্গে অর্থনীতির গভীর সম্পর্ক রয়েছে।"

দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সম্ভব বলে মনে করেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, "অত্যন্ত সম্ভব। অনেকেই ইতোমধ্যে পাচার হওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি প্রধান উপদেষ্টা নিজেই। তার ওজন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক বেশি, যা ইতোমধ্যে আপনারা বুঝতে পারছেন।"

তিনি জানান, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, কারণ যেসব দেশে এসব টাকা গেছে, তারাও এতে উপকৃত হয়েছে। "এ ধরনের দেশগুলো সহজে টাকা ফেরত দেবে না। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টাকে তারাই সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা দ্রুত কাজ করছি এবং সফল হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।"

কোন কোন পক্ষ এই প্রস্তাব দিয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি। "এটি প্রকাশ করা সম্ভব নয়, কারণ এতে আমাদের কাজের গতি ব্যাহত হতে পারে। টাকা পাচারকারীরা বসে নেই, তাই কিছু গোপনীয়তা রক্ষা করতেই হবে।"

তিনি আরও বলেন, "পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে যথাযথ আইনগত কাঠামো দরকার। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা আমাদের সহায়তা করছে।"

বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক তথ্য নির্ভরযোগ্য নয় উল্লেখ করে আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, "২০১৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশ ট্রেড ডেটা জাতিসংঘকে সরবরাহ করেনি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মিস ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাচার রোধে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তথ্য সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় তখনই বোঝা গেছে কিছু একটা হচ্ছে।"

তিনি জানান, "ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে এলডিসি থেকে উত্তরণের যে উন্নয়ন বর্ণনা তৈরি করা হয়েছে, তা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। আমাদের বৈদেশিক ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হয়ে গেছে। ২০১০ সালের পর থেকে এই ঋণের প্রবৃদ্ধি অনেক বেড়েছে, অথচ অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ কমে গেছে। একসময় কর-জিডিপি অনুপাত ছিল ১১-১২ শতাংশ, যা এখন ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।"

অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দেওয়া জরুরি বলে মনে করেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, "আমাদের আয় বেড়েছে, কিন্তু রাজস্ব আদায় সেই তুলনায় বাড়েনি। এই ব্যবধান দূর করতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, "শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করতে হবে। বিগত বছরগুলোতে বিনিয়োগের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন।"

অর্থনীতির দুর্বল অবস্থার দ্রুত উত্তরণ এবং পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী।

back to top