alt

জাতীয়

পাঠ্যবইয়ের কাগজ কেনায় রাখাল রাহার সংশ্লিষ্টতা নেই: এনসিটিবি চেয়ারম্যান

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

পাঠ্যবই ছাপার কাগজ কেনার সঙ্গে লেখক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ রাখাল রাহার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।

মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিলে এনসিটিবির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পাঠ্যবই ছাপার কাগজ ব্যবসার মাধ্যমে রাখাল রাহার ৪০০ কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। তবে এনসিটিবি চেয়ারম্যান একে ‘অপপ্রচার’ বলে অভিহিত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেন, “রাখাল রাহা আমাদের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তার কোনো সংশ্লিষ্টতাও নেই। অভিযোগ তোলা হয়েছে যে তিনি কাগজের ব্যবসায় জড়িত, অথচ তিনি ডিসেম্বরের পরই এনসিটিবির কাজ শেষ করে চলে গেছেন।"

কাগজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল জানুয়ারির প্রথম দিকে, যখন কাগজের দাম বেড়ে গিয়েছিল বলে জানান রিয়াজুল হাসান। তিনি বলেন, "৪০০ কোটি টাকার কাগজ আমদানি হয়নি, বরং ১০০ কোটির কাগজ আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু প্রচার করা হচ্ছে বিশাল অঙ্কের একটি দুর্নীতির গল্প, যা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।"

এ বছর বই ছাপার কাজে দেরি হওয়ায় এখনো এক কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপা বাকি রয়েছে। ৩৯ কোটি ৬০ লাখ পাঠ্যবই বিতরণের লক্ষ্য থাকলেও সোমবার পর্যন্ত ৩৮ কোটি ২৯ লাখ ৬১ হাজার কপি বই ছাপানো হয়েছে। সরকার আশা করছে, বাকি বই ছাপা ও বিতরণের কাজ শেষ হতে আরও এক সপ্তাহ লাগবে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানান, বছরের শুরুতে কাগজের দাম হঠাৎ বাড়তে থাকায় মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানগুলো সমস্যায় পড়ে। পরে এনসিটিবির উদ্যোগে ৭ হাজার ৮০০ টন কাগজ আমদানি করা হয়।

কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বাজারে প্রতি টন কাগজের দাম এক লাখ ১৮ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা থাকলেও মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকায় কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। এতে করে প্রতি টনে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেশি খরচ করতে হয়েছে। সংবাদমাধ্যম দুটি আরও দাবি করে, এনসিটিবির কর্মকর্তা ও রাখাল রাহার নেতৃত্বে এ কমিশন বাণিজ্য হয়েছে, যেখানে তানভীর নামের এক ছাত্র সমন্বয়ক সক্রিয় ছিলেন।

আলোচনা-সমালোচনার মুখে অভিযোগসংবলিত প্রতিবেদন দুটি সংবাদমাধ্যম প্রত্যাহার করেছে। এনসিটিবির চেয়ারম্যান এ প্রসঙ্গে বলেন, "সংবাদমাধ্যমে যা ছাপা হয়েছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কাগজ কেনার সঙ্গে কোনো ব্যক্তির স্বার্থ জড়িত নয়। সবকিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও নীতিমালা মেনেই করা হয়েছে।"

পাঠ্যবই পরিমার্জনের কাজে রাখাল রাহার সম্পৃক্ততার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেন, "তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন, পাশাপাশি আইইআর থেকে বিএড ও এমএড করেছেন। শিশুদের মনস্তত্ত্ব ও শিক্ষাবিষয়ে তার গবেষণা রয়েছে, যা পাঠ্যবই সংশোধনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।"

তিনি আরও বলেন, "আগের শিক্ষাক্রম বাতিলের জন্য অভিভাবকদের নেতৃত্বে রাখাল রাহা আন্দোলন করেছিলেন। তার সেই ভূমিকার কারণে আমরা আগের কারিকুলামে ফিরে আসতে পেরেছি।"

এনসিটিবি চেয়ারম্যানের মতে, পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ কেনার ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়নি এবং এ বিষয়ে ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতি সঠিক তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানান।

শিল্পপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী আর নেই

ছবি

নিরাপত্তা নির্দেশিকা বাতিল: হাইকোর্টের রুলের আগেই পিছু হটল সরকার

ছবি

ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ : ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসি আবদুল্লাহ আল মামুনের অপসারণের দাবি, মশাল মিছিলের ঘোষণা

ছবি

ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, ধাক্কাধাক্কি, লাঠিপেটা

ছবি

সুধাসদনসহ হাসিনা পরিবারের সম্পত্তি ও ১২৪ ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

ছবি

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে নেতিবাচক মনে করছেন ৫৮ শতাংশ, চিনের সঙ্গে সম্পর্ককে ইতিবাচক মনে করেন ৭৫ শতাংশ মানুষ

ছবি

নাগরিক সেবার বেহাল দশা: ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগে গণশুনানিতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন এক ব্যক্তি

ছবি

অর্থনীতির ভঙ্গুর দশা উত্তরণের প্রতিশ্রুতি আনিসুজ্জামান চৌধুরীর

ছবি

এলডিসি থেকে উত্তরণ পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করছে সরকার

ছবি

জুলাই আন্দোলনে আহতদের চোখের চিকিৎসা দিচ্ছেন যুক্তরাজ্যের দুই বিশেষজ্ঞ

ছবি

স্পিকার রাষ্ট্রপতিকে শপথ পড়ানোর বৈধতা জানতে চায় হাই কোর্ট

ছবি

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ

ছবি

বায়ুদূষণে বিশ্বের দ্বিতীয় বাংলাদেশ, ঢাকার অবস্থান তৃতীয়

ছবি

‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ এর গণপদযাত্রায় পুলিশের লাঠিপেটা, বাধা প্রদান

ছবি

জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার পুনর্বহাল

ছবি

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, দ্রুত বিচার ও ধর্ষকদের ফাঁসি দাবি

ছবি

শেখ হাসিনা ও পরিবারের ১২৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

ছবি

ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা নির্ধারণ

ছবি

আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফর: গুরুত্ব পাবে রোহিঙ্গা সংকট ও মানবাধিকার প্রসঙ্গ

ছবি

গার্ডিয়ানকে ইউনূস: ‘হাসিনা রেখে গেছেন গাজার মতো বিধ্বস্ত বাংলাদেশ’

ছবি

রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

এবার ঈদে মিলবে না নতুন নোট

ছবি

ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে মানববন্ধন

কারাগারে অনিয়ম, ১২ জনকে চাকরিচ্যুতসহ ৮২৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

ছবি

সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাক শ্রমিক নিহত, ৭ ঘণ্টা অবরোধ, চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী

চোখের পাতা নেড়েছে মাগুরার সেই শিশুটি: প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব

জাতিসংঘের ফলকার টুর্কের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া আইএসপিআরের

প্রধান উপদেষ্টার এক বিশেষ সহকারীর পদত্যাগ, নতুন আরেকজনের নিয়োগ

বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচন আদায়ে দ্রুতই রাজপথে নামার ঘোষণা নাহিদের

ছবি

পঙ্গু হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে ‘জুলাই-যোদ্ধাদের’ মারামারি, ভোগান্তিতে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষজন

কম সময়ের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে বিশেষ আইন আনছে সরকার

ছবি

ফলকার টুর্কের মন্তব্যের বিষয়ে সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী

ছবি

পাচার হওয়া ২৩৪ বিলিয়ন ডলার ফেরাতে আসছে বিশেষ আইন

ছবি

মাগুরার শিশুর সামান্য উন্নতি, এখনও শঙ্কামুক্ত নয়

tab

জাতীয়

পাঠ্যবইয়ের কাগজ কেনায় রাখাল রাহার সংশ্লিষ্টতা নেই: এনসিটিবি চেয়ারম্যান

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

পাঠ্যবই ছাপার কাগজ কেনার সঙ্গে লেখক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ রাখাল রাহার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।

মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিলে এনসিটিবির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পাঠ্যবই ছাপার কাগজ ব্যবসার মাধ্যমে রাখাল রাহার ৪০০ কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। তবে এনসিটিবি চেয়ারম্যান একে ‘অপপ্রচার’ বলে অভিহিত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেন, “রাখাল রাহা আমাদের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তার কোনো সংশ্লিষ্টতাও নেই। অভিযোগ তোলা হয়েছে যে তিনি কাগজের ব্যবসায় জড়িত, অথচ তিনি ডিসেম্বরের পরই এনসিটিবির কাজ শেষ করে চলে গেছেন।"

কাগজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল জানুয়ারির প্রথম দিকে, যখন কাগজের দাম বেড়ে গিয়েছিল বলে জানান রিয়াজুল হাসান। তিনি বলেন, "৪০০ কোটি টাকার কাগজ আমদানি হয়নি, বরং ১০০ কোটির কাগজ আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু প্রচার করা হচ্ছে বিশাল অঙ্কের একটি দুর্নীতির গল্প, যা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।"

এ বছর বই ছাপার কাজে দেরি হওয়ায় এখনো এক কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপা বাকি রয়েছে। ৩৯ কোটি ৬০ লাখ পাঠ্যবই বিতরণের লক্ষ্য থাকলেও সোমবার পর্যন্ত ৩৮ কোটি ২৯ লাখ ৬১ হাজার কপি বই ছাপানো হয়েছে। সরকার আশা করছে, বাকি বই ছাপা ও বিতরণের কাজ শেষ হতে আরও এক সপ্তাহ লাগবে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানান, বছরের শুরুতে কাগজের দাম হঠাৎ বাড়তে থাকায় মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানগুলো সমস্যায় পড়ে। পরে এনসিটিবির উদ্যোগে ৭ হাজার ৮০০ টন কাগজ আমদানি করা হয়।

কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বাজারে প্রতি টন কাগজের দাম এক লাখ ১৮ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা থাকলেও মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকায় কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। এতে করে প্রতি টনে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেশি খরচ করতে হয়েছে। সংবাদমাধ্যম দুটি আরও দাবি করে, এনসিটিবির কর্মকর্তা ও রাখাল রাহার নেতৃত্বে এ কমিশন বাণিজ্য হয়েছে, যেখানে তানভীর নামের এক ছাত্র সমন্বয়ক সক্রিয় ছিলেন।

আলোচনা-সমালোচনার মুখে অভিযোগসংবলিত প্রতিবেদন দুটি সংবাদমাধ্যম প্রত্যাহার করেছে। এনসিটিবির চেয়ারম্যান এ প্রসঙ্গে বলেন, "সংবাদমাধ্যমে যা ছাপা হয়েছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কাগজ কেনার সঙ্গে কোনো ব্যক্তির স্বার্থ জড়িত নয়। সবকিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও নীতিমালা মেনেই করা হয়েছে।"

পাঠ্যবই পরিমার্জনের কাজে রাখাল রাহার সম্পৃক্ততার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেন, "তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন, পাশাপাশি আইইআর থেকে বিএড ও এমএড করেছেন। শিশুদের মনস্তত্ত্ব ও শিক্ষাবিষয়ে তার গবেষণা রয়েছে, যা পাঠ্যবই সংশোধনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।"

তিনি আরও বলেন, "আগের শিক্ষাক্রম বাতিলের জন্য অভিভাবকদের নেতৃত্বে রাখাল রাহা আন্দোলন করেছিলেন। তার সেই ভূমিকার কারণে আমরা আগের কারিকুলামে ফিরে আসতে পেরেছি।"

এনসিটিবি চেয়ারম্যানের মতে, পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ কেনার ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়নি এবং এ বিষয়ে ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতি সঠিক তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানান।

back to top