alt

জাতীয়

ছয় মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষণ মামলার আসামি

আসামি ও তার পরিবারের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগের অভিযোগ বাদীর শিগগিরই মামলাটি ধর্ষণ মামলায় রূপান্তর এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ

নাসরীন গীতি : বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

ধর্ষণে শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে রাজধানীতে কাফনের কাপড় পরে প্রতিবাদ

সময়টা- গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি। বুদ্ধিতে কিছুটা কম বলে অনেকেই ডাকে পাগলি বলে, দৃষ্টির জোরও খানিক কম। তা সত্ত্বেও ঘরকন্নার কাজ নিয়ে ছিল ভালোই। কিন্তু একই গ্রামের বাসিন্দা মতিন চন্দ্র বর্মণের নজর পড়ে এই দৃষ্টি ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীর ওপর। ধর্ষণের শিকার হন তিনি। ঘটনার সপ্তাহখানেক পর মামলা করতে গেলে পুলিশ নেয় ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ মামলা। তারপর ছয় মাস পার হয়েছে। এখনও আসামি আছে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে।

ঘটনাটি রংপুরের পীরগঞ্জে। দৃষ্টি ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীর করা ধর্ষণ মামলার আসামি মতিন চন্দ্র বর্মণকে এতদিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। বাদীপক্ষের অভিযোগ, পুলিশ অজানা কারণে মামলার আসামি মতিকে গ্রেপ্তার করছে না।

জানা গেছে, উপজেলার চতরা ইউনিয়নের এক ভূমিহীনের স্ত্রী ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে রান্না করছিলেন। এ সময় তাকে সেখান থেকে জোরপূর্বক তারই ঘরে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে মতিন। ওই নারীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে তার স্বামী বাদী হয়ে ২১ অক্টোবর থানায় মামলা রেকর্ড করে।

বাদীপক্ষের অভিযোগ, ঘটনার পর বাদী ধর্ষণের অভিযোগ দিতে পীরগঞ্জ থানায় যায়। কিন্তু, পীরগঞ্জ থানা সময়ক্ষেপণ করে অভিযোগ দেয়ার ৭২ ঘণ্টা পরে ধর্ষণের চেষ্টা দেখিয়ে মামলা রেকর্ড করে। সেসময় ধর্ষণের শিকার ওই নারীর মেডিকেল টেস্ট নিয়েও টালবাহানা করে পুলিশ।

পরে ভিকটিম আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে তাকে ধর্ষণের কথা জানায়। তার বক্তব্যের

পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেয়। তিন মাস পর আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ওই নারীর মেডিকেল টেস্ট করা হয়।

ভিকটিমের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশনা আসার পরও তখনকার পীরগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মো. হাবিবুর রহমান তাদের মেডিকেল টেস্ট না করাতে নিরুৎসাহিত করে। তারপর ভিকটিমের পরিবারের সহযোগিতায় বিচার পেতে তারা মেডিকেল টেস্ট করেন। তখন তিনিই ধর্ষণ মামলা না নিয়ে মামলাটিকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’র মামলা হিসেবে রেকর্ড করে।

স্থানীয়রা বলছেন, এই মামলার আসামি মতিন তার পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে। অথচ পুলিশ তাকে ধরতে পারছে না। তার পরিবারের সঙ্গে থানা পুলিশেরও যোগাযোগ রয়েছে বলেও দাবি এলাকাবাসীর।

তারা বলছেন, আসামি মতিন চন্দ্রের পরিবার স্থানীয়ভাবে কিছুটা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে বিচারের কাজ ব্যাহত করছে।

ক্ষমতাধরের নমুনা বোঝাতে এলাকাবাসী জানায়, আসামির বাবা যতিন বর্মণের জমি থাকা সত্ত্বেও বড় ভগবানপুর হিন্দুপাড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে তাদের পরিবারের নামে দু’টি ঘর বরাদ্দ নিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয়নি।

এ ব্যাপারে রংপুর পুলিশ সুপার মো. আবু সায়েম বলেন, শিগগিরই মামলাটি ‘ধর্ষণ’ মামলায় রূপান্তর করা হবে। আসামিকেও গ্রেপ্তারের জন্য জোর চেষ্টা চলবে।

ছবি

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর উদ্বেগ

ছবি

আমরা এখন যুদ্ধাবস্থায় আছি, ষড়যন্ত্রকারীরা এই সুযোগে শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা করবে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

শিশু ধর্ষণের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, আইন সংশোধন বৃহস্পতিবারের মধ্যে

ছবি

সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশে ভিন্নমত জানিয়ে ইসির চিঠি

ছবি

১৩ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ, মঙ্গলবার থেকে কমতে পারে

প্রতারণা এড়াতে অ্যাপ থেকে টিকেট কেনার পরামর্শ রেল কর্তৃপক্ষের

‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ

সরকারি সাত কলেজ সমন্বয়ে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

বাংলাদেশে ‘আন্তর্জাতিক মানের’ নির্বাচন চায় ইইউ, দেবে সহায়তা

এসএসসি চলাকালে ‘কোচিং সেন্টার বন্ধ’

ছবি

‘কড়াই বিলে’র ৫ শতাধিক গাছ কর্তন, জানে না বনবিভাগ

ছবি

বদলি ইস্যু : খামারবাড়িতে সড়ক অবরোধ, যানজটে ভোগান্তি

সংবাদ সম্মেলন ধর্ষণকে ‘ধর্ষণ’ই বলতে হবে

ছবি

‘ডিএমপি কমিশনার বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন’

সেদিন যা ঘটেছিল

ছবি

দ্রুত রায় কার্যকর চায় পরিবার

ছবি

বাংলাদেশে ‘বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপন’ প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে গুরুত্ব পাবে

ছবি

আবরার হত্যার রায়: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন

ছবি

ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আহ্বান ইউআইএফ’র

ছবি

প্রধান উপদেষ্টা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন

ছবি

দণ্ড দ্রুত কার্যকর চান আবরারের বাবা

ছবি

চার দিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব

ছবি

আবরার হত্যা মামলা: হাই কোর্টে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল

রবিবার আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ঢাবিতে ছুটি ঘোষণা

খামারবাড়ির কর্মকর্তাদের সংবাদ সম্মেলন, চাকরি বিধিমালা ‘লঙ্ঘন’: কর্তৃপক্ষ

৯০ দিনের মধ্যে রায় কার্যকর করতে হবে: জামায়াতে আমির

ধর্ষণের প্রতিবাদকারীদের ওপর পুলিশি হামলা: ২১০ নাগরিকের বিবৃতি

‘মার্কিন কর্মকর্তা রোহিঙ্গা সহায়তা বন্ধ করতে চেয়েছিলেন’

ছবি

ভোলায় অকালেই ঝরে যাচ্ছে মেধাবী শিক্ষার্থীর স্বপ্ন

আরাকান আর্মি থেকে ২৬ জেলেকে ফেরত আনলো বিজিবি

ছবি

ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদ চলছে, বন্ধ হচ্ছে না ধর্ষণ-নির্যাতন

ছবি

ঈদযাত্রা: দ্বিতীয় দিনে ৩০ মিনিটে ৭৩ লাখ হিট!

ছবি

রাজশাহীতে পদ্মা ও বাংলাবান্ধা ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ

গণপরিবহনে নারীদের সুরক্ষায় ‘হেল্প’ অ্যাপ চালু

পুলিশ সংস্কার আইন: তল্লাশি, গ্রেপ্তার, জিজ্ঞাসাবাদে কঠোর হচ্ছে আইন

গণমিছিল ‘স্থগিত’ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ আট সংগঠনের

tab

জাতীয়

ছয় মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি ধর্ষণ মামলার আসামি

আসামি ও তার পরিবারের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগের অভিযোগ বাদীর শিগগিরই মামলাটি ধর্ষণ মামলায় রূপান্তর এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ

নাসরীন গীতি

ধর্ষণে শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে রাজধানীতে কাফনের কাপড় পরে প্রতিবাদ

বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

সময়টা- গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি। বুদ্ধিতে কিছুটা কম বলে অনেকেই ডাকে পাগলি বলে, দৃষ্টির জোরও খানিক কম। তা সত্ত্বেও ঘরকন্নার কাজ নিয়ে ছিল ভালোই। কিন্তু একই গ্রামের বাসিন্দা মতিন চন্দ্র বর্মণের নজর পড়ে এই দৃষ্টি ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীর ওপর। ধর্ষণের শিকার হন তিনি। ঘটনার সপ্তাহখানেক পর মামলা করতে গেলে পুলিশ নেয় ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ মামলা। তারপর ছয় মাস পার হয়েছে। এখনও আসামি আছে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে।

ঘটনাটি রংপুরের পীরগঞ্জে। দৃষ্টি ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীর করা ধর্ষণ মামলার আসামি মতিন চন্দ্র বর্মণকে এতদিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। বাদীপক্ষের অভিযোগ, পুলিশ অজানা কারণে মামলার আসামি মতিকে গ্রেপ্তার করছে না।

জানা গেছে, উপজেলার চতরা ইউনিয়নের এক ভূমিহীনের স্ত্রী ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে রান্না করছিলেন। এ সময় তাকে সেখান থেকে জোরপূর্বক তারই ঘরে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে মতিন। ওই নারীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে তার স্বামী বাদী হয়ে ২১ অক্টোবর থানায় মামলা রেকর্ড করে।

বাদীপক্ষের অভিযোগ, ঘটনার পর বাদী ধর্ষণের অভিযোগ দিতে পীরগঞ্জ থানায় যায়। কিন্তু, পীরগঞ্জ থানা সময়ক্ষেপণ করে অভিযোগ দেয়ার ৭২ ঘণ্টা পরে ধর্ষণের চেষ্টা দেখিয়ে মামলা রেকর্ড করে। সেসময় ধর্ষণের শিকার ওই নারীর মেডিকেল টেস্ট নিয়েও টালবাহানা করে পুলিশ।

পরে ভিকটিম আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে তাকে ধর্ষণের কথা জানায়। তার বক্তব্যের

পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেয়। তিন মাস পর আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ওই নারীর মেডিকেল টেস্ট করা হয়।

ভিকটিমের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশনা আসার পরও তখনকার পীরগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মো. হাবিবুর রহমান তাদের মেডিকেল টেস্ট না করাতে নিরুৎসাহিত করে। তারপর ভিকটিমের পরিবারের সহযোগিতায় বিচার পেতে তারা মেডিকেল টেস্ট করেন। তখন তিনিই ধর্ষণ মামলা না নিয়ে মামলাটিকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’র মামলা হিসেবে রেকর্ড করে।

স্থানীয়রা বলছেন, এই মামলার আসামি মতিন তার পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে। অথচ পুলিশ তাকে ধরতে পারছে না। তার পরিবারের সঙ্গে থানা পুলিশেরও যোগাযোগ রয়েছে বলেও দাবি এলাকাবাসীর।

তারা বলছেন, আসামি মতিন চন্দ্রের পরিবার স্থানীয়ভাবে কিছুটা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে বিচারের কাজ ব্যাহত করছে।

ক্ষমতাধরের নমুনা বোঝাতে এলাকাবাসী জানায়, আসামির বাবা যতিন বর্মণের জমি থাকা সত্ত্বেও বড় ভগবানপুর হিন্দুপাড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে তাদের পরিবারের নামে দু’টি ঘর বরাদ্দ নিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয়নি।

এ ব্যাপারে রংপুর পুলিশ সুপার মো. আবু সায়েম বলেন, শিগগিরই মামলাটি ‘ধর্ষণ’ মামলায় রূপান্তর করা হবে। আসামিকেও গ্রেপ্তারের জন্য জোর চেষ্টা চলবে।

back to top